বগুড়ার শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচি চলাকালে পদত্যাগকারী সরকার দলীয় এমপি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বাসা-বাড়ি ও প্রেসক্লাবে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ ও দেশ থেকে পালিয়েছে-এমন খবর পেয়েই ওই হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় বাসা-বাড়িতে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
জানা যায়, ঘটনার দিন প্রথমে শেরপুর শহরের হাসপাতাল রোডস্থ পদত্যাগকারী সরকার দলীয় এমপি হাবিবর রহমানের বাসভবনের প্রধান ফটক ভেঙে হাজারো বিক্ষুব্ধ জনতা ভেতরে ঢুকে পড়ে। পাশাপাশি ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন তারা। এরপর বর্তমান এমপি ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর শহরের উলিপুর পাড়াস্থ দুইটি বাসভবনে একযোগে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। সেইসঙ্গে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করেন তারা। একইভাবে তার মালিকানাধীন করতোয়া জুটমিলে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার বাসভবন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নিমাই ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান জানান, ঘটনার সময় ছাত্র-জনতার ব্যানারে বের হওয়া ৫০ থেকে ৬০ জন কিশোর-তরুণ একত্রিত হয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাঙচুর চালাচ্ছিলেন। এসময় তাদের ছবি ও ভিডিও করার অভিযোগ তুলে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, এসব ঘটনার কথা মৌখিকভাবে শুনেছেন। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই