কিশোরগঞ্জ শহরের রাস্তায় এখন আর আগের মত যানজট নেই। নিরীহ অটোচালকদের ওপর নেই কোনো জুলুম। পুরো ট্রাফিক ব্যবস্থা দক্ষ হাতে নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্ররা। পালা করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। তাদেরকে সহযোগিতা করছে স্কাউট, গার্লস গাইড ও আনসার সদস্যরা।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্র ও যুব আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক চাইসহ (নিসচা) বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে একযোগে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ছাত্রদেরকে পানি সরবরাহ করছে এপেক্স ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
ছাত্রদের এমন দায়িত্ব পালনে চালকরাও খুশি। বেশ কয়েকজন অটোচালকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তারা জানান, আগে ট্রাফিকরা তাদের ওপর নানাভাবে জুলুম করতো। একটু এদিক সেদিক হলেই গাড়ির সীট নিয়ে যেতো এবং গাড়ি আটকে রাখতো। এক হাজার টাকার বিনিময়ে সেই সীট তারা ফিরে পেতেন। আর গাড়ি ফেরত আনতে লাগতো দুই হাজার টাকা। ট্রাফিক পুলিশের সহযোগী হলুদ গেঞ্জি পরিহিতরা প্রতি গাড়ি থেকে ১০ টাকা করে নিয়ে যেতো। টাকা না দিলে গাড়ির চাকা ফুটো করে দিতো। এ অবস্থায় সারাদিনের কামাই শেষ করে ঘরে আর কিছেই নিয়ে যেতে পারতেন না।
কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতেই ছাত্রদের নিয়ে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাধারণ ছাত্রদের পাশাপাশি তাদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি নিজেও প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন। এতে করে সকলেই নিয়ম মেনে গাড়ি চালাচ্ছেন। যতদিন পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্বে না আসবে, ততদিন তাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম