কারো বিপদের কথা শুনে ছুটে যাচ্ছেন। সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ধ্বংস্তপ পরিস্কারে ব্যস্ততা। সরকারি কার্যালয়ে সমস্যার জন্য ছুটে যাওয়া। হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘর রক্ষায় দিন-রাত ধরে পাহারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বত্র শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ। নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় তারা। বলছেন নতুন করে কিছু ভাবনার কথা। প্রশাসনিক কাঠামো অনেকটাই দুর্বল থাকার কারণে এখন যেন কেউ অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখার কথা বললেন তারা।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার প্রধান সড়ক কাউতলী থেকে কুমারশীল মোড় থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে শতাধিক শিক্ষার্থী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে। নিয়ম মেনে যান চালানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। শিক্ষার্থীদের এই তৎপরতায় সড়কে বেশ শৃংখলা দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্কাউটসহ বিভিন্ন সংগঠন এ কাজে সহায়তা করে।
জেলার আখাউড়া পৌর এলাকার সড়ক বাজার যানজটমুক্ত রাখতে শিক্ষার্থীদেরকে দেখা যায়। এছাড়া তারা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশ নেয়। পৌরসভায় গিয়ে নিয়ম মাফিক কার্যক্রম পরিচালনার আহবান জানান তারা। বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাতে তারা আখাউড়া উপজেলার পৌর এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে পাহারা দেন।
এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামসহ আলেম-ওলামারাও নাশকতা প্রতিরোধে বেশ তৎপর রয়েছেন। যুবদল ও ছাত্রদল মিলে বৃহস্পতিবার রাতে আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগর পাহারা দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক নিয়ন্ত্রণে থাকা মো. সবুজ আহমেদ জানান, যান চলাচলে যেন বিঘ্ন না ঘটে সেই লক্ষ্যে সারাদিন মাঠে থেকে তারা কাজ করেছেন। আর বলে দেওয়া হয়েছে লাইসেন্সবিহীন কোনো যান এ শহরে চলতে দেওয়া হবে না। মোটরসাইকেল ব্যবহারে হেলমেট পরিধানের অনুরোধও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল