ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার ছোট ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সাহেবের ঘাট সেতুর সংযোগ সড়কে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে ফেনীর সোনাগাজী থেকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যাওয়ার সড়কটিতে যানচলাচল সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েছে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা। চট্টগ্রামগামী নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের যানবাহনগুলো এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করত।
স্থানীয়রা জানান, বন্যার অতিরিক্ত পানির চাপে এবং সেতু সংলগ্ন জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি নদীতে ধসে গেছে। সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের সাহেবের ঘাট ও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের সংযোগস্থল হিসেবে ছোট ফেনী নদী সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর পশ্চিম অংশে সংযোগ সড়কের মাঝখানে তৈরি হয়েছে বিশাল গর্ত। স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বালু ভর্তি বস্তা ফেলেও সংযোগ সড়ক রক্ষা করতে পারেনি। একই সঙ্গে সেতুর পশ্চিম অংশের দুপাশের মাটি ও ব্লক সরে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে সেতু। সেতুর একাধিক স্থানে ফাটলও দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত সপ্তাহের ভয়াবহ বন্যার পানির চাপে পশ্চিম অংশে সেতুর নিচ থেকে দুই পাশের মাটি ও ব্লক সরে গেছে। এরপর সেতুর সংযোগ সড়কেও ভাঙন দেখা দিতে শুরু করে। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বালুভর্তি বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সোনাগাজী উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নোয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার বলেন, বন্যার পানির চাপে সাহেবের ঘাট সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় লোকজন নিয়ে ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলেছেন। কিন্তু ভাঙন আরও তীব্র হওয়ায় সেতুটিও হুমকিতে রয়েছে। এতে করে সেতুর ওপর দিয়ে আপাতত যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ঢাকা থেকে সওজের উচ্চ পর্যায়ের একটি বিশেষজ্ঞ দল এসে সেতু এলাকা পরিদর্শন করে মতামত দেবেন। তাঁদের পরামর্শ মতে সেতুর সংযোগ সড়কসহ যে সব জায়গায় ভাঙন ও সমস্যা দেখা দিয়েছে সেগুলো সঠিক নিয়মে সংস্কার করে যানচলাচল ও মানুষের যাতায়ত স্বাভাবিক করে দেয়া হবে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহারিয়ার বলেন, আমরা ছোট ফেনী নদী থেকে কাউকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেইনি। বালু উত্তোলনের কারণে মাটি ধস হয়। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন