যশোরে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে সংঘঠিত দুই বিএনপি কর্মী হত্যার ঘটনায় ৯ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪২ জনকে আসামি করে আদালতে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। চৌগাছা ও মণিরামপুর উপজেলায় এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এ দুই ঘটনায় ওইসময় সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে কোনো মামলা হয়েছিল কিনা তা সাত কর্মদিবসের মধ্যে জানাতে ওই দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই রাত একটার দিকে চৌগাছা উপজেলার দিঘলসিংহা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রতন মৃধা (৩০) নামে বিএনপির এক সক্রিয় কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় বাড়িতে থাকা ব্যবসার ২০ লাখ টাকাও নিয়ে নেয় পুলিশ। পরদিন সকালে চৌগাছার কয়ারপাড়া মেইন রাস্তার ওপর মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রতন মৃধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের স্বজনরা সেসময় এ ব্যাপারে চৌগাছা থানায় মামলা করতে গেলে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সোমবার রতন মৃধার মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌগাছা আমলি আদালতে এ ব্যাপারে মামলা করেন। ওইসময় এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা, সাত কর্মদিবসের মধ্যে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দিতে চৌগাছা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ইমরান আহমেদ।
বাদীর আইনজীবী রুহীন বালুজ জানান, এ মামলায় তৎকালীন সময়ে চৌগাছা থানায় কর্মরত ওসি খন্দকার শামীম, এসআই ফাজেল, এএসআই নাসির ও এএসআই জসিমকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে ২০১৫ সালে মণিরামপুরে বিএনপি কর্মী মেজবাহউদ্দিন চন্টু হত্যার ঘটনায় একই আদালতে অপর একটি মামলা করেছেন নিহতের ভাই আলী হোসেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ চন্টুকে ঢাকা থেকে ধরে আনে চৌগাছা থানার পুলিশ। এরপর তাকে একদল সন্ত্রাসীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সন্ত্রাসীরা ১৮ মার্চ রাতে চৌগাছার গরীবপুর শ্মসান ঘাট এলাকায় কুপিয়ে নৃশংসভাবে চন্টুকে হত্যা করে। তার চোখ তুলে নেওয়া হয় ও পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়।
এ মামলার বাদীর আইনজীবী এমএ গফুর বলেন, এ ঘটনায় তৎকালীন সময়ে মণিরামপুর থানায় কর্মরত ওসি খবির মোল্যা, এসআই তাসমীম, এসআই শাহজাহান, এসআই তৌহিদ ও এসআই মাসুমসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল