নোয়াখালীতে বন্যা দুর্গত এলাকায় সাপের কামড়ে আহত হয়ে ২৫৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে শিশু সহ ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এরপর আহতরা বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম। তবে তিনি তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় জানাতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত চৌদ্দ দিনের টানা বৃষ্টি ও ফেনীর মুহুরী নদীর পানি নোয়াখালী ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে নোয়াখালীর ৮টি উপজেলার অনেক জায়গায় হাঁটু পরিমাণ পানি উঠে যায়। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। গত চৌদ্দ দিনে সদর, কবিরহাট, সুবর্ণচরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাপের কামড়ে আহত হয়ে ২৫৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। জানা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের চিকিৎসা সেবা। ওয়ার্ডে নোংরা পরিবেশ ও টয়লেটের অবস্থা খুবই শোচনীয়। ডায়রিয়া স্যালাইন ও ঔষধ সংকটে ভুগছে রোগীরা। রোগীর স্বজনরা জানান, অধিকাংশ ঔষধ বাহির থেকে কিনেন তারা। এছাড়া ১০০/২০০টাকায় সিট দেওয়ার নামে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন অনেকে।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম আরও বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ২৫ জনকে বন্যাকবলিত এলাকার মাঠে-ঘাটে কিংবা বাসাবাড়িতে কাজকর্ম করার সময় সাপ তাদের দংশন করে। অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে এসব সাপ গর্ত থেকে বাহিরে আসছে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
বিডি প্রতিদিন/এএম