রংপুরে বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার শেষ দিন পর্যন্ত ২৭টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। এসব অস্ত্র আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে ছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে এসব আস্ত্র আইনি এবং বেআইনি দুইভাবে ব্যবহার করেছেন। জমা না দেয়া অস্ত্রগুলো অবৈধ হয়ে গেছে। বুধবার থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধারে নামবে যৌথ বাহিনী। যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন।
রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে বেসামরিক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অস্ত্রের সংখ্যা ছিল ১৬৪টি। এর মধ্যে ৮২টি অস্ত্র আওয়ামী লীগের নেতা এবং বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে ছিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৭টি অস্ত্র (পিস্তলসহ বিভিন্ন অস্ত্র) জমা হয়েছে। এখনো ৫৫টি অস্ত্র বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে এসব অস্ত্র কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের নেতারা ব্যবহার করেছেন।
জানা গেছে, ২০০৯ সালের৬ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক লোকজনকে দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে যাদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, তাদের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হবে। ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে যারা নির্বিচারে গুলি করে গা-ঢাকা দিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরুর খবর অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন। একাধিক সুধীজন বলেন, এতদিন বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার হয়েছে। অবৈধকাজে যারা অস্ত্র ব্যবহার করেছেন তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) শাহনাজ বেগম জানান, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৭টি অস্ত্র জমা হয়েছে। জমা না দেয়া বাকি অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ