দেশের চলমান অস্থিরতার সুযোগে তৎপর দাদন ব্যবসায়ীরা। ঋণ নেয়া অসহায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে একের পর এক করা হচ্ছে মিথ্যা মামলা। হুমকি ধামকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে দাদন ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদে শনিবার ভুক্তভোগীরা দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন।
এর আগে শনিবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগীরা। এসময় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. গিয়াস উদ্দীন।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, দিনাজপুরের পার্বতীপুরের হুগলি পাডা গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী নাজমা-সাজু গং চক্রের নির্যাতনের শিকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে কিছু টাকার প্রয়োজন হলে নাজমা ও সাজু চক্রের কাছে কিছু টাকা ঋণ নেন। কিন্তু তারা আমাদেরকে ফাঁদে ফেলে কৌশলে ফাঁকা চেকের পাতা ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। ওই চক্র ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজসে চক্রবৃদ্ধি ঋণের ফাঁদে ফেলে বহু অসংখ্য মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। এই চক্রের সাথে রয়েছেন ২১ জন। তারা দিনাজপুর, রংপুর, নীলফামারী, রাজশাহী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৭০০ জনের অধিক মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে যার মোট টাকার পরিমান কয়েক কোটি টাকা।এসব হয়রানি ও মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সংশিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পার্বতীপুর উপজেলার হুগলি পাডা গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিন।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহনাজ মিথুন মুন্নি বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি ব্যাংকের ম্যানেজারের সিল ও বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষরযুক্ত ফাঁকা চেক বই ও দলিলপত্রসহ নথিপত্র নাজমা বেগমের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক কর্মচারী ও নাজমা বেগমকে ডেকে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল