নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে টানা ভারী বৃষ্টির ফলে ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাড়ছে দুর্ভোগ। টানা এক মাসের বন্যার রেশ কাটতে না কাটতে আবারো বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে আটটিতেই পানি বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জেলার সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, সদর, সূবর্ণচর, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার পানি। ফলে এলাকার বন্যার্ত মানুষ সীমাহীন কষ্টে দিন যাপন করছেন। এ অবস্থায় খাল ও ড্রেনেস পরিষ্কার করে এবং অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান স্থানীয়রা।
জানা যায়, নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীসহ বিভিন্ন উপজেলায় গত ১৫ দিন বন্যার পানি স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নেয়। এতে এখনো পানিবন্দি রয়েছেন ১১ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ। ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৪৪১জন মানুষ অবস্থান করছেন। বন্যায় গত একমাসে এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলা শহর মাইজদীতে ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে এখানকার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নাঞ্চলীয় উপজেলাগুলোতে কোথাও ৩-৪ ফুট, কোথাও কোথাও ৭-৮ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশিত হওয়ার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় জলাবদ্ধতার পানি নামছে খুবই ধীরগতিতে। জন্য স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
নোয়াখালীর নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীতে বন্যা পরবর্তী জলাবদ্ধতা আগে থেকেই ছিল। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে জেলা প্রশাসন আগের মতোই মানুষের পাশে দাঁড়াবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ