কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় অনেক গ্রাম পানির নিচে ডুবে রয়েছে। টানা বৃষ্টি ও ভাঙা বেড়ীবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল ডুবেছে। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১০টি স্লুইসগেট, ৫০টিরও অধিক কালভার্ট, বেড়ীবাঁধ বিলিন এবং পানি চলাচলের স্থানে বিভিন্ন স্থাপনা ও বাঁধ নির্মাণের জন্য জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন দ্বীপের সচেতন মহল।
জানা যায়, উপজেলার ১০টি স্লুইসগেটে পানি বন্ধ করে প্রভাবশালীরা মাছ শিকার করেন। এতে বৃষ্টির পানি দ্রুত সাগরে যেতে না পারায় ছয়টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কালভার্টেও একই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। আবার কিছু কিছু স্থানে প্রভাবশালীরা পানি চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। এতে রোপা আমন এবং আগাম রবি ফসলসহ মাছের প্রজক্টের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেড়িবাঁধ বিলীন হওয়ায় বায়ু বিদ্যুৎ এলাকায় নিয়মিত জোয়ার-ভাটায় পরিণত হয়েছে।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টিতে কৃষকের ৩৮৪ হেক্টর আউশ ধানের জমি, আমন বীজতলা ২৪ হেক্টর, আমন ধানের ১১৯ হেক্টর ও সবজির ৫ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে পানিবন্দী এলাকাগুলো পরিদর্শন করে গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় সব কালভার্ট খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পানি যাতে বন্ধ করতে না পারে তার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ