গরু গোসল করাতে নদীতে নেমিয়েছিলেন মা-মেয়ে। একপর্যায়ে গরুর রশি পায়ে প্যাচ লেগে মেয়ে পানিতে পড়ে যায়। সাথে সাথে মেয়েকে বাঁচাতে মা নদীতে ঝাপ দেন।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও মারা যান মা। এ ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকালে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের কানিয়াইল এলাকার সোমেশ্বরী নদীতে।
নিহত রেজিয়া খাতুন (৬০) কানিয়াইল গ্রামের আব্দুল জলিলের স্ত্রী। বেঁচে যাওয়া মিম (১১) নামের মেয়ে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আব্দুল জলিলের চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে শিশু মিম সবার ছোট।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলের দিকে গরু গোসল করানোর জন্য বাড়ির পাশে সোমেশ্বরী নদীতে যান রেজিয়া খাতুন। মায়ের সঙ্গে গিয়েছিল শিশু মিম। একপর্যায়ে গরুর রশি পায়ে প্যাচ লাগায় নদীর পানিতে পড়ে যায় মিম। মেয়েকে বাঁচাতে মা রেজিয়া খাতুনও ঝাপিয়ে পড়লে পানিতে ডুবে যায় দুজনই।
আশপাশের লোকজন এ দৃশ্য দেখে ছুটে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা রেজিয়া খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। সত্যতা নিশ্চিত করে নিহতের স্বজন (ভাই) জালাল উদ্দিন বলেন, লাশ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেয়া হয়েছে। ছেলে মেয়েরা ঢাকায় থাকেন তারা আসলে দাফন করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, মা মেয়ে পানিতে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয়রা দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে একজনকে মৃত অবস্থায় পাই। মেয়ে শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, এমন ঘটনার সংবাদ আমাদের কাছে আসেনি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল