চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ ধরায় ৩টি অভিযানে ৪৭ জেলেকে আটক করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১২ জেলেকে এক মাসের কারাদণ্ড, ২৪ জেলেকে বিভিন্ন অংকের জরিমানা ও ১১ জন শিশু জেলেকে মুচলেকা রেখে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, শনিবার থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স পৃথক ৩টি অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করেন।
এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকারিয়া হোসেন।
টাস্কফোর্সের অভিযানে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ মৎস্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করেন। ৩টি ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এমরান হোসেন খান ও হাইমচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জেলেরা হলেন- মো. মমিন আলী (৪৫), আল-আমিন শৈয়াল (৩২), শাহজালাল মাল (৬৩), হাসান খান (১৮), রাকিব হোসেন (১৮), মানিক (২২), রাজিব মাল (২৫), হৃদয় মজুমদার (১৯), রাকিব খান (২০), নয়ন (১৮), আরিফ শেখ (২৩), আল-আমিন (৩৫)।
অর্থ জরিমানাপ্রাপ্ত ২৪ জেলেরা হলেন- শাহাবুদ্দিন (২৮), শিপন (২৮), আনসার খান (২৬), গিয়াস পাটওয়ারী (২৫), রিপন খান (২৪), হাসান গাজী (২০), আল-আমিন (২২), সরাফত গাজী (৩০), মাইনুদ্দিন ঢালী (৩০), শাহাদাত কাজী (৩০), আলমগীর গাজী (৪৫), জয়নাল বেপারী (৬৪), হৃদয় দেওয়ান (২০), ফরহাদ পাটওয়ারী (১৮), ফারুক মোল্লা (২৩), গোলাম রুসুল (৬৩), ওসমান গণি (৬০), রুবেল ঢালী (২২), ইব্রাহীম বেপারী (৬৮), সোলেমান বেপারী (৫৫), মিজানুর রহমান বেপারী (৬০), কালু (৩০), পারভেজ (২২), মরণ বেপারী (৫২)।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকায় ছেড়ে দেয়া ১১ জেলেরা হলো- রাকিব সামি (১৪), নয়ন সরদার (১৪), আবুল হোসেন (১৫), ইব্রাহীম (১৪), হৃদয় গাজী (১৪), বাবুল (১৫), ইউনুছ আলী (১১), সাইদুল (১২), ওসমান মোল্লা (১৩), রাজিব (১১) ও মোবারক (১৭)।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ