অ্যাম্বুলেন্স আছে ৩টা, এর মাঝে ২টা অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। আবার যে অ্যাম্বুলেন্সটি চালু আছে সেটাতেও নেই কোন চালক।
এমন বেহাল দশা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। যে কারণে অনেকদিন ধরেই জরুরি স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার রোগীরা। তবে এখনও পর্যন্ত এ সমস্যার কোন সমাধান হয়নি। বর্তমানে কোন চালক না থাকায় সচল ওই অ্যাম্বুলেন্সটিও কোন কাজে আসছে না রোগীদের।
ফলে জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে আসা উপজেলার সাধারণ মানুষের ভরসা এখন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকশা।
এতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা।
জানা যায়, রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ পর্যায়ক্রমে ৩টি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া ৩টি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে যান্ত্রিক ক্রটির কারণে ২টি অ্যাম্বুলেন্স অনেক আগেই অচল হয়ে গ্যারেজ বন্দী হয়ে আছে। বাকী ১টি সচল থাকলেও চালকের অভাবে অনেক দিন ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগীর স্বজনরা জানান, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না থাকার কারণে বিকল্প ব্যবস্থায় বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীদের বাইরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তাই দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সের চালক দেওয়ার দাবি জানান কালীগঞ্জ উপজেলার জনগণ।
এ ব্যাপারে কারীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ শিশির কুমার ছানা বলেন, হাসপাতালে যে অ্যাম্বুলেন্সের চালক ছিল স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে শৈলকুপা হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। এখন চালক নিয়োগের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে আবেদন করেছি। এঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন চালক পদায়ন হয়নি। তবে আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্যপদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স চালক পদায়ন করা হবে। তখন উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।
বিডি প্রতিদিন/আশিক