আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, তারা খেলা হবে বলে হুংকার দিয়েছিলেন। কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার আগেই খেলোয়াড়রা মাঠ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, গত ১৫ বছর নারায়ণগঞ্জে যা হয়েছে তা দেশের ইতিহাসে ঘৃণিত অধ্যায়। এই নারায়ণগঞ্জে মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে কীভাবে হত্যা করেছিল তা নারায়ণগঞ্জবাসী ভালো করেই জানেন। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে সেভেন মার্ডারের ঘটনা ঘটিয়েছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদসহ আরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আছে। কিন্তু কোনো দলই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। বরং রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভিন্নভাবে টোপ দিয়ে ও সুবিধা দিয়ে বিভক্ত করে রেখেছিল।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, আমরা যখন ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে বিএনপিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করেছিলাম, তখন অনেকেই রাজপথে আসেননি। গোপনে গোপনে কেউ টাকা খেয়ে, শেখ হাসিনার সঙ্গে সমঝোতা করে এই ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কাজেই ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পাওয়া নতুন স্বাধীন বাংলাদেশে পরিবর্তন ঘটাতে গণঅধিকার পরিষদ পুরোদমে কাজ করে যাবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আরিফ হোসেন ভুঁইয়াসহ জেলা ও মহানগর গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিডি প্রতিদিন/ইই