নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মীর খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
শনিবার দুপুরে উপজেলার বসুরহাট জিরো পয়েন্টে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতে ইসলামী এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর ও নোয়াখালী-৫ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারেফ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসিবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সাবেক ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াছিন আরাফাত।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্মমভাবে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মীকে গুলি করে। এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে এখন প্রতিহত করতে হবে।
এ সময় বক্তারা সাত নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আানার দাবি জানান এবং গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সাত শহীদকে স্মরণ করেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা নিজাম উদ্দীন ফারুক, মাওলানা সাইয়েদ আহমদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা বোরহান উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আলমগীর মুহাম্মদ ইউছুপ, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ইসমাঈল হোসেন মানিক, কবিরহাট উপজেলা জামায়াতের আমীর ফখরুল ইসলাম মিলন, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জহির উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হেদায়েত উল্যাহ মাসুদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর বিকালে বসুরহাট বাজারের উপজেলা মসজিদ গেইটে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।
বিডি প্রতিদিন/একেএ