মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ মাহমুদা আক্তারের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
রবিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি কবরস্থান সংলগ্ন মহাসড়কে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় মিছিল নিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনকারীদের অবরোধের মুখে মহাসড়কের কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে স্থানীয়দের অনুরোধে তারা মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, গত শুক্রবার টানা দুই দফায় মাহমুদাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। স্বামী ইমরানের দ্বিতীয় দফা মারধরে মারা যায় মাহমুদা। তাকে খুন করার পর পালিয়ে যায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় জড়িত স্বামী ইমরান ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার ও শাস্তি চান তারা।
নিহত মাহমুদার মা মর্জিনা বেগম বলেন, মুঠোফোনে আমাকে লাইনে রেখে আমার মেয়েকে মারধর করে তার স্বামী ইমরান। আমি সেখানে ছুটে যাওয়ার আগেই মারধর করে আমার মেয়েকে খুন করে পালিয়ে যায় সে। এ কাজে ইমরানের পরিবারের লোকজন তাকে সহযোগিতা করে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা একজনকে আটক করেছি। বাকি আসামি আটকে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে নিজ বসতঘর থেকে তিন সন্তানের জননী গৃহবধূ মাহমুদা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার স্বজনরা।
নিহতের নাম মাহমুদা আক্তার (৩৮)। তিনি গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের ইমরানের স্ত্রী।
বিডি প্রতিদিন/এমআই