কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কুড়িয়ে পাওয়া ৮ দিন বয়সের একটি কন্যা শিশুর বাবা মায়ের পরিচয় মিলেছে। শিশুটির মাতা জাহানারা বেগম ও পিতা নুর মোহাম্মদ এবং তাদের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার বাঁশের তল বকশির খামার গ্রামে বলে জানা গেছে।
শনিবার বিকেলের দিকে জানা যায়, গত ২ দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থেকে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় শিশুটিকে তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া করা হয়।
জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের একটি মোবাইল ফোন টাওয়ার সংলগ্ন মিলন মিয়া ও আসমাউল হোসনা দম্পতি তাদের বাড়ির ওয়াশ রুমের পাশে একটি নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করে শিশুটির অভিভাবক না পেয়ে পরে তাকে ভুরুঙ্গামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।পরে পুলিশ এ ব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে শিশুটিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। পরে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদটি প্রকাশিত হলে ওই শিশুটির ভাই শুক্রবার রাতে তার ও শিশুটির মাকে ফোন করে তথ্য জানায়। পরে রাত দুইটার দিকে অভিভাবক শিশুটির মা ভূরুঙ্গামারী থানায় এসে শিশুটির জন্য যোগাযোগ করে।
পুলিশ জানায়, আসমাউল হোসনা ও জাহানারা বেগম সম্পর্কে খালাতো বোন। গত ১৭ মে সিজার করে নুরজাহান বেগম একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। তার স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় গত শুক্রবার সকালে ঘর থেকে নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে কাউকে কিছু না বলে ভূরুঙ্গামারীতে আসমাউল হোসনার বাড়ির পাশে গোপনে রেখে চলে যায়। পরে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী থানার সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক ও নার্সের সহায়তায় শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, শিশুটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে এবং তার অভিভাবকের সন্ধান আমরা পেয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি ও সমাজসেবা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মাহমুদ জানান, শিশুটির অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া গেলেও আমরা তার পরিচয় যাচাই বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে শিশুটিকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করব। তবে সে যেহেতু এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাই আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল