রংপুর অঞ্চলে মে মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত বছর স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টি হলেও এর আগের বছর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম বৃষ্টি হয়েছিল। দুই বছরের ব্যবধানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২০০ মিলিমিটার।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা কমেছে ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এছাড়া উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে তিস্তাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী তিনদিনে কোথাও কোথাও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আবহাওয়া অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ছিল ২৯৫ মিলিমিটার। সেখানে ৩০ মে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪৬৪ মিলিমিটার। গত বছর ২৯৫ মিলিমিটারের সামান্য কিছু বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে এর আগের বছর অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ৯৫ মিলিমিটার কম বৃষ্টি হয়েছে।
গত ৪৮ ঘণ্টা আগে রংপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শুক্রবার বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা কমেছে ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় মে মাসে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাপমাত্রাও কমেছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ৩ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। তিস্তা নদী কতিপয় পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময়ে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলায় তিস্তা নদীর সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। শুক্রবার সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
অপরদিকে একই সময়ে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ ছিল ২৮ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল