ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার রাত থেকে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। বেশির ভাগ সড়ক থেকে পানি সরে গেছে। এছাড়া বাসা-বাড়ি থেকেও কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় আখাউড়ার গঙ্গাসাগর পয়েন্টে হাওড়া নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে আখাউড়া দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাউতলা, আবদুল্লাহপুর, ইটনা, কেন্দুয়াই, ছয়ঘরিয়া ও কালিকাপুরসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। তলিয়ে যায় আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। এরপর গত সোমবার হাওড়া নদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে নতুন করে প্লাবিত হয় কয়েকটি গ্রাম। সবমিলিয়ে অন্তত ১৯টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে করে পানিবন্দী হয়ে পড়ে অন্তত ৪৫০টি পরিবার। দুর্গতদের জন্য খোলা হয় ১৩টি আশ্রয়কেন্দ্র।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আকস্মিক বন্যায় উপজেলার ৬১টি হেক্টর কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে আউশ আবাদ, আউশ বীজতলা, শাকসবজি, আদা, হলুদ ও পুষ্টি বাগান ইত্যাদি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান জানান, হাওড়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন করে ভারত থেকে উজানের ঢলের পানি না আসলে বৃষ্টিপাত হলেও বন্যার পানি আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম রাশেদুল ইসলাম জানান, ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই