নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২নং ডাহিয়া ইউনিয়নের বিয়াশ কারিকর পাড়া ঈদগাহ মাঠ হয়ে ভদ্রাবতী নদী পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিঃমিঃ খুবই গুরুত্বর্পূণ ও জনবহুল একটি রাস্তা। বিয়াশ চক আদিত্য কারিকর পাড়া, মীরপাড়া, মিস্ত্রি পাড়া ও খোয়ার পাড়া এই ৫ পাড়ার প্রায় ৩ হাজারের অধিক জনবসতি বসবাস করে এবং এ রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করে। এখানকার প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়েই স্কুলে যায়। এছাড়া চলনবিলের মাঠ থেকে ধান ও কৃষিপণ্য আনা নেওয়ার এটাই একমাত্র রাস্তা।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানায়, আজ থেকে ১০ বছর আগে নিজেরা চাঁদা তুলে রাস্তা নির্মাণ করেছেন। রাস্তা নির্মাণের পর থেকে পাকাকরণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোন ফলাফল পান নাই। তাই রাগে ক্ষোভে বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানান গ্রামবাসি।
দুপুরে আকাশে রিমিঝিম বৃষ্টির মধ্যে ওই গ্রামের শতাধিক মানুষ কাদা রাস্তায় দাড়িয়ে এ দাবি জানান।
ভুক্তভোগী চকআদিত্য গ্রামের আনিছুর, আঃ মতিন, মহসিন ও স্কুল শিক্ষক ইসমাইল জানান, বিগত সরকারের সময় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিবারই ভোটের আগে রাস্তা পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের জন্য আমরা বর্তমান সরকারের কাছে জোড় দাবি জানাচ্ছি।
বড় আদিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মতিন জানান, ওই এলাকা থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী আমার স্কুলে পড়া লেখা করে। বর্ষার কয়েক মাস কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীরা আসতে পারে না। ফলে অনেক শিক্ষার্থীর পড়া লেখার বিঘ্ন ঘটে। এমতাবস্থায় রাস্তা পাকাকরণের দাবি করেন তিনি।
ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলতি অর্থ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ওই রাস্তার ৫০০ মিটার অংশ অর্থাৎ কারিকর পাড়া হতে মীরপাড়া পর্যন্ত পাকাকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি রাস্তা পাকাকরণের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিঠুন কুন্ডু জানান, সরেজমিনে গিয়ে দেখে এসেছি। রাস্তাটি পাকাকরণ করার জন্য আমরা আন্তরিক।
বিডি প্রতিদিন/এএ