খুলনার বয়রা বাজার চৌরাস্তা থেকে বিশেষায়িত হাসপাতাল হয়ে নতুন রাস্তা মোড় পর্যন্ত মুজগুন্নি সড়কটি খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টিতে পানি জমে অনেক স্থানে বিটুমিন ইট-সুরকি উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব গর্তে ব্যাটারিচালিত রিকশা, থ্রি হুইলারগুলো মাঝেমধ্যে উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তা ভাঙাচোরা বিপজ্জনক হওয়ায় নগরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। সরেজমিন সড়কটিতে এই চিত্র দেখা গেছে। খুলনা নগরীর শুধু এই সড়কটি নয়, বয়রার কলেজ মোড় থেকে বয়রা বাজার চৌরাস্তা হয়ে রায়ের মহল পর্যন্ত জংসন রোডেও বৃষ্টির পানি জমে অসংখ্য বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে খালাসির মোড় পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড ও মজিদ সরণি সড়কে সংস্কার, সম্প্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। সড়ক দুটি খুঁড়ে রাখায় সে পথে চলতে ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোডে গর্তের আকার এত বড় যে, সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় কয়েক ফুট পানির নিচে। ভাঙা সড়কের মাঝে জলাবদ্ধতা থাকে কয়েক দিন। অবস্থা এমন যে, হেঁটে চলারও সুযোগ নেই। ভাঙাচোরা সড়কটিতে দুই মাসের বেশি সময় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ১ নম্বর ওয়ার্ডে মাইল পোস্ট মেইন রোড, ২ নম্বর ওয়ার্ডে আনসার ফ্লাওয়ার মেইন রোড, মহেশ্বরপাশা মেইন রোড, কার্তিককুল, দেয়ানা মেইন রোড, সবুজ সংঘ রোড, গগন বাবু রোড, আহসান আহমেদ রোড, টুটপাড়া, সামসুর রহমান রোডসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কোনোটা বছরখানেক ধরে, আবার কোনোটা কয়েক মাস ধরে পড়ে আছে বেহালে।
জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশনের আওতায় ৬৪০.৬৮ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টিতে ১৮০-১৮৫টি স্থানে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেসিসির উপসহকারী প্রকৌশলী (খন্ডঅঞ্চল) এফ এম ফয়সাল জানান, ১-১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সড়কের ৮০-৮৫টি স্থানে চার ফিট বাই চার ফিট বা চার ফিট বাই তিন ফিট আকারে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এগুলো মেরামতে এস্টিমেট তৈরি করা হচ্ছে। কেসিসির উপসহকারী প্রকৌশলী (ক-অঞ্চল) নাজমুল হক জানান, দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টির পানি জমে থাকায় আহসান আহমেদ রোডে কার্পেটিং উঠে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামসুর রহমান রোডে ওয়াসার পাইপলাইন ফেটে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।