ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালনের প্রস্তুতি সভায় আমন্ত্রন না দেয়া নিয়ে গৌরনদীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। রবিবার বেলা ১২টায় উপজেলার বাসস্ট্যান্ড অডিটোরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আগামী ৫ আগস্ট র্যালি ও আলোচনা সভা হবে। এ উপলক্ষ্যে সকালে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড অডিটোরিয়ামে প্রস্তুতিমুলক সভা করে। সভায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বদিউজ্জামান মিন্টুসহ কয়েকজনকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি। সভা শুরুর পর বদিউজ্জামান মিন্টু সেখানে এসে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির সাজ্জাদ হান্নানের সাথে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। পরে দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে অডিটোরিয়ামে সামনে দুইপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে মিন্টুর পক্ষের রমজান, রিফাত ও ইমরানসহ ৫ জন আহত হয়। এছাড়াও জহির সাজ্জাদ হান্নানের পক্ষের মাসুদরানা, জসিম শরীফ, জামান শরীফ ও হাফিজসহ ৫ জন আহত হয়েছে। তারা সকলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু বলেন, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডস্থ অডিটোরিয়ামে ৫ আগস্ট পালনের প্রস্তুতি সভা চলছিলো। ওই সভায় আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে আমি দাওয়াত না পেয়েও ওই সভায় যাই। এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির সাজ্জাদ হান্নান ও তার ভাইয়ের ছেলে জসিম শরীফ কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করলে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। হান্নান শরীফের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের হামলা করেছে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান জানিয়েছেন, সভায় একটু সমস্যা হয়েছিলো। বিষয়টি সমাধান হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দলে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবরপেয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে পুলিশ। এ ঘটনায় কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
বিডি প্রতিদিন/এএ