২০২৪-২৫ অর্থ বছর শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি-নেসকোর বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। কোম্পানিটি এরইমধ্যে ৮৫ শতাংশ গ্রাহকের জন্য প্রিপেইড মিটার স্থাপন করলেও দীর্ঘদিনের এ বকেয়া নিয়ে ভুগছে। আর বকেয়ার তালিকার শীর্ষে রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা। এছাড়াও রয়েছে সরকারি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি-নেসকো দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ করে আসছে। আর কোম্পানিটি জুন পর্যন্ত বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। অবশ্য মোট বকেয়ার তিন চতুর্থাংশেরও বেশি কেবলমাত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার। সূত্রমতে, ১৯০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নাগরিক সেবা দিয়ে আসছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা। তবে এই পৌরসভা দেনাগ্রস্ত বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে। পৌর এলাকার নাগরিকদের সড়কবাতি, পানি সরবরাহসহ অন্যান্য সেবা দিতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে ৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। তবে শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নয় বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, মডেল মসজিদ, সরকারি গণগ্রন্থাগার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে বিদ্যুতের বকেয়া বিলের তালিকায়। নেসকো জানিয়েছে, এরইমধ্যে মোট ৭৮ হাজার গ্রাহকের ৮৫ শতাংশই প্রি-পেইড মিটারের আওতার এসেছে। বাকিগুলোও প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সব গ্রাহককে প্রিপ্রেইড পদ্ধতির আওতায় আনা গেলে ভবিষ্যতে আর বিল বকেয়া হবে না।
নেসকোর রাজশাহীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গোবিন্দ চন্দ্র সাহা বলেন, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন নেসকোর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ বলেন, বর্তমান প্রিপেইড মিটারের ফলে বকেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে পৌরসভার যে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে তা প্রায় ৩০-৩৫ বছর আগের। তারপরও পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএ