নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ২৪টি কারখানার সকল কার্যক্রম বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত দুই দিন ধরে চলা শ্রমিকদের আন্দোলনের সময় গতকাল যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাপজা কর্তৃপক্ষ গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘোষণা দেয়। নির্বাহী পরিচালক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বৃহস্পতিবার কারখানাগুলো খুলবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উত্তরা ইপিজেডে অবস্থিত এভারগ্রিন নামে একটি কোম্পানিতে ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সোমবার রাতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ হঠাৎ বন্ধের নোটিশ দেয়। মঙ্গলবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে শ্রমিকরা ওই নোটিশ দেখেন এবং প্রতিবাদে ইপিজেডের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকাল ৯টার দিকে তাদের সরানোর চেষ্টা করলে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হন। নিহত শ্রমিকের নাম হাবিব ইসলাম (২০)। তিনি নীলফামারী সদরের সংগলশী ইউনিয়নের কাজীরহাটের দুলাল হোসেনের ছেলে এবং ইপিজেডের ইকো কোম্পানির কর্মী ছিলেন।
জানা যায়, হাবিব ইকু কোম্পানিতে নৈশপ্রহরীর কাজে কর্মরত ছিলেন। রাতে দায়িত্ব পালন শেষে গতকাল সকালে বাড়ি ফেরার পথে সংঘর্ষের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে তিনি নিহত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তানভীরুল ইসলাম বলেন, সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তরা ইপিজেড থেকে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা আসতে থাকে। মৃত অবস্থায় হাবিব নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে একটু ক্ষত ছিল। তবে এটি গুলির চিহ্ন কি না তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া বলা সম্ভব নয়। আর সংঘর্ষের বিষয়ে নীলফামারী ব্যাটালিয়ন ৫৬ বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম বদরুদ্দোজা সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তরা ইপিজেডের ঘটনায় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি যৌথভাবে কাজ করছে। প্রশাসনিক পর্যায়ে কার্যক্রম চলছে এবং সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল