বাগেরহাটের একটি সংসদীয় আসন বিলুপ্তির প্রতিবাদে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিনে মোংলায় হরতালপালনকারীরা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তালা মেরে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে প্রথমে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অধীনে থাকা এসিল্যান্ড অফিসে তালা দেন আন্দোলনকারীরা। এরপর নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দিয়ে সেখানেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
পরে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে প্রবেশ করে কর্মকর্তাদের বের করে দিয়ে ওই অফিসেও তালা লাগিয়ে দেন হরতালকারীরা। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ ভবনে তালা লাগানোর আগে অন্যান্য দপ্তরের কর্মচারীদেরও অফিস ত্যাগে বাধ্য করা হয়।
হরতালকারীরা জানান, সংসদীয় আসন বিলুপ্তির প্রতিবাদে চলমান হরতাল সফল করতেই খোলা থাকা সরকারি দপ্তরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত হরতাল অব্যাহত থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। দীর্ঘ সময় ধরে এই কাঠামো বজায় ছিল। তখনকার সীমানা ছিল: বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
ইসির চূড়ান্ত সীমানার গেজেট অনুযায়ী বর্তমান আসনের সীমানা: বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
বিডি প্রতিদিন/মুসা