কক্সবাজারের মহেশখালীর দুর্গম পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা অভিযানে ১০টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১৫ জানায়, মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের ফকিরজুম পাড়া, আঁধার ঘোনা এবং মিজ্জির পাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসীদের দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি ও গুপ্ত হত্যার মতো অপরাধ চলছিল। এসব নির্মূল করতে যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে চালানো হয় এ বিশেষ অভিযান।
র্যাব-১৫ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত চিহ্নিত ডাকাত ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার না হবে, ততদিন পর্যন্ত পাহাড়ে চিরুনি অভিযান চলবে।’
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত র্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালান। এ সময় অন্তত পাঁচটি টংঘর (অস্থায়ী আস্তানা) ধ্বংস করা হয়। তবে অভিযানকারীরা জানিয়েছে, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় সন্ত্রাসীদের মূল ঘাঁটি এবং ভ্রাম্যমাণ অস্ত্র কারখানায় এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, চারদিকে সাগরে ঘেরা এই পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় একপ্রান্তে অভিযান শুরু হলে সন্ত্রাসীরা সহজেই অন্যপ্রান্তে সরে পড়ে। ফলে তাদের ধরতে সময় লাগছে।
অভিযানে র্যাবের ২০০ জন সদস্য ছাড়াও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। অভিযানে অংশ নেওয়া শহীদ তানভীর ছিদ্দিকীর বড় ভাই মিজানুর রহমান মাতাব্বর বলেন, ‘আমার ভাই ও চাচা তোফায়েলকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তারা এখনো ফকিরজুম পাড়া, নোনাছড়ি গোদার পাড়া এবং আঁধার ঘোনার পাহাড়ে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। গডফাদার তারেক, লম্বা তারেক ও কালাবদারের নেতৃত্বে তারা অস্ত্রের কারখানা পরিচালনা করছে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ