কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সিলেট মহানগর জামায়াত। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে নগরীতে মিছিল করেন জামায়াত নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, বর্তমান সরকারকে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য জুলাই ঘোষণা সনদের কার্যক্রম সমাপ্ত করতে হবে। জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি না পেলে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে ফ্যাসিবাদ আমলের ভিত্তির নির্বাচন। সংস্কারবিহীন নির্বাচন হলে এটি হবে জুলাই চেতনার পরিপন্থী নির্বাচন।
তিনি বলেন, এ বছরের ৫ আগস্ট বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার জুলাই ঘোষণাপত্র দিয়েছে। সরকার সেই ঘোষণাপত্রে জুলাই স্পিরিট ধারণ করার পরিবর্তে বিশেষ জাতি-গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। সেই ঘোষণাপত্রে শাপলা চত্বরের গণহত্যার কোনো উল্লেখ নেই, পিলখানায় সেনা হত্যার কথা উল্লেখ নেই, শেখ হাসিনার আমলের গুম-খুন ও জুডিশিয়ালের কথা উল্লেখ নেই। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওয়াদা করেছিল জুলাই সনদ হবে ঐক্যমতের ভিত্তিতে। ৮৪টি বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছে কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে দুই-একটি দল হস্তক্ষেপ করেছে। এই সরকারের ভূমিকা আমরা নিরপেক্ষতা দেখিনি।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা জুলাই চেতনাকে স্বীকার না করে সংস্কারে বাধা প্রদান করতে চায় তারাই প্রকৃতভাবে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। দুই একটি দল পিআর পদ্ধতি মানেন না, সংস্কার পদ্ধতিও মানে না এবং আইনি ভিত্তিও তারা চান না — তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কিসের ভিত্তিতে করবেন। সেই শেখ হাসিনা আমলের নির্বাচন, দিনের ভোট রাতে দেওয়ার নির্বাচন, ২০১৪ সালের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন, ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচন। এই নির্বাচন আর হবে না। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সেই অপশাসনের কবর রচিত হয়েছে।
সমাবেশে সিলেট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, মহানগর আমির ফখরুল ইসলাম, নায়েবে আমির ড. নুরুল ইসলাম বাবুল ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সমাবেশ শেষে রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে মিছিল বের করেন জামায়াত নেতাকর্মীরা। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল