চলতি বর্ষায় কয়েক দফায় ভারতের ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে অসময়ে ভাঙছে পদ্মা নদীর ভাঙন। ইতিমধ্যে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ১৪ কিলোমিটার এলাকার বসতভিটা, ফসলি জমিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করছে নদী পাড়ের ৫০ হাজার মানুষ। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন ঠেকাতে টেকসই বাঁধ নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক দফা ভারতের ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় বৃদ্ধি পায় পদ্মা নদীর পানি। এতে পানির স্রোতে জেলার সদর উপজেলার আলাতুলী, নারায়নপুর এবং শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর, উজিরপুর ও পাঁকা ইউনিয়নে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দেয়।
ভাঙন আতঙ্কে নদী তীরবর্তী ১৫ কিলোমিটার এলাকার ৫০ হাজার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তারা বাড়িঘর ভেঙে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছেন। এছাড়া স্কুল,মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি প্রদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শিগগিরই টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা না হলে শিবগঞ্জ ও সদর উপজেলা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন শিবগঞ্জ উপজেলার বিএনপি নেতা বেলাল-ই-বাকি ইদ্রিশী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম আহসান হাবীব বলেন, সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে আগামী বন্যার আগেই কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/কামাল