‘কৃষিই সমৃদ্ধি’—এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল কাইয়ুম খান আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সবুজ চৌধুরী। এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নড়িয়া উপজেলা কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান, কৃষি বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উপকারভোগী কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি কর্মকর্তা মো. সবুজ চৌধুরী জানান, রবি শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পতিত জমিকে আবাদযোগ্য করে তুলতে পাঁচজন করে কৃষকের দল গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সকল পতিত জমিকে আবাদে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কৃষি বিভাগ।
তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উৎসাহিত করতে সরকার বিনামূল্যে উন্নত জাতের বীজ ও সার বিতরণ করছে। এর ফলে উৎপাদন বাড়বে এবং খাদ্যঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে।
ইউএনও মো. আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘আবাদযোগ্য সব পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এই প্রণোদনা কর্মসূচি কৃষকদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে।’
এ বছর নড়িয়া উপজেলায় মোট ৩ হাজার ৪২৫ জন কৃষককে বিনামূল্যে সরকারিভাবে ৬৮ মেট্রিক টন সার ও বিভিন্ন ফসলের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সরিষা বীজ ২,২১০ কেজি, সূর্যমুখী বীজ ২২০ কেজি, পেঁয়াজ বীজ ৮০ কেজি, চিনাবাদাম বীজ ৩০০ কেজি, গম বীজ ৫ মেট্রিক টন, মসুর ডালের বীজ ৬৫০ কেজি, খেসারির বীজ ৪৮০ কেজি, সয়াবিন বীজ ২৫ কেজি এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান বীজ ২,১৭৫ কেজি।
এই প্রণোদনার ফলে উপজেলার প্রায় ৫০০ হেক্টর পতিত জমি নতুন করে আবাদযোগ্য হয়েছে।
উপকারভোগী কৃষকরা জানান, প্রাপ্ত সার ও বীজের মান অত্যন্ত ভালো। এতে ফলন বাড়বে এবং কোনো জমি পতিত থাকবে না বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ