৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:৩৬

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি ভালো কাজ করছে: গভর্নর

অনলাইন ডেস্ক

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি ভালো কাজ করছে: গভর্নর

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ভালো কাজ করছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যেসব নীতি সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন, তা আমরা দিয়ে যাব। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।  তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের এক্সপোজারের সংজ্ঞা নিয়ে গত ১০/১২ বছর ধরে যে সমস্যা চলছে সেটা এখন সমাধান হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারের দুটো দিক আছে। একটা হলো ইক্যুইটি সাইড, আর একটা হলো ডেট সাইড। ইক্যুইটি সাইডকে আমরা পুঁজিবাজার বলি, এখানে আমরা সবাই কাজ করি। এটাই আমাদের বিনিয়োগের বড় জায়গা। কিন্তু যেটা হলো ডেট সাইড, সেখানে বন্ড মার্কেটটা সেভাবে উন্নত হয়নি। আমি গভর্নর হওয়ার পরে বিএসইসি চেয়ারম্যান আমার সঙ্গে দেখা করতে এলে তাকে আমি বলেছি, বন্ড মার্কেটটাকে কেন আপনারা শক্তিশালী করছেন না? আমি অর্থসচিব থাকার সময়েও তাকে এই প্রশ্ন করেছিলাম।

গভর্নর বলেন, খেলা‌পি ঋণ বে‌শি, মূলধ‌ন ঘাটতি, ঋণ-আমানত অনুপাত এবং প্রভিশনিং বা নিরাপত্তা স‌ঞ্চি‌তির পরিমাণ বি‌বেচনায় নি‌য়ে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসময় তিনি আরও বলেন, আমি দুর্বল ব্যাংকগু‌লোর নাম বল‌তে চাই না। ত‌বে পত্রপ‌ত্রিকায় এরইম‌ধ্যে নাম আস‌ছে। আমা‌দের লক্ষ্য ব্যাংকগু‌লো‌কে উন্ন‌ত ক‌রে অর্থ‌নৈ‌তিকভা‌বে শ‌ক্তিশালী করা।  

এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এ সার্কুলারে বর্ণিত শর্ত মোতাবেক ব্যাংকগুলো উপরোক্ত বিষয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে, যা আগে অনেকটা অস্বচ্ছ এবং অসমভাবে করা হতো।  

ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকসমূহকে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে চারটি চলক যেমন, শ্রেণীকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধন পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত এবং প্রভিশনিংয়ের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তাদের সমস্যা সমাধানকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়ান-টু-ওয়ান ভিত্তিতে আলোচনা কার্যক্রম শুরু করছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো একটি ৩ বছর মেয়াদী বিজনেস প্ল্যান প্রদান করবে, যার ক্রমঅগ্রগতি বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ করবেন।  


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর