দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এবং সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, গ্যাস সংকটে শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ দরকার। সেটা বাসাবাড়ি থেকে কিছুটা কমিয়ে হলেও আমাদের দিতে হবে। এতে আমরা কর্মসংস্থান বাড়াবো, ফরেন কারেন্সি বাড়াবো, ইনকাম ট্যাক্স বাড়াবো এবং ভ্যাটও বাড়বে। তাই আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে হবে। ইন্ডাস্ট্রির চাহিদার সাথে সমন্বয় করতে হবে।
বুধবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। এ কে আজাদ আরও বলেন, বেশ কিছু শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। আরও কিছু বন্ধ হওয়ার পথে। কয়েকদিন আগে আমি বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছেন। এখন মোটামুটি আমরা একটা ভালো অবস্থানে আছি। এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে আমরা মোটামুটি চালিয়ে নিতে পারবো। কিন্তু আমরা সারভাইভ করবো না, কারণ কস্ট অব প্রোডাকশন বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা রপ্তানি করি, আমেরিকাতে আমাদের ক্রেতারা আর দাম বাড়াচ্ছে না। বরং দাম কমিয়ে দিচ্ছে। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি বলেন, আমেরিকায় এক সামিটে এক অর্থনীতিবিদ বললেন, ট্রাম্প সরকার আসার পর চীনের উপর যে ট্যাক্স ডিউটি বসাবে, তাতে বিভিন্ন ব্যবসা আমাদের বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও পাকিস্তানমুখী হবে। অলরেডি কিন্তু শিফট হয়ে আসছে। কিন্তু আমরা অ্যাকোমোডেট করতে পারছি না। কারণ এক্সিস্টিং অর্ডার কিন্তু আমরা টাইমলি শিপমেন্টে দিতে পারছি না।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল