রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

চন্দ্রাবতীর রামায়ণ

১৯৩২ সালে দীনেশ চন্দ্র সেন চন্দ্রাবতীর রামায়ণ প্রকাশ করেন। পূর্ববঙ্গ-গীতিকার চতুর্থ খণ্ডের দ্বিতীয় ভাগে এ রামায়ণ স্থান পেয়েছে। দীর্ঘদিন এ কাব্য পূর্ব ময়মনসিংহের ঘরে ঘরে পঠিত ও গীত হয়েছে। লৌকিক, মানবিক ও অন্যান্য মৌলিক উপদানসমৃদ্ধ এ কাব্যটি বিশেষ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। পশ্চিমবঙ্গের অনেক স্থানে পঠিত ও মহিলাদের দ্বারা গীত হয়েছে তার রামায়ণ গান। দস্যু কেনারামের গাথা কাহিনীটি 'দ্বিজ বংশীসুতা' এ ভণিতায় চন্দ্রাবতীর রচনা বলে চিহ্নিত হয়েছে। এ ছাড়া তিনি পদ্মাপুরাণ ও মলুয়া নামে আরও দুটি কাব্য রচনা করেন। তাছাড়া চন্দ্রাবতী অজস লোকগীতি রচনা করেন। নৌকার মাঝির কণ্ঠে, ব্রতে, বিয়েতে এবং প্রতিদিনের গার্হস্থ্য জীবনে আজও শোনা যায় চন্দ্রাবতীর গান। ষোল শতকের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার স্বরূপ প্রতিফলিত হয়েছে তার রচনায়। চন্দ্রাবতীর স্মৃতি, রচনা, জীবন ও সাহিত্য আজও বহমান স্রোতোধারার মতো গবেষক ও পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

সর্বশেষ খবর