শনিবার, ৬ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

কোরুদ

কোরুদ। এর আরেক নাম কুরকুটি। এটি ছোট আকৃতির গুপ্তবীজী উদ্ভিদ। বৈজ্ঞানিক নাম Licuala peltata, গোত্র Arecaceae। এরা চিরসবুজ দলবদ্ধ পাম। লম্বায় ২-৩ মিটার, কাণ্ড ১৫ সেমি ব্যাসবিশিষ্ট। পত্রবৃন্ত প্রায় ১.৫ সেমি লম্বা, পত্র ফলক প্রায় গোলাকার। এটি মিশ্র প্রকৃতির বনে আর্দ্র ছায়াযুক্ত স্থানে জন্মে। চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও সিলেটের গহিন জঙ্গলে বিলুপ্তপ্রায় এ উদ্ভিদটি পাওয়া যায়। এ গাছের পাতা ঝাঁপি বা ছাতা বানিয়ে ব্যবহার করা হয়। ঘর ছাওয়ার কাজেও এর পাতার ব্যবহার রয়েছে। এর মূল ঐতিহ্যবাহী মূত্রবর্ধক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের বাইরে মিয়ানমার এবং ভারতের বিহার, মণিপুর, ত্রিপুরা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এই উদ্ভিদ পাওয়া যায়। অতি আহরণ এবং বসতি ধ্বংসের ফলে কোরুদ আমাদের দেশে দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের Red Data Book (২০০১)-এর তথ্য অনুযায়ী কোরুদ গাছ অন্যতম শঙ্কাকুল। জার্মপ্লাজম ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সিলেট, চট্টগ্রাম পার্বত্য চট্টগ্রামের সাফারি পার্ক ও ইকোপার্কগুলোতে এ উদ্ভিদটিকে Ex situ conservation প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর