মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থী বান্দার প্রতি সর্বদাই দয়ালু

আবদুর রশিদ

আল্লাহ ক্ষমাশীল। মৃত্যুর আগ মুহূর্তেও বান্দা যদি তার গুনাহর জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চায় তবে সে ক্ষমা পেতে পারে।

হজরত আনাস (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদমসন্তানই অপরাধী। উত্তম অপরাধী তারাই যারা তওবা করে, ক্ষমা চায়।’ আবু দাউদ, মিশকাত।

এ হাদিস দ্বারা বোঝা গেল সবচেয়ে উত্তম ওই ব্যক্তি যে অপরাধ করার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়।

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম! নিশ্চয় আমি দিনে সত্তর বারের বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, এবং তাঁর কাছে তওবা করি।’ বুখারি, মিশকাত।

আগার মুজানি (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হে মানবমন্ডলী! আল্লাহর কাছে তওবা কর। আমি দৈনিক শতবার তাঁর কাছে তওবা করি।’ মুসলিম, মিশকাত।

হজরত আবু জার গিফারি (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা বলেন, হে আমার বান্দারা! তোমরা অপরাধ করে থাকো রাতদিন। আমি সব অপরাধ মাফ করে দিই। সুতরাং তোমরা আমার কাছে ক্ষমা চাও। আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব।’ মুসলিম, মিশকাত।

হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘বনি ইসরাইলের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল যে নিরানব্বইজন মানুষকে হত্যা করেছিল। অতঃপর সে ফেতোয়া জিজ্ঞাসা করার জন্য বের হলো এবং একজন দরবেশের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল এরূপ ব্যক্তির জন্য তওবা আছে কি? তিনি বললেন, নেই। সে তাকেও হত্যা করল এবং বার বার লোকদের জিজ্ঞাসা করতে লাগল। এক ব্যক্তি বলল, অমুক গ্রামে গিয়ে অমুককে জিজ্ঞাসা কর। এ সময় তার মৃত্যু এসে গেল এবং মৃত্যুকালে সে নিজের বুককে ওই গ্রামের দিকে কিছু বাড়িয়ে দিল। অতঃপর রহমত ও আজাবের ফেরেশতারা পরস্পর ঝগড়া করতে লাগল। কারা তার রুহ নিয়ে যাবে। এ সময় আল্লাহতায়ালা ওই গ্রামকে বললেন, তুমি মৃতের কাছে আসো আর তার নিজ গ্রামকে বললেন, তুমি দূরে সরে যাও। অতঃপর ফেরেশতাদের বললেন, তোমরা উভয় দিকের দূরত্ব মেপে দেখ। মেপে তাকে এই গ্রামের দিকে এক বিঘত কাছে পাওয়া গেল। সুতরাং তাকে মাফ করে দেওয়া হলো।’ বুখারি, মুসলিম, মিশকাত।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

 

 

সর্বশেষ খবর