শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ আপডেট:

মালেকরাই গজনির সুলতান, দেশটা সোমনাথ মন্দির

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
মালেকরাই গজনির সুলতান, দেশটা সোমনাথ মন্দির

শ্বেতশুভ্র লম্বা দাড়ি, সাদা শার্ট, মাথায় টুপি, স্নিগ্ধ নিষ্পাপ চেহারা! দেখতে তিনি যেন এক বুজুর্গ আলেম দরবেশ আল্লাহভীরুই নন, হালাল তরিকায় রুটি-রুজিতে জীবিকা নির্বাহ করা শতভাগ সরল এক সৎ মানুষ। ছবি দেখে ভেবেছিলাম র‌্যাব হয়তো কোনো আলেমকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ও বাবা! পরে দেখি এ আরেক রাষ্ট্রীয় ডাকাতের একজন! আক্কেল গুড়–ম অবস্থা আমার! র‌্যাব তাকে আটক করায় তার এ ধর্মের লেবাসের আড়ালে বেরিয়ে এসেছে কুৎসিত কদর্য যত ভয়ঙ্কর অপরাধ।

আমি র‌্যাবের হাতে আটক স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক অঢেল অবৈধ অর্থসম্পদের মালিক বনে যাওয়া আবদুল মালেক ওরফে বাদলের কথা বলছি। এখন আর পোশাকে চেহারায় ভালো মানুষ চেনা যায় না! এখন আর ধর্মীয় পোশাক নামাজ হজে মশগুল কাউকে দেখলেই আল্লাহর নেক বান্দা বলে বিশ্বাস করা যায় না। সব লেবাসের আড়ালেই আমাদের চারপাশে বাস করে চোর, ডাকাত, লোভী কদর্য সব মানুষ। লুটেরা অর্থ পাচারকারী আর দুর্নীতির মোগলরা। মালেককে র‌্যাব ধরার আগে না মিডিয়া না মানুষ কেউ তার খবর জানল না!

এমন লজ্জা সবার জন্যই গ্লানির। গণমাধ্যমকেও এখন সারা দেশের লুটেরা, দুর্নীতিবাজদের মুখোশ খোলার সময়। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বাড়ানো দরকার। দুদক তাকে দুবার ডেকেও ওপরের চাপেই হোক আর নিজেদের দুর্বলতায়ই হোক কিছুই করতে পারেনি। দুদক কত ছোট লুটেরাকে ধরে আবার ওপরের চাপে সাদা বানিয়ে মুক্তি দেয়। সাবেক দুদক চেয়ারম্যান যথার্থই বলেছিলেন, দুদক এক নখদন্তহীন বাঘ।

দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান কথায় ব্যক্তিত্বে আস্থা অর্জন করেছিলেন। রিলিফ ও গম চুরির অভিযোগে মেম্বার, চেয়ারম্যান ছাড়া কী ধরেছেন? এত অর্থ বিদেশে পাচার হলো, ব্যাংকে ও শেয়ারবাজারে সীমাহীন লুটপাট হলো। ঘুষ, দুর্নীতিতে কতজন সারা দেশে অবৈধ অর্থসম্পদের মালিক হলো তার কটা ধরেছেন? একটা রাঘববোয়াল ধরেছে দুদক? দেশে দেশে অর্থ পাচার করা বেগমপাড়ার বাসিন্দারা কেন পাকড়াও হয় না? তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয় না? গাড়িচালক মালেকের বিশাল সম্পদসহ নানা অপরাধে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে র‌্যাব আটক করেছে। স্বাস্থ্যের কর্মচারী আবজাল ১ হাজার ৫০০ কোটি কামিয়ে এখন জেলে। তাদের সিন্ডিকেটের গাড়িচালক মালেকই যদি এত সম্পদ বানিয়ে থাকেন, তাহলে পরিষ্কার যে, গোটা স্বাস্থ্য খাতের বিশাল হরিলুটে টপ টু বটম কি নির্লজ্জ দুর্নীতিগ্রস্ত! ওপরের কর্তাদের দুর্নীতি আশকারায় কর্মচারী আবজাল, ড্রাইভার বাদল এমন দাপুটে লুটেরা হন। এদের জন্য আবার সাহেব-বিবির অন্দরমহল খোলা থাকে বাণিজ্যের দফারফায়!

এরা লেবাস পরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি আলেম-ওলামা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ সৎ মানুষের অবমাননা করে। দেশের জনগণ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে সততার সঙ্গে। সন্তান মানুষ করা, চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হিমশিম খায়। রাজনীতি থেকে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কত মানুষ কত সংগ্রাম করে। দেশে বিনিয়োগকারী শিল্পপতি থেকে খুদে ব্যবসায়ী উদয়াস্ত যুদ্ধ করে আর একদল অসভ্য চোর, ডাকাত বেহায়া হারামখোর সারা দেশে নির্লজ্জের মতো লুটপাট চালায়। এদের বাবাদের ধরা হয় না বলে বহালতবিয়তে দাপটে জীবনযাপন করে।

মালেক রাজধানীর হাতিরপুলে ৪ কাঠা জমির ওপর ১০ তলা এবং তুরাগে ৬ কাঠা জমিতে সাত তলার দুটি ভবন, ২৪টি ফ্ল্যাট, অঢেল টাকা, দুই স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ভাইয়ের নামে গড়েছেন আরও অঢেল সম্পত্তি। নিয়োগ-বাণিজ্য, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ পাইয়ে কমিশন লাভ, জাল টাকার বাণিজ্য, অস্ত্র-বাণিজ্য, অস্ত্রবাজি, কী করেননি আটক স্বাস্থ্য খাতের এইট পাস গাড়িচালক ডন মালেক? মালেকরা আজ গোটা মূল্যবোধহীন দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের একজন খুদে মডেল মাত্র। যারা গর্ব করে বলেন, দুর্নীতি করাও একটা যোগ্যতা তাদের আইডল। যারা যেনতেন উপায়ে টাকা কামালেই বলেন, ট্যালেন্ট, তাদের নষ্ট সমাজের কালো মুখ মালেক। ছোট বড় কত সহস্র মালেক আজ দেশটা গিলে খাচ্ছে! লোভের বিষে বিষাক্ত করেছে সমাজকে।

এখন আর গজনির সুলতানদের শত শত মাইল বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে সোমনাথ মন্দির লুট করে সম্পদ গড়তে হয় না। রাজদুর্নীতির এ যুগে দেশের স্বাস্থ্য খাতের গাড়িচালক মালেক থেকে কর্মচারী আবজালরাই শত শত কোটি টাকার সম্পদ লুট করে বহালতবিয়তে থাকেন। মাঝেমধ্যে ধরা পড়ে কেউ কেউ। কত লুটেরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে! মালেক, আবজাল, জি কে শামীমরা একেকজন আজ গজনির সুলতান। আর দেশটাকে তারা বানিয়েছেন সোমনাথ মন্দির। সোমনাথ মন্দিরে গজনির সুলতান লুটেছিলেন হিন্দু রাজাদের গোপন সম্পদ। আর এরা লোটেন দেশের সম্পদ। এদের মধ্যে অনেকে রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, এমপি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রকৌশলী, ডাক্তার, মধ্যস্বত্বভোগী, তদবিরবাজ, দালাল, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, গণমাধ্যমের একাংশও রয়েছে। সারা দেশে এদের বিচরণ। হরিলুট করছে। এমন কোনো সরকারি অফিস নেই যেখানে দুর্নীতির ঘা নেই।

মালেক কি দেশে একজন? এদের গডফাদার কি একজন? এরা কি এক দিনে তৈরি হয়েছে? বছরের পর বছর সব সরকারের আমলে এরা তৈরি হয় দুর্নীতির ছায়ায়। বিএনপি জমানায় হাওয়া ভবনের ছায়ার বাইরেও কি তৈরি হয়নি? সোনালী ব্যাংকের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা কর্মচারী বাকিরের কথা মনে পড়ে? ওয়ান-ইলেভেনে আটক হয়ে মারা যান কারাগারে! কি দাপট ছিল তার রাজনৈতিক প্রভাবে। বনের রাজা ওসমান গনির তোশকজুড়ে কেবল টাকা আর টাকা। তিতাসের মিটার রিডার থেকে শিল্পপতি হওয়া সেই ধনাঢ্য চোরটা?

এখানে জনগণের উন্নয়নের টাকা, ট্যাক্সের টাকা, ভ্যাটের টাকা, প্রবাসী শ্রমিকের ঘামে ঝরা রেমিট্যান্সের টাকা, বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণের টাকা কৃষক-শ্রমিকের হাড় ভাঙা পরিশ্রমের টাকা, সরকারের জনকল্যাণে নেওয়া প্রকল্পের টাকা সব। এখানে লুটেরাদের সৈন্যবাহিনী লাগে না। সিন্ডিকেট লাগে। যার যার সেক্টরে ওপরের কর্তাদের প্রশ্রয়-আশ্রয় ভাগাভাগি লাগে। অর্থের নেশায় পদপদবির মর্যাদা ভুলে এরা ড্রাইভার, কর্মচারীর সঙ্গে রুচিহীনতায় নির্লজ্জের ভাগাভাগি করে।

গজনির সুলতান মাহমুদ ১৭ বার ভারত অভিযান করেছিলেন। সে সময় তাঁকে অপ্রতিরোধ্য শক্তি বলা হতো। ১০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে ৪২ দিনে সৈন্যসামন্ত নিয়ে গজনি থেকে গুজরাটের সোমনাথ মন্দির অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। তাঁর বিভিন্ন অভিযানে স্থানীয় হিন্দু রাজাদের পরাজিত করার খবর যেমন রয়েছে, তেমনি সেই রাজাদের সোনা, হীরা এ মন্দিরে গচ্ছিত রাখার খবর আছে। ইতিহাসের সত্য হচ্ছে, সোমনাথ মন্দির থেকে সে অভিযানে গজনির সুলতান ২০০ মণ সোনা লুট করে তাঁর দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন।

মালেক এলাকায় রীতিমতো মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন। মাত্র অষ্টম শ্রেণি পাস মালেক ১৯৮২ সালে সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে চালক হিসেবে যোগদান করে ’৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলে চালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বর্তমানে প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরে কর্মরত।

মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেন একা যুদ্ধ করবেন; আর কারও দায় নেই। তিনি যাদের যত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের কি নিজেদের ভালো থাকা আর না হয় সব দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, ঘুষখোরকে পাহারা ও প্রশ্রয় দেওয়া দায়িত্ব? ক্যাসিনো-বাণিজ্য থেকে জি কে শামীমদের একচেটিয়া টেন্ডার- বাণিজ্য, পাপিয়া, সাহেদ, সাবরিনা, জেমির মতো প্রতারক এমনকি ফরিদপুরের ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কয়েকজনকে ২ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ে আটক তাকেই করতে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে। এক ফরিদপুরে যদি এমন হয় তাহলে সারা দেশের সব জেলায় কতজন দুর্ধর্ষ অপরাধী অবৈধ অর্থ-বাণিজ্য সম্পদের অঢেল মালিক আজ? এক স্বাস্থ্য অধিদফতর যদি মিঠু-আবজাল-মালেক সিন্ডিকেটে দুর্নীতিতে অভিশপ্ত হয় তাহলে বাকি সব প্রতিষ্ঠান কোনটা কত অন্ধকার বীভৎস? জনগণের সম্পদ লুটেরাদের আইনের আওতায় এনে সব অবৈধ সম্পদ কেন বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেওয়া হয় না। প্রয়োজনে বিশেষ আদালত ও আইন দরকার। এদিকে সব মন্ত্রী, এমপি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদেরও কঠোর বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতিবিরোধী চলমান অভিযান আরও শক্তিশালী করা দরকার। গণজাগরণও দরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অভিনন্দন জানাতে হয়।

মালেক কেবল ড্রাইভারদের নিয়োগ-বদলি ও পদোন্নতির নামে হাতিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডাক্তারদের বদলি, পদোন্নতি, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগের নামে বিপুল অর্থ আদায় করেছেন মালেক। মন্ত্রী থেকে কর্মকর্তারা কি তখন আঙুল চুষছিলেন? দায় তাদের নিতে হবেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মেয়ে নওরিন সুলতানাকে কম্পিউটার অপারেটর, ভাই আবদুল খালেক ও ভাতিজা আবদুল হাকিমকে অফিসসহায়ক, বড় মেয়ের স্বামী রতনকে ক্যান্টিন ম্যানেজার, আত্মীয় কামাল পাশাকে অফিসসহায়ক, ভায়রা মাহবুবকে ড্রাইভার এবং ভাগ্নে সোহেল শিকারীকে ড্রাইভার পদে স্বাস্থ্য অধিদফতরে চাকরি দিয়েছেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের গাড়িচালক হিসেবে তিনি কর্মরত। তবে নিজে গাড়িচালক হয়েও মহাপরিচালকের পাজেরো গাড়িটি হরহামেশাই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন। এতসব অপকর্ম কেন করতে দেওয়া হতো তা দুধের বাচ্চারও বোঝার কথা। কতটা যন্ত্রণায় মালেক আটকের পর একজন চিকিৎসক স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ডিজি হয়ে মরতে চাই না, ড্রাইভার হয়ে মরতে চাই!

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মালেকের অন্যতম আশ্রয়দাতা হিসেবে একাধিক সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গেও তার দহরম-মহরম ছিল। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কবির হোসেন চৌধুরী ছাড়াও বিএমএ ও স্বাচিপের কয়েকজন নেতার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহ মনির হোসেনের আমলে গাড়িচালক মালেক একাই শতাধিক নিয়োগ-বাণিজ্য করেছেন। কি ভয়ঙ্কর রুচিহীন কর্তাদের দুর্নীতি। সবাইকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

এ দেশে যত গালি রাজনীতিবিদদের জন্য। জেল নির্যাতন তাও রাজনীতিবিদ। সমালোচনা নিউজ রাজনীতিবিদদের কপালেই। সেটা হোক। রাজনীতিবিদ মানুষের নেতা, ভুল করলে খেসারত দেবেন। কখনো তালি কখনো গালি খাবেন। তাদের ব্যর্থতায় আজ এ অবস্থা। তাই বলে সব পাবলিক সার্ভেন্ট বা আমলারা কি ধোয়া তুলসীপাতা! সারা জীবন সব সরকারের আমলে ব্রিটিশের তৈরি আইনের ম্যাকিয়াভেলির আমলাতন্ত্রের প্রভুর আসনে আরামে রাজত্ব করেন। অবসরের শেষে জোটে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। সেটার সময় শেষ হলে আবার কপালে জোটে ফের দীর্ঘ নিয়োগ। কখনো আরেক ধাপ এগিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান তাদের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়। হোক নির্বাচন কমিশন বা পাবলিক সার্ভিস কমিশন। অবসরে গিয়েও তারা কর্মক্ষম। এরপর এমপি, মন্ত্রীও হন! অন্যদিকে সরকার বদল হলেই রাজনীতিবিদদের জন্য জেলসহ কত নির্যাতন-নিপীড়ন, অসম্মান। তবু রাজনীতিবিদরা জনগণের সমর্থন থাকার পরও ক্ষমতায় থাকতে এটা মনেও রাখেন না!

আমলারা ভোগ করেন জনগণের টাকায় বাড়তি বিলাসী জীবন। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের রক্তঝরা সিঁড়িপথে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের যে মর্যাদা ও ক্ষমতা দিয়েছিলেন আজ তা কারও মনেও নেই। সামরিক শাসকরা যা করতে পারেননি গণতন্ত্রের যাত্রাপথে ১৯৯৬ সালে জনতার মঞ্চে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে যে রাজনৈতিকীকরণ দৃশ্যমান হয় সেটি ২০০১ সালের পর থেকে দলীয়করণের প্রাতিষ্ঠানিকতা লাভ করে।

এর পর থেকেই পাবলিক সার্ভেন্ট আর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নন, সরকারি দলের অনুগত কর্মীতে পরিণত হন। বিগত ১১ বছরে তো সবাই আওয়ামী লীগ অন্য পেশাজীবীদের মতো। ’৭৫-পরবর্তী তাদের ছাত্র রাজনীতির দর্শনেও কারও কিছু আসে যায় না। এক কথায় সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। তারা রাজনৈতিক সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের নন, তাদের সিন্ডিকেটের বড় সাহেবদের হিসাবে চলেন। এখন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অসীম ক্ষমতাধর। পাবলিক সার্ভেন্টরা জনগণ যে ক্ষমতার মালিক তা ভুলে গিয়ে নিজেদের কিংমেকারই নন, ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক মনে করছেন।

মনে হয় এত মোটা বেতন, এত সুযোগ-সুবিধায় তারা আরও বেপরোয়া। অনেকে ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার করছেন যে বলার মতো নয়।

বিসিএস প্রশাসনে সরকারি কর্মকর্তাদের পদ না থাক, পদোন্নতি আছে। কর্তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ছেই। উপসচিব পর্যায়ে গাড়ি কেনায় ঋণ মেলে। ৪ শতাংশ সুদে সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়ি করতে ঋণ পাবেন। জনগণ এর পরও ক্ষমতার মালিক, তারা পাবলিক সার্ভেন্ট নাকি প্রহসন? করোনাকালে ফ্রন্টলাইনে না থেকেও আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন অনেকে। বেতন এত বাড়লেও নতুন পে-স্কেলের দাবি তুলছেন। চারজন সচিব মুক্তিযোদ্ধা হতে গিয়ে ধরা পড়ে হতে পারেননি। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বা প্রতারণা মামলায় শাস্তিও নেই। অনেকে জাল সনদ নিয়ে চাকরির বয়সসীমাও বাড়িয়েছেন। ঘোড়াঘাটের ইউএনওর ওপর হামলা জঘন্য। তার বাড়িতে পাওয়া এত নগদ টাকা রহস্যময় তদন্তের।

ক্ষমতার মালিক জনগণকে যখন-তখন কোমরে রশি বেঁধে আনা যাবে, কিন্তু পাবলিক সার্ভেন্টকে ধরতে, মামলা করতে বিভাগীয় অনুমতি লাগে। রাজনীতিবিদদের রোজ দল আইন ও জনগণের কাছে পরীক্ষা দিতে হয়। সারা জীবন দলের আদর্শে আপসহীন থাকলেও কপালে কত দ- জোটে। ক্ষমতার পালাবদলে পাবলিক সার্ভেন্টরাও চরিত্র বদলে বহালতবিয়তে থাকেন। কিন্তু তাদের কাজ হওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রের প্রতি, রাষ্ট্রের মালিক জনগণের প্রতি অনুগত থেকে সরকারের কর্মসূচি পেশাদারিত্বে বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা। সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে না যাওয়া। অতীতে তাই ছিল। দেশে দেশে এখনো আছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেখ হাসিনার সরকার বেতন-ভাতা বৃদ্ধি থেকে এত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তার পরও সরকারি খাতেই ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি কেন? এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে?

আমলারা হাঁসের মতো মাছটা খেয়ে গা-ঝাড়া দিয়ে কাদা মুছে চলেন। তাদের পরীক্ষা নেই। কে কোথা থেকে এলেন জানারও দরকার নেই। রাজার হালে নিরাপদ জীবন। আহারে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আফসোসে যথার্থই বলেছিলেন, রাজনীতি করলে বিসিএস পাস করেই, ইঞ্জিনিয়ার হয়েই, ডাক্তার হয়েই রাজনীতি করুন। চাকরি করে অবসরে গিয়ে কেন? আর আমি বলি অবসরে যাওয়ার পরও জনগণের টাকায় তাদের ক্ষমতার আসনে কেন দীর্ঘদিন বসানো হবে? এটা রেওয়াজে পরিণত করা হচ্ছে কেন? আমলাদের এমন সুসময় অতীতে কখনো আসেনি, আসবেও না। দুর্ভাগ্য যে, ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের শাসনামলেই তারা যা চান তা-ই পান। আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুজিবকন্যার চলমান সংগ্রামে সব মহলকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী না হলে দুর্নীতিবাজ, ডাকাতরা আরও বেপরোয়া উন্মাদ হবে। দেশটাকে লুটপাট করে ফোকলা বানিয়ে ছাড়বে। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে চাইলে সব দুর্নীতিবাজ অপরাধীকে রুখতেই হবে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
ইসলামের বিশ্বাস সহাবস্থানে
ইসলামের বিশ্বাস সহাবস্থানে
গণতন্ত্র কাগজের দলিল নয়- চর্চার বিষয়
গণতন্ত্র কাগজের দলিল নয়- চর্চার বিষয়
অতৃপ্তি ও অসহিষ্ণুতার রাজনীতি
অতৃপ্তি ও অসহিষ্ণুতার রাজনীতি
বেকারত্ব
বেকারত্ব
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
স্মরণ : সৈয়দ মুজতবা আলী
স্মরণ : সৈয়দ মুজতবা আলী
হালাল উপার্জন জিহাদের সমতুল্য
হালাল উপার্জন জিহাদের সমতুল্য
স্মার্ট কৃষির প্রস্তুতি
স্মার্ট কৃষির প্রস্তুতি
শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা শত্রু নয়
শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা শত্রু নয়
বিদেশি ঋণ পরিশোধ
বিদেশি ঋণ পরিশোধ
সর্বশেষ খবর
সুপার ফোরে যাওয়ার আশা আছে, ট্রফি জিততেই এসেছি: জাকের
সুপার ফোরে যাওয়ার আশা আছে, ট্রফি জিততেই এসেছি: জাকের

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতে মুক্তি পাচ্ছে না ফাওয়াদ খান-বাণীর ‘আবীর গুলাল’
ভারতে মুক্তি পাচ্ছে না ফাওয়াদ খান-বাণীর ‘আবীর গুলাল’

৩৩ মিনিট আগে | শোবিজ

ভারত নয়, এশিয়া কাপ জয়ে চোখ পাকিস্তানের: সাইম আইয়ুব
ভারত নয়, এশিয়া কাপ জয়ে চোখ পাকিস্তানের: সাইম আইয়ুব

৫১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গ্রিসে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ
গ্রিসে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

জাকের-শামিমের লড়াকু ইনিংসও রক্ষা করতে পারলো না বাংলাদেশকে
জাকের-শামিমের লড়াকু ইনিংসও রক্ষা করতে পারলো না বাংলাদেশকে

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্যানেলের জিতু, জিএস শিবিরের মাজহারুল
জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র প্যানেলের জিতু, জিএস শিবিরের মাজহারুল

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এমবাপের জোড়া গোল, রিয়াল মাদ্রিদের চতুর্থ টানা জয়
এমবাপের জোড়া গোল, রিয়াল মাদ্রিদের চতুর্থ টানা জয়

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই
বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ওমানে দেওয়াল ধসে ফটিকছড়ির ঠিকাদারের মৃত্যু
ওমানে দেওয়াল ধসে ফটিকছড়ির ঠিকাদারের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৩৯ রানে থামল বাংলাদেশ
১৩৯ রানে থামল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নিজের দেশে ফিরে যাও: যুক্তরাজ্যে শিখ নারীকে ধর্ষণের পর বর্ণবাদী মন্তব্য
নিজের দেশে ফিরে যাও: যুক্তরাজ্যে শিখ নারীকে ধর্ষণের পর বর্ণবাদী মন্তব্য

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যারা নির্বাচিত হননি তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই: জিএস মাজহারুল
যারা নির্বাচিত হননি তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই: জিএস মাজহারুল

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হকারমুক্ত হলো ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ
হকারমুক্ত হলো ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

কিং সিনেমার শুটিং থামিয়ে যেকারণে দেশে ফিরছেন শাহরুখ
কিং সিনেমার শুটিং থামিয়ে যেকারণে দেশে ফিরছেন শাহরুখ

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘কুলি’তে ক্যামিও নিয়ে সমালোচনার অভিযোগ অস্বীকার আমিরের
‘কুলি’তে ক্যামিও নিয়ে সমালোচনার অভিযোগ অস্বীকার আমিরের

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গোসলে নেমে কলেজছাত্রের মৃত্যু
গোসলে নেমে কলেজছাত্রের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার
গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন কোনো ফ্যাসিবাদকে শিকড় গাড়তে দেওয়া হবে না: মামুনুল হক
নতুন কোনো ফ্যাসিবাদকে শিকড় গাড়তে দেওয়া হবে না: মামুনুল হক

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনে শান্ত হতে শুরু করেছে নেপাল
সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনে শান্ত হতে শুরু করেছে নেপাল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি কে এই জিতু?
জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি কে এই জিতু?

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চুয়াডাঙ্গায় গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ
চুয়াডাঙ্গায় গাড়ি চালকদের প্রশিক্ষণ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাইক্ষ্যংছড়িতে এসিড নিক্ষেপ: গৃহবধূর মৃত্যু
নাইক্ষ্যংছড়িতে এসিড নিক্ষেপ: গৃহবধূর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুষ্টিয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝাপান খেলার আয়োজন
কুষ্টিয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঝাপান খেলার আয়োজন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুলিশের সাফল্যের প্রধান নিয়ামক হলো জনসম্পৃক্ততা : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের সাফল্যের প্রধান নিয়ামক হলো জনসম্পৃক্ততা : ডিএমপি কমিশনার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জেলা প্রশাসনের সহকারীরা সূর্যের মতো কাজ করে: চট্টগ্রাম ডিসি
জেলা প্রশাসনের সহকারীরা সূর্যের মতো কাজ করে: চট্টগ্রাম ডিসি

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাংবাদিক জাকারিয়া চৌধুরীর পিতার দাফন সম্পন্ন
সাংবাদিক জাকারিয়া চৌধুরীর পিতার দাফন সম্পন্ন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুন্দরবনে নদীর স্রোতে ভেসে গেল মাদরাসা ছাত্র
সুন্দরবনে নদীর স্রোতে ভেসে গেল মাদরাসা ছাত্র

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন
সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল ও এজিএস ফেরদৌস
জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল ও এজিএস ফেরদৌস

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রস্তাবে বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশের সমর্থন
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রস্তাবে বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশের সমর্থন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাকসু নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য অধ্যাপক স্নিগ্ধার পদত্যাগ
জাকসু নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য অধ্যাপক স্নিগ্ধার পদত্যাগ

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিবে বেজে উঠল সাইরেন
ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিবে বেজে উঠল সাইরেন

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাবির হল সংসদগুলোতে নির্বাচিত হলেন যারা
জাবির হল সংসদগুলোতে নির্বাচিত হলেন যারা

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উপদেষ্টা মাহফুজের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি লন্ডন হাইকমিশনের
উপদেষ্টা মাহফুজের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি লন্ডন হাইকমিশনের

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার মিসরে হামলার পরিকল্পনা ইসরায়েলের, দাবি রিপোর্টে
এবার মিসরে হামলার পরিকল্পনা ইসরায়েলের, দাবি রিপোর্টে

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি, নেপালে নতুন ইতিহাস
শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি, নেপালে নতুন ইতিহাস

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্গাপূজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ১২ দিন ছুটি
দুর্গাপূজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ১২ দিন ছুটি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে জয়ী হলেন যারা
জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে জয়ী হলেন যারা

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা চলছে
জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা চলছে

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উত্তজনা বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে বড় ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার
উত্তজনা বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে বড় ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি কে এই জিতু?
জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি কে এই জিতু?

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিউইয়র্কে নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের ঘোষণা মেয়র প্রার্থী মামদানির
নিউইয়র্কে নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের ঘোষণা মেয়র প্রার্থী মামদানির

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লংকানদের বিপক্ষে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ
লংকানদের বিপক্ষে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি সিনেমা ও টিভি সিরিজ দেখার অপরাধে দেয়া হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড
উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি সিনেমা ও টিভি সিরিজ দেখার অপরাধে দেয়া হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমান ছিনতাই করেছিলেন নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলার স্বামী!
বিমান ছিনতাই করেছিলেন নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলার স্বামী!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের হাতেই খুন হন ইসলামি বক্তা আমিনুল হক নোমানী
ছেলের হাতেই খুন হন ইসলামি বক্তা আমিনুল হক নোমানী

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাকসু নির্বাচনের ফলাফল দুপুরে ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনার
জাকসু নির্বাচনের ফলাফল দুপুরে ঘোষণা: নির্বাচন কমিশনার

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভোট কারচুপি প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবো: জাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার
ভোট কারচুপি প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবো: জাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সংশয় নেই’
‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সংশয় নেই’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের সাবেক ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম গ্রেফতার
পুলিশের সাবেক ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টিতে ৩০৪ রান করে যে ১৫ রেকর্ড গড়লো ইংল্যান্ড
টি-টোয়েন্টিতে ৩০৪ রান করে যে ১৫ রেকর্ড গড়লো ইংল্যান্ড

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার
গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর ডিনার
ট্রাম্পের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর ডিনার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য পাগল হবেন না : গয়েশ্বর
এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য পাগল হবেন না : গয়েশ্বর

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ, এবার ফলাফলের অপেক্ষা
জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ, এবার ফলাফলের অপেক্ষা

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মণিপুর গিয়ে যে বার্তা দিলেন মোদি
মণিপুর গিয়ে যে বার্তা দিলেন মোদি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সহকারী শিক্ষকদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
সহকারী শিক্ষকদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
চীন-ভারতের হারানো পোশাকের ক্রয়াদেশ আসছে বাংলাদেশে
চীন-ভারতের হারানো পোশাকের ক্রয়াদেশ আসছে বাংলাদেশে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐক্য চেষ্টা ব্যর্থ, শঙ্কা নির্বাচনে
ঐক্য চেষ্টা ব্যর্থ, শঙ্কা নির্বাচনে

প্রথম পৃষ্ঠা

জাকসুও শিবিরের দখলে
জাকসুও শিবিরের দখলে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবানা বললেন শিগগিরই দেশে আসব
শাবানা বললেন শিগগিরই দেশে আসব

শোবিজ

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ‘মহারণ’ আজ
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ‘মহারণ’ আজ

মাঠে ময়দানে

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী পাঁচ জামায়াত-এনসিপির একক
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী পাঁচ জামায়াত-এনসিপির একক

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজ কাতার প্রধানমন্ত্রীর
ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজ কাতার প্রধানমন্ত্রীর

পেছনের পৃষ্ঠা

আকাশছোঁয়া দাম শিশুখাদ্যের
আকাশছোঁয়া দাম শিশুখাদ্যের

পেছনের পৃষ্ঠা

দায়িত্ব নিয়েই ভোটের তারিখ দিলেন সুশীলা
দায়িত্ব নিয়েই ভোটের তারিখ দিলেন সুশীলা

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা কিংস মোহামেডান একই গ্রুপে
বসুন্ধরা কিংস মোহামেডান একই গ্রুপে

মাঠে ময়দানে

লন্ডনে তথ্য উপদেষ্টার ওপর হামলা
লন্ডনে তথ্য উপদেষ্টার ওপর হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমে প্রতারিত হয়ে ভারতে ফিরে গেলেন তরুণী
প্রেমে প্রতারিত হয়ে ভারতে ফিরে গেলেন তরুণী

পেছনের পৃষ্ঠা

ডাকসুতে ভরাডুবি নিয়ে হতাশা এনসিপির
ডাকসুতে ভরাডুবি নিয়ে হতাশা এনসিপির

প্রথম পৃষ্ঠা

অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে
অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

দেশগ্রাম

নেপালের প্রধানমন্ত্রীর স্বামী বিমান ছিনতাই করেছিলেন
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর স্বামী বিমান ছিনতাই করেছিলেন

পেছনের পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে সব সরকারি অফিস ঘেরাও আজ
বাগেরহাটে সব সরকারি অফিস ঘেরাও আজ

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতির কারণে নেপাল বিপদে
পিআর পদ্ধতির কারণে নেপাল বিপদে

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্নীতিই ছিল সাধনের নীতি
দুর্নীতিই ছিল সাধনের নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

কানাডায় দৈনিক আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ১২
কানাডায় দৈনিক আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ১২

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিতে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস
ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিতে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস

প্রথম পৃষ্ঠা

৪৮ ঘণ্টার নাটকীয়তা কেন এ বিলম্ব?
৪৮ ঘণ্টার নাটকীয়তা কেন এ বিলম্ব?

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিক জাকারিয়ার পিতার দাফন
সাংবাদিক জাকারিয়ার পিতার দাফন

খবর

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছানোর দাবি
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছানোর দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

শরৎকাল নিয়ে যত গান
শরৎকাল নিয়ে যত গান

শোবিজ

জুলাই সনদকে স্বীকৃতি দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে : মামুনুল হক
জুলাই সনদকে স্বীকৃতি দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে : মামুনুল হক

খবর

পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন প্রয়োজন কিন্তু যথেষ্ট নয়
পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন প্রয়োজন কিন্তু যথেষ্ট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সারসংকট
সারসংকট

সম্পাদকীয়

টেন্ডার ছাড়াই চলছে সাত ট্রেন
টেন্ডার ছাড়াই চলছে সাত ট্রেন

নগর জীবন

কী ঘটবে অন্য ছাত্র সংসদগুলোতে
কী ঘটবে অন্য ছাত্র সংসদগুলোতে

প্রথম পৃষ্ঠা