শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ আপডেট:

মালেকরাই গজনির সুলতান, দেশটা সোমনাথ মন্দির

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
মালেকরাই গজনির সুলতান, দেশটা সোমনাথ মন্দির

শ্বেতশুভ্র লম্বা দাড়ি, সাদা শার্ট, মাথায় টুপি, স্নিগ্ধ নিষ্পাপ চেহারা! দেখতে তিনি যেন এক বুজুর্গ আলেম দরবেশ আল্লাহভীরুই নন, হালাল তরিকায় রুটি-রুজিতে জীবিকা নির্বাহ করা শতভাগ সরল এক সৎ মানুষ। ছবি দেখে ভেবেছিলাম র‌্যাব হয়তো কোনো আলেমকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ও বাবা! পরে দেখি এ আরেক রাষ্ট্রীয় ডাকাতের একজন! আক্কেল গুড়–ম অবস্থা আমার! র‌্যাব তাকে আটক করায় তার এ ধর্মের লেবাসের আড়ালে বেরিয়ে এসেছে কুৎসিত কদর্য যত ভয়ঙ্কর অপরাধ।

আমি র‌্যাবের হাতে আটক স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক অঢেল অবৈধ অর্থসম্পদের মালিক বনে যাওয়া আবদুল মালেক ওরফে বাদলের কথা বলছি। এখন আর পোশাকে চেহারায় ভালো মানুষ চেনা যায় না! এখন আর ধর্মীয় পোশাক নামাজ হজে মশগুল কাউকে দেখলেই আল্লাহর নেক বান্দা বলে বিশ্বাস করা যায় না। সব লেবাসের আড়ালেই আমাদের চারপাশে বাস করে চোর, ডাকাত, লোভী কদর্য সব মানুষ। লুটেরা অর্থ পাচারকারী আর দুর্নীতির মোগলরা। মালেককে র‌্যাব ধরার আগে না মিডিয়া না মানুষ কেউ তার খবর জানল না!

এমন লজ্জা সবার জন্যই গ্লানির। গণমাধ্যমকেও এখন সারা দেশের লুটেরা, দুর্নীতিবাজদের মুখোশ খোলার সময়। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বাড়ানো দরকার। দুদক তাকে দুবার ডেকেও ওপরের চাপেই হোক আর নিজেদের দুর্বলতায়ই হোক কিছুই করতে পারেনি। দুদক কত ছোট লুটেরাকে ধরে আবার ওপরের চাপে সাদা বানিয়ে মুক্তি দেয়। সাবেক দুদক চেয়ারম্যান যথার্থই বলেছিলেন, দুদক এক নখদন্তহীন বাঘ।

দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান কথায় ব্যক্তিত্বে আস্থা অর্জন করেছিলেন। রিলিফ ও গম চুরির অভিযোগে মেম্বার, চেয়ারম্যান ছাড়া কী ধরেছেন? এত অর্থ বিদেশে পাচার হলো, ব্যাংকে ও শেয়ারবাজারে সীমাহীন লুটপাট হলো। ঘুষ, দুর্নীতিতে কতজন সারা দেশে অবৈধ অর্থসম্পদের মালিক হলো তার কটা ধরেছেন? একটা রাঘববোয়াল ধরেছে দুদক? দেশে দেশে অর্থ পাচার করা বেগমপাড়ার বাসিন্দারা কেন পাকড়াও হয় না? তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয় না? গাড়িচালক মালেকের বিশাল সম্পদসহ নানা অপরাধে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে র‌্যাব আটক করেছে। স্বাস্থ্যের কর্মচারী আবজাল ১ হাজার ৫০০ কোটি কামিয়ে এখন জেলে। তাদের সিন্ডিকেটের গাড়িচালক মালেকই যদি এত সম্পদ বানিয়ে থাকেন, তাহলে পরিষ্কার যে, গোটা স্বাস্থ্য খাতের বিশাল হরিলুটে টপ টু বটম কি নির্লজ্জ দুর্নীতিগ্রস্ত! ওপরের কর্তাদের দুর্নীতি আশকারায় কর্মচারী আবজাল, ড্রাইভার বাদল এমন দাপুটে লুটেরা হন। এদের জন্য আবার সাহেব-বিবির অন্দরমহল খোলা থাকে বাণিজ্যের দফারফায়!

এরা লেবাস পরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি আলেম-ওলামা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ সৎ মানুষের অবমাননা করে। দেশের জনগণ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে সততার সঙ্গে। সন্তান মানুষ করা, চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হিমশিম খায়। রাজনীতি থেকে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কত মানুষ কত সংগ্রাম করে। দেশে বিনিয়োগকারী শিল্পপতি থেকে খুদে ব্যবসায়ী উদয়াস্ত যুদ্ধ করে আর একদল অসভ্য চোর, ডাকাত বেহায়া হারামখোর সারা দেশে নির্লজ্জের মতো লুটপাট চালায়। এদের বাবাদের ধরা হয় না বলে বহালতবিয়তে দাপটে জীবনযাপন করে।

মালেক রাজধানীর হাতিরপুলে ৪ কাঠা জমির ওপর ১০ তলা এবং তুরাগে ৬ কাঠা জমিতে সাত তলার দুটি ভবন, ২৪টি ফ্ল্যাট, অঢেল টাকা, দুই স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ভাইয়ের নামে গড়েছেন আরও অঢেল সম্পত্তি। নিয়োগ-বাণিজ্য, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ পাইয়ে কমিশন লাভ, জাল টাকার বাণিজ্য, অস্ত্র-বাণিজ্য, অস্ত্রবাজি, কী করেননি আটক স্বাস্থ্য খাতের এইট পাস গাড়িচালক ডন মালেক? মালেকরা আজ গোটা মূল্যবোধহীন দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের একজন খুদে মডেল মাত্র। যারা গর্ব করে বলেন, দুর্নীতি করাও একটা যোগ্যতা তাদের আইডল। যারা যেনতেন উপায়ে টাকা কামালেই বলেন, ট্যালেন্ট, তাদের নষ্ট সমাজের কালো মুখ মালেক। ছোট বড় কত সহস্র মালেক আজ দেশটা গিলে খাচ্ছে! লোভের বিষে বিষাক্ত করেছে সমাজকে।

এখন আর গজনির সুলতানদের শত শত মাইল বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে সোমনাথ মন্দির লুট করে সম্পদ গড়তে হয় না। রাজদুর্নীতির এ যুগে দেশের স্বাস্থ্য খাতের গাড়িচালক মালেক থেকে কর্মচারী আবজালরাই শত শত কোটি টাকার সম্পদ লুট করে বহালতবিয়তে থাকেন। মাঝেমধ্যে ধরা পড়ে কেউ কেউ। কত লুটেরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে! মালেক, আবজাল, জি কে শামীমরা একেকজন আজ গজনির সুলতান। আর দেশটাকে তারা বানিয়েছেন সোমনাথ মন্দির। সোমনাথ মন্দিরে গজনির সুলতান লুটেছিলেন হিন্দু রাজাদের গোপন সম্পদ। আর এরা লোটেন দেশের সম্পদ। এদের মধ্যে অনেকে রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, এমপি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রকৌশলী, ডাক্তার, মধ্যস্বত্বভোগী, তদবিরবাজ, দালাল, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, গণমাধ্যমের একাংশও রয়েছে। সারা দেশে এদের বিচরণ। হরিলুট করছে। এমন কোনো সরকারি অফিস নেই যেখানে দুর্নীতির ঘা নেই।

মালেক কি দেশে একজন? এদের গডফাদার কি একজন? এরা কি এক দিনে তৈরি হয়েছে? বছরের পর বছর সব সরকারের আমলে এরা তৈরি হয় দুর্নীতির ছায়ায়। বিএনপি জমানায় হাওয়া ভবনের ছায়ার বাইরেও কি তৈরি হয়নি? সোনালী ব্যাংকের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা কর্মচারী বাকিরের কথা মনে পড়ে? ওয়ান-ইলেভেনে আটক হয়ে মারা যান কারাগারে! কি দাপট ছিল তার রাজনৈতিক প্রভাবে। বনের রাজা ওসমান গনির তোশকজুড়ে কেবল টাকা আর টাকা। তিতাসের মিটার রিডার থেকে শিল্পপতি হওয়া সেই ধনাঢ্য চোরটা?

এখানে জনগণের উন্নয়নের টাকা, ট্যাক্সের টাকা, ভ্যাটের টাকা, প্রবাসী শ্রমিকের ঘামে ঝরা রেমিট্যান্সের টাকা, বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণের টাকা কৃষক-শ্রমিকের হাড় ভাঙা পরিশ্রমের টাকা, সরকারের জনকল্যাণে নেওয়া প্রকল্পের টাকা সব। এখানে লুটেরাদের সৈন্যবাহিনী লাগে না। সিন্ডিকেট লাগে। যার যার সেক্টরে ওপরের কর্তাদের প্রশ্রয়-আশ্রয় ভাগাভাগি লাগে। অর্থের নেশায় পদপদবির মর্যাদা ভুলে এরা ড্রাইভার, কর্মচারীর সঙ্গে রুচিহীনতায় নির্লজ্জের ভাগাভাগি করে।

গজনির সুলতান মাহমুদ ১৭ বার ভারত অভিযান করেছিলেন। সে সময় তাঁকে অপ্রতিরোধ্য শক্তি বলা হতো। ১০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে ৪২ দিনে সৈন্যসামন্ত নিয়ে গজনি থেকে গুজরাটের সোমনাথ মন্দির অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। তাঁর বিভিন্ন অভিযানে স্থানীয় হিন্দু রাজাদের পরাজিত করার খবর যেমন রয়েছে, তেমনি সেই রাজাদের সোনা, হীরা এ মন্দিরে গচ্ছিত রাখার খবর আছে। ইতিহাসের সত্য হচ্ছে, সোমনাথ মন্দির থেকে সে অভিযানে গজনির সুলতান ২০০ মণ সোনা লুট করে তাঁর দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন।

মালেক এলাকায় রীতিমতো মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন। মাত্র অষ্টম শ্রেণি পাস মালেক ১৯৮২ সালে সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে চালক হিসেবে যোগদান করে ’৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলে চালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বর্তমানে প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরে কর্মরত।

মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেন একা যুদ্ধ করবেন; আর কারও দায় নেই। তিনি যাদের যত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের কি নিজেদের ভালো থাকা আর না হয় সব দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, ঘুষখোরকে পাহারা ও প্রশ্রয় দেওয়া দায়িত্ব? ক্যাসিনো-বাণিজ্য থেকে জি কে শামীমদের একচেটিয়া টেন্ডার- বাণিজ্য, পাপিয়া, সাহেদ, সাবরিনা, জেমির মতো প্রতারক এমনকি ফরিদপুরের ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কয়েকজনকে ২ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ে আটক তাকেই করতে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে। এক ফরিদপুরে যদি এমন হয় তাহলে সারা দেশের সব জেলায় কতজন দুর্ধর্ষ অপরাধী অবৈধ অর্থ-বাণিজ্য সম্পদের অঢেল মালিক আজ? এক স্বাস্থ্য অধিদফতর যদি মিঠু-আবজাল-মালেক সিন্ডিকেটে দুর্নীতিতে অভিশপ্ত হয় তাহলে বাকি সব প্রতিষ্ঠান কোনটা কত অন্ধকার বীভৎস? জনগণের সম্পদ লুটেরাদের আইনের আওতায় এনে সব অবৈধ সম্পদ কেন বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেওয়া হয় না। প্রয়োজনে বিশেষ আদালত ও আইন দরকার। এদিকে সব মন্ত্রী, এমপি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদেরও কঠোর বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতিবিরোধী চলমান অভিযান আরও শক্তিশালী করা দরকার। গণজাগরণও দরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অভিনন্দন জানাতে হয়।

মালেক কেবল ড্রাইভারদের নিয়োগ-বদলি ও পদোন্নতির নামে হাতিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডাক্তারদের বদলি, পদোন্নতি, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগের নামে বিপুল অর্থ আদায় করেছেন মালেক। মন্ত্রী থেকে কর্মকর্তারা কি তখন আঙুল চুষছিলেন? দায় তাদের নিতে হবেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মেয়ে নওরিন সুলতানাকে কম্পিউটার অপারেটর, ভাই আবদুল খালেক ও ভাতিজা আবদুল হাকিমকে অফিসসহায়ক, বড় মেয়ের স্বামী রতনকে ক্যান্টিন ম্যানেজার, আত্মীয় কামাল পাশাকে অফিসসহায়ক, ভায়রা মাহবুবকে ড্রাইভার এবং ভাগ্নে সোহেল শিকারীকে ড্রাইভার পদে স্বাস্থ্য অধিদফতরে চাকরি দিয়েছেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের গাড়িচালক হিসেবে তিনি কর্মরত। তবে নিজে গাড়িচালক হয়েও মহাপরিচালকের পাজেরো গাড়িটি হরহামেশাই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন। এতসব অপকর্ম কেন করতে দেওয়া হতো তা দুধের বাচ্চারও বোঝার কথা। কতটা যন্ত্রণায় মালেক আটকের পর একজন চিকিৎসক স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ডিজি হয়ে মরতে চাই না, ড্রাইভার হয়ে মরতে চাই!

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মালেকের অন্যতম আশ্রয়দাতা হিসেবে একাধিক সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গেও তার দহরম-মহরম ছিল। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কবির হোসেন চৌধুরী ছাড়াও বিএমএ ও স্বাচিপের কয়েকজন নেতার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহ মনির হোসেনের আমলে গাড়িচালক মালেক একাই শতাধিক নিয়োগ-বাণিজ্য করেছেন। কি ভয়ঙ্কর রুচিহীন কর্তাদের দুর্নীতি। সবাইকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

এ দেশে যত গালি রাজনীতিবিদদের জন্য। জেল নির্যাতন তাও রাজনীতিবিদ। সমালোচনা নিউজ রাজনীতিবিদদের কপালেই। সেটা হোক। রাজনীতিবিদ মানুষের নেতা, ভুল করলে খেসারত দেবেন। কখনো তালি কখনো গালি খাবেন। তাদের ব্যর্থতায় আজ এ অবস্থা। তাই বলে সব পাবলিক সার্ভেন্ট বা আমলারা কি ধোয়া তুলসীপাতা! সারা জীবন সব সরকারের আমলে ব্রিটিশের তৈরি আইনের ম্যাকিয়াভেলির আমলাতন্ত্রের প্রভুর আসনে আরামে রাজত্ব করেন। অবসরের শেষে জোটে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। সেটার সময় শেষ হলে আবার কপালে জোটে ফের দীর্ঘ নিয়োগ। কখনো আরেক ধাপ এগিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান তাদের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়। হোক নির্বাচন কমিশন বা পাবলিক সার্ভিস কমিশন। অবসরে গিয়েও তারা কর্মক্ষম। এরপর এমপি, মন্ত্রীও হন! অন্যদিকে সরকার বদল হলেই রাজনীতিবিদদের জন্য জেলসহ কত নির্যাতন-নিপীড়ন, অসম্মান। তবু রাজনীতিবিদরা জনগণের সমর্থন থাকার পরও ক্ষমতায় থাকতে এটা মনেও রাখেন না!

আমলারা ভোগ করেন জনগণের টাকায় বাড়তি বিলাসী জীবন। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের রক্তঝরা সিঁড়িপথে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের যে মর্যাদা ও ক্ষমতা দিয়েছিলেন আজ তা কারও মনেও নেই। সামরিক শাসকরা যা করতে পারেননি গণতন্ত্রের যাত্রাপথে ১৯৯৬ সালে জনতার মঞ্চে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে যে রাজনৈতিকীকরণ দৃশ্যমান হয় সেটি ২০০১ সালের পর থেকে দলীয়করণের প্রাতিষ্ঠানিকতা লাভ করে।

এর পর থেকেই পাবলিক সার্ভেন্ট আর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নন, সরকারি দলের অনুগত কর্মীতে পরিণত হন। বিগত ১১ বছরে তো সবাই আওয়ামী লীগ অন্য পেশাজীবীদের মতো। ’৭৫-পরবর্তী তাদের ছাত্র রাজনীতির দর্শনেও কারও কিছু আসে যায় না। এক কথায় সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। তারা রাজনৈতিক সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের নন, তাদের সিন্ডিকেটের বড় সাহেবদের হিসাবে চলেন। এখন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অসীম ক্ষমতাধর। পাবলিক সার্ভেন্টরা জনগণ যে ক্ষমতার মালিক তা ভুলে গিয়ে নিজেদের কিংমেকারই নন, ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক মনে করছেন।

মনে হয় এত মোটা বেতন, এত সুযোগ-সুবিধায় তারা আরও বেপরোয়া। অনেকে ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার করছেন যে বলার মতো নয়।

বিসিএস প্রশাসনে সরকারি কর্মকর্তাদের পদ না থাক, পদোন্নতি আছে। কর্তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ছেই। উপসচিব পর্যায়ে গাড়ি কেনায় ঋণ মেলে। ৪ শতাংশ সুদে সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়ি করতে ঋণ পাবেন। জনগণ এর পরও ক্ষমতার মালিক, তারা পাবলিক সার্ভেন্ট নাকি প্রহসন? করোনাকালে ফ্রন্টলাইনে না থেকেও আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন অনেকে। বেতন এত বাড়লেও নতুন পে-স্কেলের দাবি তুলছেন। চারজন সচিব মুক্তিযোদ্ধা হতে গিয়ে ধরা পড়ে হতে পারেননি। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বা প্রতারণা মামলায় শাস্তিও নেই। অনেকে জাল সনদ নিয়ে চাকরির বয়সসীমাও বাড়িয়েছেন। ঘোড়াঘাটের ইউএনওর ওপর হামলা জঘন্য। তার বাড়িতে পাওয়া এত নগদ টাকা রহস্যময় তদন্তের।

ক্ষমতার মালিক জনগণকে যখন-তখন কোমরে রশি বেঁধে আনা যাবে, কিন্তু পাবলিক সার্ভেন্টকে ধরতে, মামলা করতে বিভাগীয় অনুমতি লাগে। রাজনীতিবিদদের রোজ দল আইন ও জনগণের কাছে পরীক্ষা দিতে হয়। সারা জীবন দলের আদর্শে আপসহীন থাকলেও কপালে কত দ- জোটে। ক্ষমতার পালাবদলে পাবলিক সার্ভেন্টরাও চরিত্র বদলে বহালতবিয়তে থাকেন। কিন্তু তাদের কাজ হওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রের প্রতি, রাষ্ট্রের মালিক জনগণের প্রতি অনুগত থেকে সরকারের কর্মসূচি পেশাদারিত্বে বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা। সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে না যাওয়া। অতীতে তাই ছিল। দেশে দেশে এখনো আছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেখ হাসিনার সরকার বেতন-ভাতা বৃদ্ধি থেকে এত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তার পরও সরকারি খাতেই ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি কেন? এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে?

আমলারা হাঁসের মতো মাছটা খেয়ে গা-ঝাড়া দিয়ে কাদা মুছে চলেন। তাদের পরীক্ষা নেই। কে কোথা থেকে এলেন জানারও দরকার নেই। রাজার হালে নিরাপদ জীবন। আহারে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আফসোসে যথার্থই বলেছিলেন, রাজনীতি করলে বিসিএস পাস করেই, ইঞ্জিনিয়ার হয়েই, ডাক্তার হয়েই রাজনীতি করুন। চাকরি করে অবসরে গিয়ে কেন? আর আমি বলি অবসরে যাওয়ার পরও জনগণের টাকায় তাদের ক্ষমতার আসনে কেন দীর্ঘদিন বসানো হবে? এটা রেওয়াজে পরিণত করা হচ্ছে কেন? আমলাদের এমন সুসময় অতীতে কখনো আসেনি, আসবেও না। দুর্ভাগ্য যে, ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের শাসনামলেই তারা যা চান তা-ই পান। আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুজিবকন্যার চলমান সংগ্রামে সব মহলকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী না হলে দুর্নীতিবাজ, ডাকাতরা আরও বেপরোয়া উন্মাদ হবে। দেশটাকে লুটপাট করে ফোকলা বানিয়ে ছাড়বে। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে চাইলে সব দুর্নীতিবাজ অপরাধীকে রুখতেই হবে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
কৃত্রিম সারসংকট
কৃত্রিম সারসংকট
খানাখন্দে ভরা সড়ক
খানাখন্দে ভরা সড়ক
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার
ইস্তিগফারের উপকারিতা
ইস্তিগফারের উপকারিতা
মরণযাত্রা
মরণযাত্রা
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধ
মানবতাবিরোধী অপরাধ
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
সর্বশেষ খবর
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন
বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রোমাঞ্চকর ক্রীড়া শহর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি
রোমাঞ্চকর ক্রীড়া শহর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল
গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বসুন্ধরা স্মার্ট সিটিতে আস্থা বিনিয়োগকারীর
বসুন্ধরা স্মার্ট সিটিতে আস্থা বিনিয়োগকারীর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই
বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বমানের আয়োজনের প্রাণকেন্দ্র আইসিসিবি
বিশ্বমানের আয়োজনের প্রাণকেন্দ্র আইসিসিবি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকসু নির্বাচনে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি
চাকসু নির্বাচনে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথম নিজস্ব এআই চিপ বানাচ্ছে ওপেনএআই
প্রথম নিজস্ব এআই চিপ বানাচ্ছে ওপেনএআই

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’
‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমিরাতে শুরু হচ্ছে প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ
আমিরাতে শুরু হচ্ছে প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ
নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা
লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস
পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক
রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে
বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’
‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ
সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান
রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের লাঠিপেটা অপ্রত্যাশিত : সাদা দল
এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের লাঠিপেটা অপ্রত্যাশিত : সাদা দল

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন স্বর্ণা
দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন স্বর্ণা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৪ অক্টোবর ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস
১৪ অক্টোবর ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প
হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধ শেষ: ট্রাম্প
গাজা যুদ্ধ শেষ: ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে
কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি
আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত
দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেত্রী নয়, এবার যে পরিচয়ে আসছেন ফারিণ
অভিনেত্রী নয়, এবার যে পরিচয়ে আসছেন ফারিণ

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প
ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ
ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর
‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প
হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু
প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়: ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’
‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা
জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

‘আমার কোনো অপরাধ নেই, তাহলে কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হবো’
‘আমার কোনো অপরাধ নেই, তাহলে কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হবো’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা
ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন
ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান
পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে: তাহের
সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে: তাহের

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে
বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কিছুই থাকে না বিএনপির
কিছুই থাকে না বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার
রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কতটা প্রস্তুত হামজারা?
কতটা প্রস্তুত হামজারা?

মাঠে ময়দানে

মধ্যরাতে র‌্যাগিং ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মধ্যরাতে র‌্যাগিং ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

পেছনের পৃষ্ঠা

জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার

সম্পাদকীয়

জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত
জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত

পেছনের পৃষ্ঠা

সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের
সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ
ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন
মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন

নগর জীবন

বিএনপির পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী জামায়াত প্রার্থীর জোর প্রচার
বিএনপির পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী জামায়াত প্রার্থীর জোর প্রচার

নগর জীবন

টিকা মানেই টাকা
টিকা মানেই টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা
বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা
ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে শক্তিশালী দল হবে এনসিপি
নির্বাচনে শক্তিশালী দল হবে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ
এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ

নগর জীবন

সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে
সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে

নগর জীবন

আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে
আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম
সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম

পেছনের পৃষ্ঠা

নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত
নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি
মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি

পেছনের পৃষ্ঠা

দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা
দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর ইস্যু আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে
পিআর ইস্যু আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর
সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর

পেছনের পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে

নগর জীবন

উচ্চমাধ্যমিকের ফল ১৬ অক্টোবর
উচ্চমাধ্যমিকের ফল ১৬ অক্টোবর

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে
জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে

নগর জীবন

বসুন্ধরায় আজ শুরু হচ্ছে জাতীয় ফার্নিচার মেলা
বসুন্ধরায় আজ শুরু হচ্ছে জাতীয় ফার্নিচার মেলা

নগর জীবন