শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ আপডেট:

মালেকরাই গজনির সুলতান, দেশটা সোমনাথ মন্দির

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
মালেকরাই গজনির সুলতান, দেশটা সোমনাথ মন্দির

শ্বেতশুভ্র লম্বা দাড়ি, সাদা শার্ট, মাথায় টুপি, স্নিগ্ধ নিষ্পাপ চেহারা! দেখতে তিনি যেন এক বুজুর্গ আলেম দরবেশ আল্লাহভীরুই নন, হালাল তরিকায় রুটি-রুজিতে জীবিকা নির্বাহ করা শতভাগ সরল এক সৎ মানুষ। ছবি দেখে ভেবেছিলাম র‌্যাব হয়তো কোনো আলেমকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ও বাবা! পরে দেখি এ আরেক রাষ্ট্রীয় ডাকাতের একজন! আক্কেল গুড়–ম অবস্থা আমার! র‌্যাব তাকে আটক করায় তার এ ধর্মের লেবাসের আড়ালে বেরিয়ে এসেছে কুৎসিত কদর্য যত ভয়ঙ্কর অপরাধ।

আমি র‌্যাবের হাতে আটক স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক অঢেল অবৈধ অর্থসম্পদের মালিক বনে যাওয়া আবদুল মালেক ওরফে বাদলের কথা বলছি। এখন আর পোশাকে চেহারায় ভালো মানুষ চেনা যায় না! এখন আর ধর্মীয় পোশাক নামাজ হজে মশগুল কাউকে দেখলেই আল্লাহর নেক বান্দা বলে বিশ্বাস করা যায় না। সব লেবাসের আড়ালেই আমাদের চারপাশে বাস করে চোর, ডাকাত, লোভী কদর্য সব মানুষ। লুটেরা অর্থ পাচারকারী আর দুর্নীতির মোগলরা। মালেককে র‌্যাব ধরার আগে না মিডিয়া না মানুষ কেউ তার খবর জানল না!

এমন লজ্জা সবার জন্যই গ্লানির। গণমাধ্যমকেও এখন সারা দেশের লুটেরা, দুর্নীতিবাজদের মুখোশ খোলার সময়। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বাড়ানো দরকার। দুদক তাকে দুবার ডেকেও ওপরের চাপেই হোক আর নিজেদের দুর্বলতায়ই হোক কিছুই করতে পারেনি। দুদক কত ছোট লুটেরাকে ধরে আবার ওপরের চাপে সাদা বানিয়ে মুক্তি দেয়। সাবেক দুদক চেয়ারম্যান যথার্থই বলেছিলেন, দুদক এক নখদন্তহীন বাঘ।

দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান কথায় ব্যক্তিত্বে আস্থা অর্জন করেছিলেন। রিলিফ ও গম চুরির অভিযোগে মেম্বার, চেয়ারম্যান ছাড়া কী ধরেছেন? এত অর্থ বিদেশে পাচার হলো, ব্যাংকে ও শেয়ারবাজারে সীমাহীন লুটপাট হলো। ঘুষ, দুর্নীতিতে কতজন সারা দেশে অবৈধ অর্থসম্পদের মালিক হলো তার কটা ধরেছেন? একটা রাঘববোয়াল ধরেছে দুদক? দেশে দেশে অর্থ পাচার করা বেগমপাড়ার বাসিন্দারা কেন পাকড়াও হয় না? তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয় না? গাড়িচালক মালেকের বিশাল সম্পদসহ নানা অপরাধে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে র‌্যাব আটক করেছে। স্বাস্থ্যের কর্মচারী আবজাল ১ হাজার ৫০০ কোটি কামিয়ে এখন জেলে। তাদের সিন্ডিকেটের গাড়িচালক মালেকই যদি এত সম্পদ বানিয়ে থাকেন, তাহলে পরিষ্কার যে, গোটা স্বাস্থ্য খাতের বিশাল হরিলুটে টপ টু বটম কি নির্লজ্জ দুর্নীতিগ্রস্ত! ওপরের কর্তাদের দুর্নীতি আশকারায় কর্মচারী আবজাল, ড্রাইভার বাদল এমন দাপুটে লুটেরা হন। এদের জন্য আবার সাহেব-বিবির অন্দরমহল খোলা থাকে বাণিজ্যের দফারফায়!

এরা লেবাস পরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি আলেম-ওলামা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ সৎ মানুষের অবমাননা করে। দেশের জনগণ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে সততার সঙ্গে। সন্তান মানুষ করা, চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হিমশিম খায়। রাজনীতি থেকে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কত মানুষ কত সংগ্রাম করে। দেশে বিনিয়োগকারী শিল্পপতি থেকে খুদে ব্যবসায়ী উদয়াস্ত যুদ্ধ করে আর একদল অসভ্য চোর, ডাকাত বেহায়া হারামখোর সারা দেশে নির্লজ্জের মতো লুটপাট চালায়। এদের বাবাদের ধরা হয় না বলে বহালতবিয়তে দাপটে জীবনযাপন করে।

মালেক রাজধানীর হাতিরপুলে ৪ কাঠা জমির ওপর ১০ তলা এবং তুরাগে ৬ কাঠা জমিতে সাত তলার দুটি ভবন, ২৪টি ফ্ল্যাট, অঢেল টাকা, দুই স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ভাইয়ের নামে গড়েছেন আরও অঢেল সম্পত্তি। নিয়োগ-বাণিজ্য, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ পাইয়ে কমিশন লাভ, জাল টাকার বাণিজ্য, অস্ত্র-বাণিজ্য, অস্ত্রবাজি, কী করেননি আটক স্বাস্থ্য খাতের এইট পাস গাড়িচালক ডন মালেক? মালেকরা আজ গোটা মূল্যবোধহীন দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের একজন খুদে মডেল মাত্র। যারা গর্ব করে বলেন, দুর্নীতি করাও একটা যোগ্যতা তাদের আইডল। যারা যেনতেন উপায়ে টাকা কামালেই বলেন, ট্যালেন্ট, তাদের নষ্ট সমাজের কালো মুখ মালেক। ছোট বড় কত সহস্র মালেক আজ দেশটা গিলে খাচ্ছে! লোভের বিষে বিষাক্ত করেছে সমাজকে।

এখন আর গজনির সুলতানদের শত শত মাইল বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে সোমনাথ মন্দির লুট করে সম্পদ গড়তে হয় না। রাজদুর্নীতির এ যুগে দেশের স্বাস্থ্য খাতের গাড়িচালক মালেক থেকে কর্মচারী আবজালরাই শত শত কোটি টাকার সম্পদ লুট করে বহালতবিয়তে থাকেন। মাঝেমধ্যে ধরা পড়ে কেউ কেউ। কত লুটেরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে! মালেক, আবজাল, জি কে শামীমরা একেকজন আজ গজনির সুলতান। আর দেশটাকে তারা বানিয়েছেন সোমনাথ মন্দির। সোমনাথ মন্দিরে গজনির সুলতান লুটেছিলেন হিন্দু রাজাদের গোপন সম্পদ। আর এরা লোটেন দেশের সম্পদ। এদের মধ্যে অনেকে রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, এমপি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রকৌশলী, ডাক্তার, মধ্যস্বত্বভোগী, তদবিরবাজ, দালাল, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, গণমাধ্যমের একাংশও রয়েছে। সারা দেশে এদের বিচরণ। হরিলুট করছে। এমন কোনো সরকারি অফিস নেই যেখানে দুর্নীতির ঘা নেই।

মালেক কি দেশে একজন? এদের গডফাদার কি একজন? এরা কি এক দিনে তৈরি হয়েছে? বছরের পর বছর সব সরকারের আমলে এরা তৈরি হয় দুর্নীতির ছায়ায়। বিএনপি জমানায় হাওয়া ভবনের ছায়ার বাইরেও কি তৈরি হয়নি? সোনালী ব্যাংকের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা কর্মচারী বাকিরের কথা মনে পড়ে? ওয়ান-ইলেভেনে আটক হয়ে মারা যান কারাগারে! কি দাপট ছিল তার রাজনৈতিক প্রভাবে। বনের রাজা ওসমান গনির তোশকজুড়ে কেবল টাকা আর টাকা। তিতাসের মিটার রিডার থেকে শিল্পপতি হওয়া সেই ধনাঢ্য চোরটা?

এখানে জনগণের উন্নয়নের টাকা, ট্যাক্সের টাকা, ভ্যাটের টাকা, প্রবাসী শ্রমিকের ঘামে ঝরা রেমিট্যান্সের টাকা, বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণের টাকা কৃষক-শ্রমিকের হাড় ভাঙা পরিশ্রমের টাকা, সরকারের জনকল্যাণে নেওয়া প্রকল্পের টাকা সব। এখানে লুটেরাদের সৈন্যবাহিনী লাগে না। সিন্ডিকেট লাগে। যার যার সেক্টরে ওপরের কর্তাদের প্রশ্রয়-আশ্রয় ভাগাভাগি লাগে। অর্থের নেশায় পদপদবির মর্যাদা ভুলে এরা ড্রাইভার, কর্মচারীর সঙ্গে রুচিহীনতায় নির্লজ্জের ভাগাভাগি করে।

গজনির সুলতান মাহমুদ ১৭ বার ভারত অভিযান করেছিলেন। সে সময় তাঁকে অপ্রতিরোধ্য শক্তি বলা হতো। ১০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে ৪২ দিনে সৈন্যসামন্ত নিয়ে গজনি থেকে গুজরাটের সোমনাথ মন্দির অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। তাঁর বিভিন্ন অভিযানে স্থানীয় হিন্দু রাজাদের পরাজিত করার খবর যেমন রয়েছে, তেমনি সেই রাজাদের সোনা, হীরা এ মন্দিরে গচ্ছিত রাখার খবর আছে। ইতিহাসের সত্য হচ্ছে, সোমনাথ মন্দির থেকে সে অভিযানে গজনির সুলতান ২০০ মণ সোনা লুট করে তাঁর দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন।

মালেক এলাকায় রীতিমতো মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন। মাত্র অষ্টম শ্রেণি পাস মালেক ১৯৮২ সালে সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে চালক হিসেবে যোগদান করে ’৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলে চালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বর্তমানে প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরে কর্মরত।

মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেন একা যুদ্ধ করবেন; আর কারও দায় নেই। তিনি যাদের যত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের কি নিজেদের ভালো থাকা আর না হয় সব দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, ঘুষখোরকে পাহারা ও প্রশ্রয় দেওয়া দায়িত্ব? ক্যাসিনো-বাণিজ্য থেকে জি কে শামীমদের একচেটিয়া টেন্ডার- বাণিজ্য, পাপিয়া, সাহেদ, সাবরিনা, জেমির মতো প্রতারক এমনকি ফরিদপুরের ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কয়েকজনকে ২ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ে আটক তাকেই করতে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে। এক ফরিদপুরে যদি এমন হয় তাহলে সারা দেশের সব জেলায় কতজন দুর্ধর্ষ অপরাধী অবৈধ অর্থ-বাণিজ্য সম্পদের অঢেল মালিক আজ? এক স্বাস্থ্য অধিদফতর যদি মিঠু-আবজাল-মালেক সিন্ডিকেটে দুর্নীতিতে অভিশপ্ত হয় তাহলে বাকি সব প্রতিষ্ঠান কোনটা কত অন্ধকার বীভৎস? জনগণের সম্পদ লুটেরাদের আইনের আওতায় এনে সব অবৈধ সম্পদ কেন বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেওয়া হয় না। প্রয়োজনে বিশেষ আদালত ও আইন দরকার। এদিকে সব মন্ত্রী, এমপি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদেরও কঠোর বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতিবিরোধী চলমান অভিযান আরও শক্তিশালী করা দরকার। গণজাগরণও দরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অভিনন্দন জানাতে হয়।

মালেক কেবল ড্রাইভারদের নিয়োগ-বদলি ও পদোন্নতির নামে হাতিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডাক্তারদের বদলি, পদোন্নতি, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগের নামে বিপুল অর্থ আদায় করেছেন মালেক। মন্ত্রী থেকে কর্মকর্তারা কি তখন আঙুল চুষছিলেন? দায় তাদের নিতে হবেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মেয়ে নওরিন সুলতানাকে কম্পিউটার অপারেটর, ভাই আবদুল খালেক ও ভাতিজা আবদুল হাকিমকে অফিসসহায়ক, বড় মেয়ের স্বামী রতনকে ক্যান্টিন ম্যানেজার, আত্মীয় কামাল পাশাকে অফিসসহায়ক, ভায়রা মাহবুবকে ড্রাইভার এবং ভাগ্নে সোহেল শিকারীকে ড্রাইভার পদে স্বাস্থ্য অধিদফতরে চাকরি দিয়েছেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের গাড়িচালক হিসেবে তিনি কর্মরত। তবে নিজে গাড়িচালক হয়েও মহাপরিচালকের পাজেরো গাড়িটি হরহামেশাই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন। এতসব অপকর্ম কেন করতে দেওয়া হতো তা দুধের বাচ্চারও বোঝার কথা। কতটা যন্ত্রণায় মালেক আটকের পর একজন চিকিৎসক স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ডিজি হয়ে মরতে চাই না, ড্রাইভার হয়ে মরতে চাই!

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মালেকের অন্যতম আশ্রয়দাতা হিসেবে একাধিক সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গেও তার দহরম-মহরম ছিল। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কবির হোসেন চৌধুরী ছাড়াও বিএমএ ও স্বাচিপের কয়েকজন নেতার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহ মনির হোসেনের আমলে গাড়িচালক মালেক একাই শতাধিক নিয়োগ-বাণিজ্য করেছেন। কি ভয়ঙ্কর রুচিহীন কর্তাদের দুর্নীতি। সবাইকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

এ দেশে যত গালি রাজনীতিবিদদের জন্য। জেল নির্যাতন তাও রাজনীতিবিদ। সমালোচনা নিউজ রাজনীতিবিদদের কপালেই। সেটা হোক। রাজনীতিবিদ মানুষের নেতা, ভুল করলে খেসারত দেবেন। কখনো তালি কখনো গালি খাবেন। তাদের ব্যর্থতায় আজ এ অবস্থা। তাই বলে সব পাবলিক সার্ভেন্ট বা আমলারা কি ধোয়া তুলসীপাতা! সারা জীবন সব সরকারের আমলে ব্রিটিশের তৈরি আইনের ম্যাকিয়াভেলির আমলাতন্ত্রের প্রভুর আসনে আরামে রাজত্ব করেন। অবসরের শেষে জোটে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। সেটার সময় শেষ হলে আবার কপালে জোটে ফের দীর্ঘ নিয়োগ। কখনো আরেক ধাপ এগিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান তাদের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়। হোক নির্বাচন কমিশন বা পাবলিক সার্ভিস কমিশন। অবসরে গিয়েও তারা কর্মক্ষম। এরপর এমপি, মন্ত্রীও হন! অন্যদিকে সরকার বদল হলেই রাজনীতিবিদদের জন্য জেলসহ কত নির্যাতন-নিপীড়ন, অসম্মান। তবু রাজনীতিবিদরা জনগণের সমর্থন থাকার পরও ক্ষমতায় থাকতে এটা মনেও রাখেন না!

আমলারা ভোগ করেন জনগণের টাকায় বাড়তি বিলাসী জীবন। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের রক্তঝরা সিঁড়িপথে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের যে মর্যাদা ও ক্ষমতা দিয়েছিলেন আজ তা কারও মনেও নেই। সামরিক শাসকরা যা করতে পারেননি গণতন্ত্রের যাত্রাপথে ১৯৯৬ সালে জনতার মঞ্চে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে যে রাজনৈতিকীকরণ দৃশ্যমান হয় সেটি ২০০১ সালের পর থেকে দলীয়করণের প্রাতিষ্ঠানিকতা লাভ করে।

এর পর থেকেই পাবলিক সার্ভেন্ট আর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নন, সরকারি দলের অনুগত কর্মীতে পরিণত হন। বিগত ১১ বছরে তো সবাই আওয়ামী লীগ অন্য পেশাজীবীদের মতো। ’৭৫-পরবর্তী তাদের ছাত্র রাজনীতির দর্শনেও কারও কিছু আসে যায় না। এক কথায় সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। তারা রাজনৈতিক সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের নন, তাদের সিন্ডিকেটের বড় সাহেবদের হিসাবে চলেন। এখন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অসীম ক্ষমতাধর। পাবলিক সার্ভেন্টরা জনগণ যে ক্ষমতার মালিক তা ভুলে গিয়ে নিজেদের কিংমেকারই নন, ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক মনে করছেন।

মনে হয় এত মোটা বেতন, এত সুযোগ-সুবিধায় তারা আরও বেপরোয়া। অনেকে ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার করছেন যে বলার মতো নয়।

বিসিএস প্রশাসনে সরকারি কর্মকর্তাদের পদ না থাক, পদোন্নতি আছে। কর্তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ছেই। উপসচিব পর্যায়ে গাড়ি কেনায় ঋণ মেলে। ৪ শতাংশ সুদে সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়ি করতে ঋণ পাবেন। জনগণ এর পরও ক্ষমতার মালিক, তারা পাবলিক সার্ভেন্ট নাকি প্রহসন? করোনাকালে ফ্রন্টলাইনে না থেকেও আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন অনেকে। বেতন এত বাড়লেও নতুন পে-স্কেলের দাবি তুলছেন। চারজন সচিব মুক্তিযোদ্ধা হতে গিয়ে ধরা পড়ে হতে পারেননি। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বা প্রতারণা মামলায় শাস্তিও নেই। অনেকে জাল সনদ নিয়ে চাকরির বয়সসীমাও বাড়িয়েছেন। ঘোড়াঘাটের ইউএনওর ওপর হামলা জঘন্য। তার বাড়িতে পাওয়া এত নগদ টাকা রহস্যময় তদন্তের।

ক্ষমতার মালিক জনগণকে যখন-তখন কোমরে রশি বেঁধে আনা যাবে, কিন্তু পাবলিক সার্ভেন্টকে ধরতে, মামলা করতে বিভাগীয় অনুমতি লাগে। রাজনীতিবিদদের রোজ দল আইন ও জনগণের কাছে পরীক্ষা দিতে হয়। সারা জীবন দলের আদর্শে আপসহীন থাকলেও কপালে কত দ- জোটে। ক্ষমতার পালাবদলে পাবলিক সার্ভেন্টরাও চরিত্র বদলে বহালতবিয়তে থাকেন। কিন্তু তাদের কাজ হওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রের প্রতি, রাষ্ট্রের মালিক জনগণের প্রতি অনুগত থেকে সরকারের কর্মসূচি পেশাদারিত্বে বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা। সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে না যাওয়া। অতীতে তাই ছিল। দেশে দেশে এখনো আছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেখ হাসিনার সরকার বেতন-ভাতা বৃদ্ধি থেকে এত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তার পরও সরকারি খাতেই ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি কেন? এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে?

আমলারা হাঁসের মতো মাছটা খেয়ে গা-ঝাড়া দিয়ে কাদা মুছে চলেন। তাদের পরীক্ষা নেই। কে কোথা থেকে এলেন জানারও দরকার নেই। রাজার হালে নিরাপদ জীবন। আহারে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আফসোসে যথার্থই বলেছিলেন, রাজনীতি করলে বিসিএস পাস করেই, ইঞ্জিনিয়ার হয়েই, ডাক্তার হয়েই রাজনীতি করুন। চাকরি করে অবসরে গিয়ে কেন? আর আমি বলি অবসরে যাওয়ার পরও জনগণের টাকায় তাদের ক্ষমতার আসনে কেন দীর্ঘদিন বসানো হবে? এটা রেওয়াজে পরিণত করা হচ্ছে কেন? আমলাদের এমন সুসময় অতীতে কখনো আসেনি, আসবেও না। দুর্ভাগ্য যে, ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের শাসনামলেই তারা যা চান তা-ই পান। আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুজিবকন্যার চলমান সংগ্রামে সব মহলকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী না হলে দুর্নীতিবাজ, ডাকাতরা আরও বেপরোয়া উন্মাদ হবে। দেশটাকে লুটপাট করে ফোকলা বানিয়ে ছাড়বে। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে চাইলে সব দুর্নীতিবাজ অপরাধীকে রুখতেই হবে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

১৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’
‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা
ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত
রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু
রূপায়ন আর্মড ফোর্সেস ডে কাপ গলফ টুর্নামেন্ট শুরু

৮ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ
টি-টেনে দলকে জেতাতে ব্যর্থ সাইফ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০
মুন্সীগঞ্জে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলায় আটক ১০

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

২০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান
বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম

বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ
বিজেএমসির হাজার কোটির সম্পদ লুটের অভিযোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই
ব্যবসায়ীদের কুপিয়ে ৪ লাখ টাকা ছিনতাই

পেছনের পৃষ্ঠা