শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ আপডেট:

মালেকরাই গজনির সুলতান, দেশটা সোমনাথ মন্দির

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
মালেকরাই গজনির সুলতান, দেশটা সোমনাথ মন্দির

শ্বেতশুভ্র লম্বা দাড়ি, সাদা শার্ট, মাথায় টুপি, স্নিগ্ধ নিষ্পাপ চেহারা! দেখতে তিনি যেন এক বুজুর্গ আলেম দরবেশ আল্লাহভীরুই নন, হালাল তরিকায় রুটি-রুজিতে জীবিকা নির্বাহ করা শতভাগ সরল এক সৎ মানুষ। ছবি দেখে ভেবেছিলাম র‌্যাব হয়তো কোনো আলেমকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ও বাবা! পরে দেখি এ আরেক রাষ্ট্রীয় ডাকাতের একজন! আক্কেল গুড়–ম অবস্থা আমার! র‌্যাব তাকে আটক করায় তার এ ধর্মের লেবাসের আড়ালে বেরিয়ে এসেছে কুৎসিত কদর্য যত ভয়ঙ্কর অপরাধ।

আমি র‌্যাবের হাতে আটক স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক অঢেল অবৈধ অর্থসম্পদের মালিক বনে যাওয়া আবদুল মালেক ওরফে বাদলের কথা বলছি। এখন আর পোশাকে চেহারায় ভালো মানুষ চেনা যায় না! এখন আর ধর্মীয় পোশাক নামাজ হজে মশগুল কাউকে দেখলেই আল্লাহর নেক বান্দা বলে বিশ্বাস করা যায় না। সব লেবাসের আড়ালেই আমাদের চারপাশে বাস করে চোর, ডাকাত, লোভী কদর্য সব মানুষ। লুটেরা অর্থ পাচারকারী আর দুর্নীতির মোগলরা। মালেককে র‌্যাব ধরার আগে না মিডিয়া না মানুষ কেউ তার খবর জানল না!

এমন লজ্জা সবার জন্যই গ্লানির। গণমাধ্যমকেও এখন সারা দেশের লুটেরা, দুর্নীতিবাজদের মুখোশ খোলার সময়। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বাড়ানো দরকার। দুদক তাকে দুবার ডেকেও ওপরের চাপেই হোক আর নিজেদের দুর্বলতায়ই হোক কিছুই করতে পারেনি। দুদক কত ছোট লুটেরাকে ধরে আবার ওপরের চাপে সাদা বানিয়ে মুক্তি দেয়। সাবেক দুদক চেয়ারম্যান যথার্থই বলেছিলেন, দুদক এক নখদন্তহীন বাঘ।

দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান কথায় ব্যক্তিত্বে আস্থা অর্জন করেছিলেন। রিলিফ ও গম চুরির অভিযোগে মেম্বার, চেয়ারম্যান ছাড়া কী ধরেছেন? এত অর্থ বিদেশে পাচার হলো, ব্যাংকে ও শেয়ারবাজারে সীমাহীন লুটপাট হলো। ঘুষ, দুর্নীতিতে কতজন সারা দেশে অবৈধ অর্থসম্পদের মালিক হলো তার কটা ধরেছেন? একটা রাঘববোয়াল ধরেছে দুদক? দেশে দেশে অর্থ পাচার করা বেগমপাড়ার বাসিন্দারা কেন পাকড়াও হয় না? তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয় না? গাড়িচালক মালেকের বিশাল সম্পদসহ নানা অপরাধে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে র‌্যাব আটক করেছে। স্বাস্থ্যের কর্মচারী আবজাল ১ হাজার ৫০০ কোটি কামিয়ে এখন জেলে। তাদের সিন্ডিকেটের গাড়িচালক মালেকই যদি এত সম্পদ বানিয়ে থাকেন, তাহলে পরিষ্কার যে, গোটা স্বাস্থ্য খাতের বিশাল হরিলুটে টপ টু বটম কি নির্লজ্জ দুর্নীতিগ্রস্ত! ওপরের কর্তাদের দুর্নীতি আশকারায় কর্মচারী আবজাল, ড্রাইভার বাদল এমন দাপুটে লুটেরা হন। এদের জন্য আবার সাহেব-বিবির অন্দরমহল খোলা থাকে বাণিজ্যের দফারফায়!

এরা লেবাস পরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি আলেম-ওলামা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ সৎ মানুষের অবমাননা করে। দেশের জনগণ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে সততার সঙ্গে। সন্তান মানুষ করা, চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হিমশিম খায়। রাজনীতি থেকে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কত মানুষ কত সংগ্রাম করে। দেশে বিনিয়োগকারী শিল্পপতি থেকে খুদে ব্যবসায়ী উদয়াস্ত যুদ্ধ করে আর একদল অসভ্য চোর, ডাকাত বেহায়া হারামখোর সারা দেশে নির্লজ্জের মতো লুটপাট চালায়। এদের বাবাদের ধরা হয় না বলে বহালতবিয়তে দাপটে জীবনযাপন করে।

মালেক রাজধানীর হাতিরপুলে ৪ কাঠা জমির ওপর ১০ তলা এবং তুরাগে ৬ কাঠা জমিতে সাত তলার দুটি ভবন, ২৪টি ফ্ল্যাট, অঢেল টাকা, দুই স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ভাইয়ের নামে গড়েছেন আরও অঢেল সম্পত্তি। নিয়োগ-বাণিজ্য, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ পাইয়ে কমিশন লাভ, জাল টাকার বাণিজ্য, অস্ত্র-বাণিজ্য, অস্ত্রবাজি, কী করেননি আটক স্বাস্থ্য খাতের এইট পাস গাড়িচালক ডন মালেক? মালেকরা আজ গোটা মূল্যবোধহীন দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজের একজন খুদে মডেল মাত্র। যারা গর্ব করে বলেন, দুর্নীতি করাও একটা যোগ্যতা তাদের আইডল। যারা যেনতেন উপায়ে টাকা কামালেই বলেন, ট্যালেন্ট, তাদের নষ্ট সমাজের কালো মুখ মালেক। ছোট বড় কত সহস্র মালেক আজ দেশটা গিলে খাচ্ছে! লোভের বিষে বিষাক্ত করেছে সমাজকে।

এখন আর গজনির সুলতানদের শত শত মাইল বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে সোমনাথ মন্দির লুট করে সম্পদ গড়তে হয় না। রাজদুর্নীতির এ যুগে দেশের স্বাস্থ্য খাতের গাড়িচালক মালেক থেকে কর্মচারী আবজালরাই শত শত কোটি টাকার সম্পদ লুট করে বহালতবিয়তে থাকেন। মাঝেমধ্যে ধরা পড়ে কেউ কেউ। কত লুটেরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে! মালেক, আবজাল, জি কে শামীমরা একেকজন আজ গজনির সুলতান। আর দেশটাকে তারা বানিয়েছেন সোমনাথ মন্দির। সোমনাথ মন্দিরে গজনির সুলতান লুটেছিলেন হিন্দু রাজাদের গোপন সম্পদ। আর এরা লোটেন দেশের সম্পদ। এদের মধ্যে অনেকে রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, এমপি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রকৌশলী, ডাক্তার, মধ্যস্বত্বভোগী, তদবিরবাজ, দালাল, ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, গণমাধ্যমের একাংশও রয়েছে। সারা দেশে এদের বিচরণ। হরিলুট করছে। এমন কোনো সরকারি অফিস নেই যেখানে দুর্নীতির ঘা নেই।

মালেক কি দেশে একজন? এদের গডফাদার কি একজন? এরা কি এক দিনে তৈরি হয়েছে? বছরের পর বছর সব সরকারের আমলে এরা তৈরি হয় দুর্নীতির ছায়ায়। বিএনপি জমানায় হাওয়া ভবনের ছায়ার বাইরেও কি তৈরি হয়নি? সোনালী ব্যাংকের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা কর্মচারী বাকিরের কথা মনে পড়ে? ওয়ান-ইলেভেনে আটক হয়ে মারা যান কারাগারে! কি দাপট ছিল তার রাজনৈতিক প্রভাবে। বনের রাজা ওসমান গনির তোশকজুড়ে কেবল টাকা আর টাকা। তিতাসের মিটার রিডার থেকে শিল্পপতি হওয়া সেই ধনাঢ্য চোরটা?

এখানে জনগণের উন্নয়নের টাকা, ট্যাক্সের টাকা, ভ্যাটের টাকা, প্রবাসী শ্রমিকের ঘামে ঝরা রেমিট্যান্সের টাকা, বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণের টাকা কৃষক-শ্রমিকের হাড় ভাঙা পরিশ্রমের টাকা, সরকারের জনকল্যাণে নেওয়া প্রকল্পের টাকা সব। এখানে লুটেরাদের সৈন্যবাহিনী লাগে না। সিন্ডিকেট লাগে। যার যার সেক্টরে ওপরের কর্তাদের প্রশ্রয়-আশ্রয় ভাগাভাগি লাগে। অর্থের নেশায় পদপদবির মর্যাদা ভুলে এরা ড্রাইভার, কর্মচারীর সঙ্গে রুচিহীনতায় নির্লজ্জের ভাগাভাগি করে।

গজনির সুলতান মাহমুদ ১৭ বার ভারত অভিযান করেছিলেন। সে সময় তাঁকে অপ্রতিরোধ্য শক্তি বলা হতো। ১০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে ৪২ দিনে সৈন্যসামন্ত নিয়ে গজনি থেকে গুজরাটের সোমনাথ মন্দির অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। তাঁর বিভিন্ন অভিযানে স্থানীয় হিন্দু রাজাদের পরাজিত করার খবর যেমন রয়েছে, তেমনি সেই রাজাদের সোনা, হীরা এ মন্দিরে গচ্ছিত রাখার খবর আছে। ইতিহাসের সত্য হচ্ছে, সোমনাথ মন্দির থেকে সে অভিযানে গজনির সুলতান ২০০ মণ সোনা লুট করে তাঁর দেশে নিয়ে গিয়েছিলেন।

মালেক এলাকায় রীতিমতো মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন। মাত্র অষ্টম শ্রেণি পাস মালেক ১৯৮২ সালে সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে চালক হিসেবে যোগদান করে ’৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলে চালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বর্তমানে প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরে কর্মরত।

মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেন একা যুদ্ধ করবেন; আর কারও দায় নেই। তিনি যাদের যত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের কি নিজেদের ভালো থাকা আর না হয় সব দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, ঘুষখোরকে পাহারা ও প্রশ্রয় দেওয়া দায়িত্ব? ক্যাসিনো-বাণিজ্য থেকে জি কে শামীমদের একচেটিয়া টেন্ডার- বাণিজ্য, পাপিয়া, সাহেদ, সাবরিনা, জেমির মতো প্রতারক এমনকি ফরিদপুরের ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কয়েকজনকে ২ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ে আটক তাকেই করতে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে। এক ফরিদপুরে যদি এমন হয় তাহলে সারা দেশের সব জেলায় কতজন দুর্ধর্ষ অপরাধী অবৈধ অর্থ-বাণিজ্য সম্পদের অঢেল মালিক আজ? এক স্বাস্থ্য অধিদফতর যদি মিঠু-আবজাল-মালেক সিন্ডিকেটে দুর্নীতিতে অভিশপ্ত হয় তাহলে বাকি সব প্রতিষ্ঠান কোনটা কত অন্ধকার বীভৎস? জনগণের সম্পদ লুটেরাদের আইনের আওতায় এনে সব অবৈধ সম্পদ কেন বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেওয়া হয় না। প্রয়োজনে বিশেষ আদালত ও আইন দরকার। এদিকে সব মন্ত্রী, এমপি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদেরও কঠোর বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতিবিরোধী চলমান অভিযান আরও শক্তিশালী করা দরকার। গণজাগরণও দরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অভিনন্দন জানাতে হয়।

মালেক কেবল ড্রাইভারদের নিয়োগ-বদলি ও পদোন্নতির নামে হাতিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডাক্তারদের বদলি, পদোন্নতি, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগের নামে বিপুল অর্থ আদায় করেছেন মালেক। মন্ত্রী থেকে কর্মকর্তারা কি তখন আঙুল চুষছিলেন? দায় তাদের নিতে হবেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মেয়ে নওরিন সুলতানাকে কম্পিউটার অপারেটর, ভাই আবদুল খালেক ও ভাতিজা আবদুল হাকিমকে অফিসসহায়ক, বড় মেয়ের স্বামী রতনকে ক্যান্টিন ম্যানেজার, আত্মীয় কামাল পাশাকে অফিসসহায়ক, ভায়রা মাহবুবকে ড্রাইভার এবং ভাগ্নে সোহেল শিকারীকে ড্রাইভার পদে স্বাস্থ্য অধিদফতরে চাকরি দিয়েছেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের গাড়িচালক হিসেবে তিনি কর্মরত। তবে নিজে গাড়িচালক হয়েও মহাপরিচালকের পাজেরো গাড়িটি হরহামেশাই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন। এতসব অপকর্ম কেন করতে দেওয়া হতো তা দুধের বাচ্চারও বোঝার কথা। কতটা যন্ত্রণায় মালেক আটকের পর একজন চিকিৎসক স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ডিজি হয়ে মরতে চাই না, ড্রাইভার হয়ে মরতে চাই!

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মালেকের অন্যতম আশ্রয়দাতা হিসেবে একাধিক সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গেও তার দহরম-মহরম ছিল। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কবির হোসেন চৌধুরী ছাড়াও বিএমএ ও স্বাচিপের কয়েকজন নেতার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শাহ মনির হোসেনের আমলে গাড়িচালক মালেক একাই শতাধিক নিয়োগ-বাণিজ্য করেছেন। কি ভয়ঙ্কর রুচিহীন কর্তাদের দুর্নীতি। সবাইকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

এ দেশে যত গালি রাজনীতিবিদদের জন্য। জেল নির্যাতন তাও রাজনীতিবিদ। সমালোচনা নিউজ রাজনীতিবিদদের কপালেই। সেটা হোক। রাজনীতিবিদ মানুষের নেতা, ভুল করলে খেসারত দেবেন। কখনো তালি কখনো গালি খাবেন। তাদের ব্যর্থতায় আজ এ অবস্থা। তাই বলে সব পাবলিক সার্ভেন্ট বা আমলারা কি ধোয়া তুলসীপাতা! সারা জীবন সব সরকারের আমলে ব্রিটিশের তৈরি আইনের ম্যাকিয়াভেলির আমলাতন্ত্রের প্রভুর আসনে আরামে রাজত্ব করেন। অবসরের শেষে জোটে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। সেটার সময় শেষ হলে আবার কপালে জোটে ফের দীর্ঘ নিয়োগ। কখনো আরেক ধাপ এগিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান তাদের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়। হোক নির্বাচন কমিশন বা পাবলিক সার্ভিস কমিশন। অবসরে গিয়েও তারা কর্মক্ষম। এরপর এমপি, মন্ত্রীও হন! অন্যদিকে সরকার বদল হলেই রাজনীতিবিদদের জন্য জেলসহ কত নির্যাতন-নিপীড়ন, অসম্মান। তবু রাজনীতিবিদরা জনগণের সমর্থন থাকার পরও ক্ষমতায় থাকতে এটা মনেও রাখেন না!

আমলারা ভোগ করেন জনগণের টাকায় বাড়তি বিলাসী জীবন। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের রক্তঝরা সিঁড়িপথে সুমহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের যে মর্যাদা ও ক্ষমতা দিয়েছিলেন আজ তা কারও মনেও নেই। সামরিক শাসকরা যা করতে পারেননি গণতন্ত্রের যাত্রাপথে ১৯৯৬ সালে জনতার মঞ্চে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে যে রাজনৈতিকীকরণ দৃশ্যমান হয় সেটি ২০০১ সালের পর থেকে দলীয়করণের প্রাতিষ্ঠানিকতা লাভ করে।

এর পর থেকেই পাবলিক সার্ভেন্ট আর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নন, সরকারি দলের অনুগত কর্মীতে পরিণত হন। বিগত ১১ বছরে তো সবাই আওয়ামী লীগ অন্য পেশাজীবীদের মতো। ’৭৫-পরবর্তী তাদের ছাত্র রাজনীতির দর্শনেও কারও কিছু আসে যায় না। এক কথায় সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। তারা রাজনৈতিক সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের নন, তাদের সিন্ডিকেটের বড় সাহেবদের হিসাবে চলেন। এখন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অসীম ক্ষমতাধর। পাবলিক সার্ভেন্টরা জনগণ যে ক্ষমতার মালিক তা ভুলে গিয়ে নিজেদের কিংমেকারই নন, ক্ষমতার নিয়ন্ত্রক মনে করছেন।

মনে হয় এত মোটা বেতন, এত সুযোগ-সুবিধায় তারা আরও বেপরোয়া। অনেকে ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার করছেন যে বলার মতো নয়।

বিসিএস প্রশাসনে সরকারি কর্মকর্তাদের পদ না থাক, পদোন্নতি আছে। কর্তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ছেই। উপসচিব পর্যায়ে গাড়ি কেনায় ঋণ মেলে। ৪ শতাংশ সুদে সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়ি করতে ঋণ পাবেন। জনগণ এর পরও ক্ষমতার মালিক, তারা পাবলিক সার্ভেন্ট নাকি প্রহসন? করোনাকালে ফ্রন্টলাইনে না থেকেও আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন অনেকে। বেতন এত বাড়লেও নতুন পে-স্কেলের দাবি তুলছেন। চারজন সচিব মুক্তিযোদ্ধা হতে গিয়ে ধরা পড়ে হতে পারেননি। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বা প্রতারণা মামলায় শাস্তিও নেই। অনেকে জাল সনদ নিয়ে চাকরির বয়সসীমাও বাড়িয়েছেন। ঘোড়াঘাটের ইউএনওর ওপর হামলা জঘন্য। তার বাড়িতে পাওয়া এত নগদ টাকা রহস্যময় তদন্তের।

ক্ষমতার মালিক জনগণকে যখন-তখন কোমরে রশি বেঁধে আনা যাবে, কিন্তু পাবলিক সার্ভেন্টকে ধরতে, মামলা করতে বিভাগীয় অনুমতি লাগে। রাজনীতিবিদদের রোজ দল আইন ও জনগণের কাছে পরীক্ষা দিতে হয়। সারা জীবন দলের আদর্শে আপসহীন থাকলেও কপালে কত দ- জোটে। ক্ষমতার পালাবদলে পাবলিক সার্ভেন্টরাও চরিত্র বদলে বহালতবিয়তে থাকেন। কিন্তু তাদের কাজ হওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রের প্রতি, রাষ্ট্রের মালিক জনগণের প্রতি অনুগত থেকে সরকারের কর্মসূচি পেশাদারিত্বে বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা। সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে না যাওয়া। অতীতে তাই ছিল। দেশে দেশে এখনো আছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেখ হাসিনার সরকার বেতন-ভাতা বৃদ্ধি থেকে এত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তার পরও সরকারি খাতেই ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি কেন? এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে?

আমলারা হাঁসের মতো মাছটা খেয়ে গা-ঝাড়া দিয়ে কাদা মুছে চলেন। তাদের পরীক্ষা নেই। কে কোথা থেকে এলেন জানারও দরকার নেই। রাজার হালে নিরাপদ জীবন। আহারে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আফসোসে যথার্থই বলেছিলেন, রাজনীতি করলে বিসিএস পাস করেই, ইঞ্জিনিয়ার হয়েই, ডাক্তার হয়েই রাজনীতি করুন। চাকরি করে অবসরে গিয়ে কেন? আর আমি বলি অবসরে যাওয়ার পরও জনগণের টাকায় তাদের ক্ষমতার আসনে কেন দীর্ঘদিন বসানো হবে? এটা রেওয়াজে পরিণত করা হচ্ছে কেন? আমলাদের এমন সুসময় অতীতে কখনো আসেনি, আসবেও না। দুর্ভাগ্য যে, ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের শাসনামলেই তারা যা চান তা-ই পান। আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুজিবকন্যার চলমান সংগ্রামে সব মহলকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী না হলে দুর্নীতিবাজ, ডাকাতরা আরও বেপরোয়া উন্মাদ হবে। দেশটাকে লুটপাট করে ফোকলা বানিয়ে ছাড়বে। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে চাইলে সব দুর্নীতিবাজ অপরাধীকে রুখতেই হবে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বস্ত্র খাত হুমকিতে
বস্ত্র খাত হুমকিতে
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
পীরের সোহবতে প্রজ্ঞাবান আলেম
পীরের সোহবতে প্রজ্ঞাবান আলেম
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘ছোটি সি কাম’
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘ছোটি সি কাম’
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
বৈদেশিক মিশন
বৈদেশিক মিশন
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
অধ্যাত্ম প্রেম
অধ্যাত্ম প্রেম
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

২২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

৪৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী
নকল করে শাস্তি পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থী

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স
বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পাখিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার
আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন জনতার

নগর জীবন

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ২৭ রানে

মাঠে ময়দানে

বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের
বিচার-পুনর্বাসনসহ চার দাবি ওমান ফেরত প্রবাসীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোচনায় আরপিও সংশোধন
আলোচনায় আরপিও সংশোধন

পেছনের পৃষ্ঠা

নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ
শান্তির হ্যাটট্রিকে শীর্ষে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টি ভি তে
টি ভি তে

মাঠে ময়দানে