শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ আপডেট:

সিলেটের ধর্ষকদের ফাঁসি চাই, বাবলাদের রাজনীতি চাই

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
সিলেটের ধর্ষকদের ফাঁসি চাই, বাবলাদের রাজনীতি চাই

কি ভয়ঙ্কর পাশবিক গণধর্ষণের রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে গেছে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে। এমনিতেই মন ভালো নেই। সাত মাস টকশোতে যাই না। বিষাদগ্রস্ত হৃদয়ে লিখতেও ভালো লাগে না আর। লিখে কী হয়, অর্থও বুঝি না। সিলেটকে বলা হয় ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি খ্যাত আধ্যাত্মিক রাজধানী। সেই পবিত্র ভূমিতে শুয়ে আছেন ধর্মপ্রচারক হজরত শাহজাহাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.)-এর মতো আল্লাহর অলি। আর পাশবিক ধর্ষণের ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেটি অবিভক্ত ভারতের ঐতিহ্যবাহী সিলেট মুরারি চাঁদ কলেজের ছাত্রাবাসে। সিলেটের টিলা, গাছপালা শোভিত সবুজের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এমসি কলেজের পাশ দিয়ে গেলেই মন জুড়িয়ে যায়। খুনির বুকেও প্রেমের কবিতা উচ্চারিত হওয়ার কথা। সেখানে আজ জন্ম নেওয়া বখাটে ছিনতাইকারী ধর্ষকদের হাতে নববধূর সম্ভ্রম লুট হয়েছে। ছাত্রলীগের নামধারী কতিপয় জঘন্য দানব স্বামীর কাছ থেকে ছিনতাই করে নিয়ে নববধূটিকে গণধর্ষণ করেছে। তারা স্বামীর হাত-পা বেঁধে তার নববিবাহিতা প্রিয়তমা স্ত্রীকে যেভাবে গণধর্ষণ করেছে সেখানে নারীটির করুণ আকুতি তাদের কলিজা স্পর্শ করেনি। ধর্ষক ও যৌন নিপীড়কদের বাড়িতে মা বোন স্ত্রী রয়েছে- এমন অনুভূতি কখনো থাকে না। কেবল বিকৃত যৌন লালসাই তাদের মধ্যে কাজ করে। সমাজের সর্বস্তরে এ ধরনের বিকৃত পুরুষরা বাস করে। কখনোসখনো এ ধরনের বর্বরতা ঘটিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে গোটা সমাজকে। ওদের কোনো লাজলজ্জা গ্লানি বলতে কিছু নেই। নেই বলেই দানবের মতো উল্লাস করে অসহায় নারীকে এভাবে গণধর্ষণ করে। ’৭১-এর হানাদার বাহিনীও তো আমাদের মা-বোনদের এভাবে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছিল। তাদের সেই গণহত্যা আর গণধর্ষণের পাপকে আমরা কখনো ক্ষমা করিনি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এ অপরাধ কখনো ক্ষমা করবে না। সিলেটের ধর্ষকদেরসহ কোনো ধর্ষকেরই ক্ষমা নেই।

এমসি কলেজ টিলাগড় এলাকায় ছাত্রলীগের ক্যাডার রাজনীতি করা এক গডফাদার অঘোষিত গৌড় গোবিন্দের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার সেনারাই ধর্ষণ ঘটিয়েছে। ধর্ষিতার স্বামীর কান্না দেখে কারণ জানতে চান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলা নামে সবার কাছে পরিচিত মিহিত গুহ চৌধুরী। তিনি ধর্ষিতার পাশে ভাইয়ের মতো প্রতিবাদী রুদ্রমূর্তি নিয়ে দাঁড়ান। বলেন, এ অন্যায়ের বিচার হতে হবে। শাহ পরান থানায় ফোন করে পুলিশ আনেন। ধর্ষকদের বড়ভাইয়েরা এসে টাকা-পয়সায় সমঝোতা চান। বাবলা আপসহীন। এর মধ্যে ধর্ষক পালিয়ে যায়। বাবলারাই আদর্শিক ছাত্রলীগের উত্তরাধিকার। রাজনীতিতে তার পদোন্নতি হবে কিনা জানি না। তবে এ পাশবিকতার বিরুদ্ধে সে-ই নায়ক। ছাত্রলীগের অহংকার। সে-ই ধর্ষকদের চিনিয়ে দিয়েছে। রাজনীতি বাবলারাই করবে। ধর্ষকদের আইন সংশোধন করে ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে।

সৌদি প্রবাসী প্রেমিক স্বামীটি সদ্যবিবাহিতা প্রেমিকা স্ত্রীর একান্ত সান্নিধ্যে রোমান্টিক জীবন কাটাতে এসেছিল। সুন্দর সুখময় রোমান্টিক জীবন কাটছিল তাদের। শরতের বৃষ্টিভেজা বিকালে দুজন বেরিয়েছিল শহরটা ঘুরে আসতে। সিলেটে যারাই বেড়াতে যান, তারাই এমসি কলেজের নৈসর্গিক রূপ দর্শনে মুগ্ধ হতে একবার হলেও পাশ দিয়ে ঘুরে আসেন। সিলেট শহরের মানুষেরা নিয়ত যাচ্ছেন। সিলেট বেড়াতে যাবেন আর এমসি কলেজ দেখে আসবেন না, তা কি হয়? বিষয়টা সবার জন্য এ রকমই। প্রকৃতির কোলে মাথা তুলে দাঁড়ানো এমসি কলেজ কি কেবল প্রকৃতির রূপসী কন্যা? না, এ কলেজ অসংখ্য জাতীয় বীরের জন্ম দিয়েছে। কত কত জাতীয় নেতা এখানে লেখাপড়া করেছেন। জাতির কৃতী সন্তানরা এ কলেজে পাঠ নিয়েছেন। যে কলেজ একদিন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জন্ম দিয়েছে, ছাত্ররাজনীতির গৌরবের ইতিহাস লিখেছে, কালের বিবর্তনে আজ সেখান থেকে কিছুসংখ্যক চাঁদাবাজ, দখলবাজ, ছিনতাইকারী এমনকি ধর্ষকও বেরিয়ে আসছে। আদর্শহীন রাজনীতি ও মূল্যবোধহীন অবক্ষয়ে পতিত নষ্ট সমাজের অসুস্থ সংস্কৃতির এ দুর্গন্ধ নিয়েই দেশের অন্যান্য এলাকার মতো সিলেটের মানুষেরাও বেঁচে আছেন।

সেই শরতের বিকালে নবদম্পতি খুব বেশি রোমান্টিক মুডে বেরিয়েছিল। এমসি কলেজ এলাকায় গিয়েছিলেন যুগলেরা চিত্তের সুখ আহরণে। কিন্তু তারা কখনো ভাবেনইনি কি ভয়ঙ্কর পাশবিক দানবেরা ওত পেতে বসে আছে তাদের জীবনটাকেই জাহান্নাম বানিয়ে দিতে। তারা জানেন না, সেই এলাকা এখন আর মানবিক মানুষের নিয়ন্ত্রণে নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তৃত্ব সেখানে চলে না। সেখানে নষ্ট রাজনীতির দানবদের চেইন দখল করে আছে গোটা এমসি কলেজ এলাকা। সেই দানবদের ক্যাডার পশুরা প্রথমেই তাদের সবকিছু ছিনতাই করে নেয়। এক পর্যায়ে সুন্দরী গৃহবধূর দিকে তাকিয়ে তাদের পাশবিক লালসার ফণা তোলে। তারা জোর করে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নবদম্পতিকে ধরে নিয়ে যায়। স্বামীটিকে বেঁধে রেখে বধূটির সব আকুতি-মিনতি ও ক্রন্দন অবজ্ঞা করে উন্মত্ত উল্লাসে জানোয়ারেরা একে একে নয়জন তাকে ধর্ষণ করে। এসব ধর্ষক ও যৌন নিপীড়ক কখনো কোনোকালেই প্রেমিক হতে পারেনি। ভাই ও পিতা হতে পারেনি। ঘরে মা বোন স্ত্রী কন্যা রয়েছে- এই বিবেকবোধের মৃত্যু ঘটানোর মধ্য দিয়েই একজন বিকৃত পাশবিক ধর্ষকের জন্ম হয় সমাজে। এদের শক্তির উৎস হয় নষ্ট রাজনীতির বড় ভাইয়েরা। এমসি কলেজ এলাকায় এ রকম একজন বড় ভাই রয়েছেন তার কোনো বৈধ পেশা নেই। কিন্তু আয়ের কোনো ঘাটতি নেই। সন্ত্রাস চাঁদাবাজি মাদক দখলবাজি আর নষ্ট তরুণদের ক্যাডার বানিয়ে নিজের শক্তির মহড়া দিয়ে থাকেন। তার সঙ্গে তারই সৃষ্টি অনেকেই যুক্ত হয়েছেন। তিনি আবার এমপিও হতে চান।

২০১২ সালে ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের ৪২টি কক্ষ এ বখাটে নষ্ট রাজনীতির দুর্গন্ধ ছড়ানো সশস্ত্র ক্যাডাররা আগুনে পুড়িয়ে ছারখার করেছিল। সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অসহায়ের মতো কেঁদেছিলেন। সেদিন তাদের বিচার হয়নি। ছাত্রাবাস নির্মাণ ও সংস্কার হয়েছে। এলাকার কর্তৃত্ব যাদের দখলে ছিল মাঝখানে তারা আরও বেপরোয়া হয়েছে। এদের প্রতিরোধে রাজনৈতিক শক্তি, প্রশাসনিক শক্তি এমনকি সামাজিক শক্তিও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সিলেটের মানুষের আত্মমর্যাদা ও বিবেকবোধের এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের যে ঐতিহ্য রয়েছে, সেটিও দিনে দিনে নিভতে বসেছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এ রকম গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত ছয়জনসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে। সন্দেহভাজন আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ মামলার এজাহারে ছয়জনের নাম উল্লেখ করলেও অজ্ঞাত আরও তিনজন রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস, মাদককারবারি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। ধর্ষণের বিরুদ্ধেও তাৎক্ষণিক অ্যাকশনে তাঁর প্রশাসন যাচ্ছে। একই সময়ে পাহাড়ে ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। চকলেটের লোভ দেখিয়ে ছয় বছরের শিশুকেও ধর্ষণ করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় শিশু-নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। একসময় দিল্লির ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকায় ঝড় উঠত। পশ্চিমা দুনিয়ায়ও ধর্ষণ এমনকি সিরিয়াল কিলার পর্যন্ত ধরা পড়ে। এ ধরনের অপরাধ পৃথিবীর দেশে দেশে ঘটছে। বাংলাদেশেও একসময় ঘটলেও বা এখনো অনেকে লোকলজ্জা বা সমাজের ভয়ে মুখ খোলেন না। বিশেষ করে যৌন নিপীড়কদের বিরুদ্ধে তো নয়ই। তবে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে এবং মানুষ সচেতন ও সাহসী হওয়ায় এখন আর তাকে লোকলজ্জার ভয় থামাতে পারে না। অনেকেই মুখ খুলছেন। প্রতিবাদ করছেন। এমনকি আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন। সিলেটের ধর্ষিতা তরুণী আদালতে তার ওপর সংঘটিত মধ্যযুগীয় বর্বর ধর্ষণের হৃদয়স্পর্শী বর্ণনা দিয়েছেন। আমরা কি একবার চিন্তা করছি, ধর্ষকরা নানা প্রভাবে আইনের ফাঁকফোকর গলে কিছুদিন জেল খেটে বেরিয়ে গিয়ে সব লাজলজ্জা হারিয়ে সমাজে বহাল তবিয়তে হাঁটে। পরিবার তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে না। সমাজও তাদের ঘেন্নার সঙ্গে বয়কট করে না। উল্টো ধর্ষিতার ওপর ঘটে যাওয়া বর্বরতায় তার দিকে বাঁকা চোখে তাকায়। অথচ একজন ধর্ষিতা তার ওপর সংঘটিত পাশবিকতার বিচার পেলেও আমৃত্যু সেই ধর্ষণের দগদগে ক্ষত হৃদয়ে বহন করে যায়। শরীরের প্রতি এক ধরনের ঘেন্না কাজ করে। পুরুষ দেখলেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়। দেশে অনেক সময় যৌন নিপীড়নের শিকার ও ধর্ষিতা আত্মহত্যাও করেছে। এ ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। এখন বিএনপি সিলেটের ধর্ষণের জন্য সরকারের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ছে। কিন্তু ভুলে যাচ্ছে, তাদের ’৯১ শাসনামলে দিনাজপুরে পুলিশের হাতে ধর্ষিতা ইয়াসমিন হত্যার প্রতিবাদে কি প্রবল ঝড়ো হাওয়া বইছিল। ধর্ষকের পরিচয় কোনো পেশা বা রাজনীতিতে হয় না। ধর্ষককে তাই প্রশ্রয়ও দেওয়া যায় না। ধর্ষকের পরিচয় একটাই- সে একজন ধর্ষকমাত্র। ধর্ষকের বিরুদ্ধে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটা ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করল, কতটা দ্রুত বিচারে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করল সেটি দেখার বিষয়।

আমাদের দেশে যখনই ধর্ষণ বা গণধর্ষণের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তখন অনেকেই ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চেয়েছেন। কিন্তু আইন এখনো সংশোধন হয়নি। ধর্ষকের জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ধর্ষণ করে হত্যা করলে মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে। এখানে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড ও মামলা চলাকালে তার আগাম জামিন নিষিদ্ধ করা সময়ের দাবি। ফেনীর নুসরাতকে যৌন নিপীড়ন করে পুড়িয়ে মারার বিচার দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে। মানুষ সন্তুষ্ট হয়েছে। ন্যায়বিচার লাভ মানুষের অধিকার। আর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের হয়ে সরকারের দায়িত্ব। সরকার সে দায়িত্ব পালন করছে। এটা কেবল সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একক দায়িত্ব নয়, সমাজও দায় এড়াতে পারে না। রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির ধর্ষক ও যৌন নিপীড়কদের ঘৃণাভরে বর্জন ও প্রতিরোধ করার সময় এসেছে। ধর্ষিতা আজ একজনের স্ত্রী, আরেকজনের কন্যা আরেকজনের বোন। কাল আমার আপনার কারও পরিবারের ওপর এ অপরাধ সংঘটিত হবে না, তার গ্যারান্টি কোথায়? আমার অপরাধী আপনার বন্ধু হতে পারে না। আপনার অপরাধী আমার নয়। এরা সমাজের শত্রু। সিলেটের ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ উঠেছে। শাসকদল আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতারাও প্রতিবাদ করছেন। ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দেওয়ার পর আপনারা কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি নেই কেন? এমসি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি কত বছর হয় না? আদর্শহীন ছাত্ররাজনীতি ছাড়া এসব অপরাধী দলীয় পরিচয় নিয়ে অপরাধ করার সুযোগ পায়। এটাকে নিয়ে রাজনীতি না করে সিলেটের পবিত্রতা ও ঐতিহ্য রক্ষায় এবং মানুষের নিরাপত্তাবিধানে সব রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং প্রশাসন বসে এই ধর্ষকদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের খোলা মনে আলোচনা করে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কাল আরেকটি ঘটনা ঘটবে না তার গ্যারান্টি কোথায়? একজন আদর্শিক শিক্ষক অধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ কতটা অসহায়। কতটা জিম্মি! কলেজ প্রশাসনকে কাদের ভয়ে তটস্থ থাকতে হয়, সেটিও বিবেচনায় আনতে হবে। সিলেটের মেয়র নিরাপদ নগরীর জন্য এতদিন কী করেছেন? সিলেটে ধর্ষকদের পক্ষে আইনজীবীরা দাঁড়াননি। না দাঁড়াতে সামাজিক মাধ্যমেও অনেকে সোচ্চার। খুশিতে আছেন। আবেগ আদালতে চলে না। গোলাম আযমের নাগরিকত্ব মামলা কভার করতে গিয়েছিলাম। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ভাই অকালপ্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল হক লড়ছিলেন গোলাম আযম যেন নাগরিকত্ব না পান। আমাদেরও তুমুল আবেগ-উত্তেজনা। একপর্যায়ে যুক্তিতর্কে কেঁদে ফেললেন। বিচারকের আসনে বসা বিচারপতি মোস্তফা কামাল বলেছিলেন, তিনি তো এ দেশেই কোথাও জন্মেছেন। এখানে তথ্য চাই, আবেগ নয়।

বিখ্যাত আইনজীবী সিরাজুল হক ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সেনাশাসক এরশাদের আইনজীবী হয়েছিলেন দেশবাসীকে চমকে দিয়ে। আমাকে বলেছিলেন, ‘কালো গাউনের ধর্মই হলো আসামিকে আইনি সহায়তা দেওয়া। আর দলের প্রেসিডিয়াম থেকে পদত্যাগ করেছিলেন দলকে বিব্রত না করতে।’ তিনি তার দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকেও পদত্যাগপত্র গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তিনি চান না তার নেত্রী বিব্রত হন। আইনজীবীরা অবশ্যই দাঁড়াবেন যদি ধর্ষকদের এনকাউন্টার না দেওয়া হয়। দেশে দেশে অপরাধ দমনে আইনের দীর্ঘসূত্রতা ও সাক্ষীসাবুদের জন্য দুর্ধর্ষ ধর্ষক-খুনি যাতে বের হয়ে না যায় সেজন্য পুলিশ এনকাউন্টারও করে। এর অপব্যবহার না হলেই হয়। আর বিচারে পুলিশি তদন্ত সাক্ষীসাবুদ তথ্য-উপাত্ত, আসামিদের স্বীকৃতি, আইনি লড়াইয়েই সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। না হয় রাষ্ট্র তাদের আইনজীবী দেবে। কাজেই এ মামলার মেরিট ধর্ষকদের বিরুদ্ধে। জেতা সহজ।

জাতীয়ভাবে পশুহত্যার প্রতিবাদী নর-নারীরা আজ ধর্ষিতার আর্তনাদে বর্বর ধর্ষকদের বিরুদ্ধে নীরব! যৌন নিপীড়ক ও মানুষ খুনিদের বিষয়েও থাকেন সুনসান। চরিত্র নাই এমন কাউকে চরিত্রহীন বললে যারা সরব তারাও নীরব। মানবাধিকার, নারীবাদী, লেখক, রাজনীতিবিদ, সুশীলের কণ্ঠে কথা নেই! মিডিয়াও থেমে যাবে একদিন। অপরাধপ্রবণ বিকৃত সমাজে সব ঘৃণ্য অপরাধীই আজ দাপটে বহাল। কিন্তু সাময়িক আবেগে ভাসলে হবে না। এ নিরন্তর লড়াই। অপরাধমুক্ত নিরাপদ সমাজের লড়াই। আমাদের দেশেও কঠোর আইন, সামাজিক মূল্যবোধ, আদর্শিক রাজনীতি ও ন্যায়বিচার ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমাতে পারে। আজ তাই হৃদয় থেকে বলতে চাই, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই। সামাজিক প্রতিরোধ বয়কট চাই। প্রশ্রয়দাতাদেরও বিচার চাই।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

 

এই বিভাগের আরও খবর
সালাম প্রদানের ফজিলত
সালাম প্রদানের ফজিলত
অ্যান্টিবায়োটিক
অ্যান্টিবায়োটিক
ইউক্রেন যুদ্ধ
ইউক্রেন যুদ্ধ
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
আলো ঢাকতে ধোঁয়ার বড়াই
আলো ঢাকতে ধোঁয়ার বড়াই
সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় ইসলাম
সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় ইসলাম
গ্যাস অনুসন্ধান
গ্যাস অনুসন্ধান
শিল্পে স্থবিরতা
শিল্পে স্থবিরতা
প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন
প্রয়োজন সড়ক নিরাপত্তা আইন
পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা
পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা
সর্বনাশের বুলেট ট্রেনে ধ্বংসের অতলান্তে যাত্রা
সর্বনাশের বুলেট ট্রেনে ধ্বংসের অতলান্তে যাত্রা
সর্বশেষ খবর
মাদক বিক্রির সময় ধরা পরোয়ানাভুক্ত আসামি আল আমিন
মাদক বিক্রির সময় ধরা পরোয়ানাভুক্ত আসামি আল আমিন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে শান্তি আলোচনায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান
সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে শান্তি আলোচনায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির পরও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অ্যামাজনে চাকরিচ্যুত হতে পারেন ৩০ হাজার কর্মকর্তা
অ্যামাজনে চাকরিচ্যুত হতে পারেন ৩০ হাজার কর্মকর্তা

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুর্বল সরবরাহব্যবস্থায় আটকে রপ্তানি
দুর্বল সরবরাহব্যবস্থায় আটকে রপ্তানি

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার
নির্বাচন সামনে রেখেও সেনা বিষোদগার

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিআরডিবির হিসাবরক্ষক কারাগারে
প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিআরডিবির হিসাবরক্ষক কারাগারে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সীমান্ত থেকে পাঠানো চোরাচালানের বেলুন গুলি করে নামাবে লিথুয়ানিয়া
সীমান্ত থেকে পাঠানো চোরাচালানের বেলুন গুলি করে নামাবে লিথুয়ানিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় নির্যাতনের সাত দিন পর লাইফ সাপোর্টে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
কুমিল্লায় নির্যাতনের সাত দিন পর লাইফ সাপোর্টে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩৬ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ইউরোপের বাতাস পর্যবেক্ষণ করছে বিজ্ঞানীরা
৩৬ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ইউরোপের বাতাস পর্যবেক্ষণ করছে বিজ্ঞানীরা

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

গাজায় ঢুকছে মিশরের ভারি উদ্ধার সরঞ্জাম
গাজায় ঢুকছে মিশরের ভারি উদ্ধার সরঞ্জাম

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনের রণাঙ্গনে কেন ব্যর্থ পশ্চিমা ড্রোন?
ইউক্রেনের রণাঙ্গনে কেন ব্যর্থ পশ্চিমা ড্রোন?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে খুন
বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে খুন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জয়পুরহাটে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
জয়পুরহাটে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘এবিসিডি অফ ইমার্জেন্সি কেয়ার’ প্রশিক্ষণ নিলেন ৫০ চিকিৎসক
‘এবিসিডি অফ ইমার্জেন্সি কেয়ার’ প্রশিক্ষণ নিলেন ৫০ চিকিৎসক

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সোনারগাঁয়ে দেশীয় পাইপগান ও কার্তুজ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে দেশীয় পাইপগান ও কার্তুজ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশে রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার
দেশে রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুড়িগ্রামে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
কুড়িগ্রামে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা সীমান্ত থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার দাবি ইসরায়েলের
গাজা সীমান্ত থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার দাবি ইসরায়েলের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানদের কাছে হেরে শিরোপার রেস থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ
আফগানদের কাছে হেরে শিরোপার রেস থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রংপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
রংপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কমলাপুরে ট্রেনের ধাক্কায়  বৃদ্ধার মৃত্যু
কমলাপুরে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিদ্ধিরগঞ্জে দুই ছিনতাইকারী গ্রেফতার
সিদ্ধিরগঞ্জে দুই ছিনতাইকারী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির সাথে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের বৈঠক
বিএনপির সাথে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের বৈঠক

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হবিগঞ্জে বাবার বটির আঘাতে মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
হবিগঞ্জে বাবার বটির আঘাতে মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’-এর প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস
ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’-এর প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চোখের জলে কালামের বিদায়, শোকস্তব্ধ পুরো গ্রাম
চোখের জলে কালামের বিদায়, শোকস্তব্ধ পুরো গ্রাম

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার জামিন নামঞ্জুর
ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার জামিন নামঞ্জুর

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তিনদিন পরই বাতিল হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম
তিনদিন পরই বাতিল হয়ে যাবে অতিরিক্ত সিম

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিজের নামে কয়টা সিম আছে জানেন? এখনই চেক করুন!
নিজের নামে কয়টা সিম আছে জানেন? এখনই চেক করুন!

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভারতে পালানোর সময় শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেফতার
ভারতে পালানোর সময় শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেফতার

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থায়’ পরিণত, কখন-কোথায় আঘাত হানতে পারে
গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থায়’ পরিণত, কখন-কোথায় আঘাত হানতে পারে

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন
ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালামের দাফন সম্পন্ন
মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালামের দাফন সম্পন্ন

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আর নয় গোপনে, প্রকাশ্যেই প্রেম করে বেড়াচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি
আর নয় গোপনে, প্রকাশ্যেই প্রেম করে বেড়াচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩০ মিনিটের ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
৩০ মিনিটের ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই : ইসি সচিব
বিধিমালায় না থাকায় এনসিপিকে শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই : ইসি সচিব

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান যাচাইয়ে হাইকোর্টে রিট
মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান যাচাইয়ে হাইকোর্টে রিট

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৮ সালের নির্বাচনে ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ পদে লড়বেন না ট্রাম্প
২০২৮ সালের নির্বাচনে ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট’ পদে লড়বেন না ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাবেদের অর্থ পাচার এখনও চলছে, এস আলম-আরামিট গ্রুপের যোগসাজশ
জাবেদের অর্থ পাচার এখনও চলছে, এস আলম-আরামিট গ্রুপের যোগসাজশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাখ লাখ টাকা নিয়ে ‘উড়ে গেল’ উড়াও বাংলাদেশ!
লাখ লাখ টাকা নিয়ে ‘উড়ে গেল’ উড়াও বাংলাদেশ!

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিবি পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক, কফিতে ওষুধ মিশিয়ে নারীর মোবাইল-স্বর্ণালঙ্কার লুট
ডিবি পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক, কফিতে ওষুধ মিশিয়ে নারীর মোবাইল-স্বর্ণালঙ্কার লুট

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গঠনের চিন্তা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন
ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ জোট গঠনের চিন্তা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল পুরোদমে চলাচল শুরু
মেট্রোরেল পুরোদমে চলাচল শুরু

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা
পেশাদার আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আইনি রূপরেখা

২১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মাঠে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ, তারপরই আইসিইউতে শ্রেয়াস আইয়ার
মাঠে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ, তারপরই আইসিইউতে শ্রেয়াস আইয়ার

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক চলবে : অন্তর্বর্তী সরকার
দায়িত্ব হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক চলবে : অন্তর্বর্তী সরকার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইস্তাম্বুলে আলোচনার মধ্যেই আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন সংঘর্ষ, নিহত ৩০
ইস্তাম্বুলে আলোচনার মধ্যেই আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন সংঘর্ষ, নিহত ৩০

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় তুর্কি বাহিনীকে মেনে নেওয়া হবে না, মুখ খুললেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজায় তুর্কি বাহিনীকে মেনে নেওয়া হবে না, মুখ খুললেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থ পাচারে সহায়তার অভিযোগে ব্যাংক এশিয়াকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা
অর্থ পাচারে সহায়তার অভিযোগে ব্যাংক এশিয়াকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি বাতিল করলেন পুতিন
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি বাতিল করলেন পুতিন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনে বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির ট্রেন, ঘণ্টায় ছুটবে ৪৫০ কিলোমিটার
চীনে বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির ট্রেন, ঘণ্টায় ছুটবে ৪৫০ কিলোমিটার

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর স্ত্রীকে ‘পুরুষ’ বলায় মামলা, ফ্রান্সে ১০ জনের বিচার শুরু
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর স্ত্রীকে ‘পুরুষ’ বলায় মামলা, ফ্রান্সে ১০ জনের বিচার শুরু

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজি নারী ক্রিকেটারদের শ্লীলতাহানি, ভারতীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়
অজি নারী ক্রিকেটারদের শ্লীলতাহানি, ভারতীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাফিসা কামালের অরবিটালসসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা
নাফিসা কামালের অরবিটালসসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১
৩০০ আসনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিদ্রোহী ঠেকাতে কঠোর বিএনপি
বিদ্রোহী ঠেকাতে কঠোর বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

‘একাধিক বিয়ে’ লজ্জা নয় সাহস
‘একাধিক বিয়ে’ লজ্জা নয় সাহস

শোবিজ

চোখের জলে শেষ বিদায় আজাদকে
চোখের জলে শেষ বিদায় আজাদকে

প্রথম পৃষ্ঠা

মাত্রাতিরিক্ত খরচে বিরক্ত পর্যটক
মাত্রাতিরিক্ত খরচে বিরক্ত পর্যটক

পেছনের পৃষ্ঠা

মেয়েটিকে মনে মনে পছন্দ করতাম : মাহফুজ
মেয়েটিকে মনে মনে পছন্দ করতাম : মাহফুজ

শোবিজ

বেগম খালেদা জিয়া অথবা তারেক রহমানকে প্রার্থী চান নেতা-কর্মীরা
বেগম খালেদা জিয়া অথবা তারেক রহমানকে প্রার্থী চান নেতা-কর্মীরা

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আপৎসীমার কাছাকাছি খাদ্যের মজুত
আপৎসীমার কাছাকাছি খাদ্যের মজুত

পেছনের পৃষ্ঠা

মিঠুনের মেয়ে বিদ্যা
মিঠুনের মেয়ে বিদ্যা

শোবিজ

বিনিময়ের বদলে আসছে নতুন প্ল্যাটফর্ম
বিনিময়ের বদলে আসছে নতুন প্ল্যাটফর্ম

শিল্প বাণিজ্য

১৬ মাস পর ঢাকায় আসছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
১৬ মাস পর ঢাকায় আসছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

হারে সিরিজ শুরু লিটনদের
হারে সিরিজ শুরু লিটনদের

মাঠে ময়দানে

দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ক্যাম্পাস
দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ক্যাম্পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’
যানজট কমাতে ‘মিনিবাস’

সম্পাদকীয়

ঢাকায় এসবার ব্যাংকের অফিস খুলতে চায় মস্কো
ঢাকায় এসবার ব্যাংকের অফিস খুলতে চায় মস্কো

শিল্প বাণিজ্য

জেনে রাখা ভালো
জেনে রাখা ভালো

স্বাস্থ্য

গৃহবধূকে তুলে নেওয়ার বিচার দাবিতে থানায় গ্রামবাসী
গৃহবধূকে তুলে নেওয়ার বিচার দাবিতে থানায় গ্রামবাসী

দেশগ্রাম

নির্যাতনে মৃত্যু কলেজছাত্রের
নির্যাতনে মৃত্যু কলেজছাত্রের

দেশগ্রাম

খড় কাটা নিয়ে গোলাগুলি, যুবক নিহত
খড় কাটা নিয়ে গোলাগুলি, যুবক নিহত

দেশগ্রাম

অ্যান্টিবায়োটিক
অ্যান্টিবায়োটিক

সম্পাদকীয়

প্যারাবন ধ্বংসে মামলা, আসামি ২০
প্যারাবন ধ্বংসে মামলা, আসামি ২০

দেশগ্রাম

আউটসোর্সিং স্টাফসহ ১১ জনের কারাদণ্ড
আউটসোর্সিং স্টাফসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে নির্ভরতার প্রতীক পার্কভিউ হসপিটাল
চট্টগ্রামে নির্ভরতার প্রতীক পার্কভিউ হসপিটাল

শিল্প বাণিজ্য

সালিশের নামে প্রকাশ্যে ন্যাড়া পাঁচ তরুণকে
সালিশের নামে প্রকাশ্যে ন্যাড়া পাঁচ তরুণকে

দেশগ্রাম

নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম তদন্তে দুদক-স্বাস্থ্যের টিম
নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম তদন্তে দুদক-স্বাস্থ্যের টিম

দেশগ্রাম

র্কপোরটে র্কনার
র্কপোরটে র্কনার

অর্থ-বাজার-বাণিজ্য

কেটেছে জটিলতা, গভীর রাত পর্যন্ত আসবে পণ্য
কেটেছে জটিলতা, গভীর রাত পর্যন্ত আসবে পণ্য

দেশগ্রাম

চিকিৎসক সংকট, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা
চিকিৎসক সংকট, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

দেশগ্রাম

হাসপাতালে অনিয়মের প্রতিবাদ ছাত্র-জনতার
হাসপাতালে অনিয়মের প্রতিবাদ ছাত্র-জনতার

দেশগ্রাম

যে ঘণ্টা হয়ে ওঠে মৃত্যুর ঘণ্টা
যে ঘণ্টা হয়ে ওঠে মৃত্যুর ঘণ্টা

শোবিজ