শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০

জয়তু গণতন্ত্র, জয়তু মানবতা

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
জয়তু গণতন্ত্র, জয়তু মানবতা

আমার কয়েকটি নিবন্ধে আমি উল্লেখ করেছিলাম, সংকীর্ণতা, সংঘাত ও সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্র ও মানবতার কাছে পরাভূত হবেই। আমেরিকার নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় তারই সত্যতার একটি নিদর্শন। আমেরিকার নির্বাচনটি শুধু আমার কাছেই নয়, বিশ্বের কন্দরে কন্দরে অগণিত রাজনীতি-সচেতন মানুষের অন্তরে সমুদ্রের উচ্ছ্বসিত ঊর্মিমালার মতো উৎকণ্ঠা এবং উচ্ছ্বাস দুটোই সমান্তরালভাবে উত্থিত হয়েছিল। জো বাইডেনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নির্বাচনী লড়াইটি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল এ কারণে যে, বর্ণবাদ, সংকীর্ণতা, অহমিকা ও আত্মম্ভরিতার বিরুদ্ধে এককথায় এটি সহিষ্ণুতা ও মানবতার লড়াই ছিল। ক্ষমতায় আসা থেকে চারটি বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প শকুনের মতো বিশ্বমানবতাকে কুরে কুরে খেয়েছেন। পৃথিবীর সর্বত্রই থরে থরে কম্পমান ছিল, ক্ষমতার দাম্ভিকতায় উন্মত্ত ট্রাম্প নাৎসি হিটলারের মতোই আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের দিকে না পৃথিবীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফেলেন। তার প্রচন্ড দাম্ভিকতা এবং বর্ণবাদের নির্লজ্জ প্রকাশ শুধু আমেরিকায় বসবাসরত মানবতার পূজারি মানুষগুলোকেই আতঙ্কিত করেনি, বরং সমগ্র বিশ্বকে আশঙ্কার অন্ধকার অমানিশার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছিল যে, মানবতাবাদী কম্পমান হৃদয়ে অশান্ত সমুদ্রের বুকে জেগে ওঠা দীপের মতো প্রশ্ন জেগে উঠেছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলবেন? অভিবাসীদের জীবনকে তিনি শঙ্কিত, আতঙ্কিত ও দুর্বিষহ করে তো তুলেছিলেনই, উপরন্তু তাদের হৃদয়ের সৈকতে যে প্রশ্নটি বারবার আছড়ে পড়ছিল, আমেরিকার নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও আদৌ সেখানে তারা বসবাস করতে পারবেন কিনা। অভিবাসীদের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও ব্যাপ্তিতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফন্দিফিকির তার মস্তিষ্কে নিয়মিত চরকির মতো ঘুরত। এ ব্যাপারে আইন প্রণয়নেও তার উদ্যোগ সুস্পষ্ট ছিল। এমনকি মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের মতো তার অবাস্তব পরিকল্পনাও মানবতায় বিশ্বাসী সব প্রাণকেই বিভীষিকার আতঙ্কে জর্জরিত করে তুলেছিল।

তিনি স্বার্থের দাসত্ব করতেন, দানবের মতো প্রভুত্ব করতে চাইতেন, মানবতাকে পদদলনে বিধ্বস্ত করতে চাইতেন। তার উগ্র বর্ণবাদের দীপ্তিহীন আগুনের দহনে তিলে তিলে দগ্ধীভূত হচ্ছিল আমেরিকার মানবতা। মহাভারতে একটা প্রবাদ আছে, ‘তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে’। যে বর্ণবাদ মানবতার বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্ত্র ছিল, গণতন্ত্রের বিশাল বিস্তীর্ণ ও গণতন্ত্রের ঐতিহ্যের আবিরমন্ডিত দেশ আমেরিকায় তিনি শুধু অন্তরের নিভৃত কন্দরে লালনই করেননি, বরং ক্ষেত্রবিশেষ তার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তার নির্লিপ্ততার মধ্য দিয়ে তার হৃদয়ের নিবিড় অরণ্যে অবস্থানরত পশুত্বকেও প্রদর্শন করে ফেলেছেন। তার ব্যক্তিত্ব ছিল সবুজ পাতার ওপর দৃশ্যত টলটলায়মান একবিন্দু পানির মতো। তিনি চোখ ওল্টাতে সময় নিতেন না।

মজার বিষয় হলো, এতসব সত্ত্বেও আমেরিকার অতি অভিজাত ঐশ্বর্যবান ও রক্ষণশীল এক ধরনের আদি আমেরিকান নাগরিকের অকুণ্ঠ সমর্থন ডোনাল্ড ট্রাম্প ধরে রাখতে পেরেছিলেন। এ ক্ষুদ্র গোষ্ঠীটি ধনাঢ্য ও বিত্তবান হওয়া সত্ত্বেও মনের দিক থেকে আধুনিক আমেরিকাকে ধারণ করতে পারেন না। তারা কৃষ্ণাঙ্গদের ভৃত্য ছাড়া আর কিছুই ভাবতে শেখেননি। এ অতিমাত্রিক সংকীর্ণ ও রক্ষণশীল মহলটির মস্তিষ্কে ঘুরপাক খায় বারাক ওবামা কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতিনিধি। ভৃত্যদের নেতৃত্বদানকারী এই ব্যক্তিটির দ্বারা তারা আট বছর শাসিত হয়েছেন। এ ক্ষোভেই তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্লজ্জ সমর্থন দিতেন, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থেরও জোগান দিতেন। কিন্তু সত্যি বলতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের অনেকেই তার হৃদয়ের সংকীর্ণতা ও মলিনতাকে প্রচন্ড ভাবেই অপছন্দ করতেন। আমেরিকার এবারের নির্বাচন খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল, জো বাইডেনের মানবতাবাদী নিরন্তর ঐক্য কামনার সুষ্ঠু ও সাবলীল চিন্তার কাছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংকীর্ণতার নির্মমভাবে বধ হয়েছে। আমেরিকার ইতিহাসে নির্বাচনে অভূতপূর্ব ও আশ্চর্যজনকভাবে ভোটারের সর্বোচ্চ উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে কতখানি আতঙ্কিত এবং এ বিজয় রুখবার জন্য কতখানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডাকযোগে অগ্রিম ভোট প্রদান করেছেন ১০ কোটির বেশি নাগরিক। করোনাভাইরাসকে পরোয়া না করে বাইডেনের বিজয়ে শুধু ওয়াশিংটন বা নিউইয়র্কেই নয়, আমেরিকার প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ শহরে করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করে যে আবেগ ও উচ্ছ্বাস প্রদর্শিত হয়েছে, তা আগে কখনো হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধু গণতন্ত্র ও মানবতার বিবেকবিবর্জিতই ছিলেন না, ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য তার উদগ্র ও উচ্ছৃঙ্খল বাসনা আমেরিকার পূর্বাপর সব ঐতিহ্যকে পদাঘাত করে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছেন। আমেরিকার ইতিহাসে এটি এক আশ্চর্যজনক আসুরিক কান্ড ।

শুধু ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থকই নয়, আমেরিকার সামাজিক নেতৃত্ব, এমনকি ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকানদেরও একটি অংশ নির্বাচনোত্তর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উ™£ান্ত বালখিল্যতা ও একগুঁয়েমি প্রদর্শন থেকে নিবৃত্ত থাকার জন্য সুস্পষ্ট আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু ‘চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি’। নির্বাচনে সুস্পষ্ট পরাজয়ের পর তিনি যে খামখেয়ালি, বালখিল্যতা ও একগুঁয়েমি প্রদর্শন করলেন, তা তার লুকিয়ে রাখা বিষদাঁতটিকেও দেখিয়ে ফেলল। আমেরিকায় কোন প্রার্থী বিজয় নিশ্চিতের পথে এগিয়ে গেলে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিজয় পথযাত্রীকে অগ্রিম অভিনন্দন জানিয়ে ফেলেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় পূর্ণ সহায়তা ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। আমেরিকার ঐতিহ্য অনুসরণ করেই জো বাইডেন নির্বাচনোত্তর তার প্রথম বিজয়ী ভাষণটিতে বললেন- I am no more a president nominated by democratic party. I am the president of America. এ উক্তিটি তাকে শুধু গৌরবান্বিতই করেনি, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আমেরিকার পরিশীলিত ও পরিমার্জিত মানসিকতাকে উচ্চে তুলে ধরেছে। আমেরিকার রাজনৈতিক ঐতিহ্য যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে চলেছিল, তা থেকে আমেরিকাকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি হিসেবে সজ্ঞানে ও সচেতনভাবেই তিনি এ উক্তিটি করেছেন।

জো বাইডেন একজন পোড় খাওয়া অভিজ্ঞ রাজনীতিক। ব্যক্তিজীবনে দুঃখ ও বেদনার ঝড় তাকে বুক পেতে সইতে হয়েছে। মোটর দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী ও কন্যার মর্মান্তিক মৃত্যুর যন্ত্রণা তিনি বুক পেতে সয়েছেন। ১৯৮৮ সালে মস্তিষ্কের কঠিন অসুখে পড়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে কাটিয়ে সুস্থ হয়ে আবারও রাজনীতিতে ফিরেছেন। ২০১৫ সালে হারিয়েছেন বড় ছেলে বো বাইডেনকে। ব্যক্তিজীবনে দুঃখ সহ্য করার এ শক্তি আমেরিকানদের কাছে তার ভাবমূর্তিকে প্রকট করেছে এবং এও তার বিশাল প্রাইমারি ভোট প্রাপ্তির অন্যতম কারণ। জো বাইডেনের এ বিজয় ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনদের জন্যও শিক্ষণীয় কিছু কি রেখে যায়নি?

এখন জো বাইডেনের সামনে প্রকট সমস্যা হলো, সারা বিশ্বে বিশেষ করে আমেরিকায় করোনাভাইরাসের মর্মান্তিক প্রভাব। যদিও ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বের হওয়ার পথে, তবু নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বিষয়টিকে সূক্ষ্মভাবে দক্ষ হাতে মোকাবিলা করতে হবে। কভিড-১৯ একটি প্রাণঘাতী ব্যাধি। একে দক্ষ হাতে মোকাবিলার ব্যর্থতা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ডুবিয়েছে পরাজয়ের অতলান্তে। বিষয়টিকে নিশ্চয়ই বাইডেন খাটো করে দেখবেন না। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তিনি সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন। তার হৃদয়ের ভান্ডার অভিজ্ঞতার মণিমুক্তায় পরিপূর্ণ। তিনি আপন জীবনের অতলান্তে পানকৌড়ির মতো ডুব দিয়ে অগণিত মণিমুক্তা কুড়িয়ে আনতে পারেন। বিশ্বশান্তির প্রশ্নে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় হিটলার হয়ে উঠছিলেন। সেখান থেকেও আমেরিকা অতি দ্রুত সরে আসবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ট্রাম্পের শাসনামলে আমেরিকার ঔদাসীন্যে এবং ক্ষেত্রবিশেষ প্রযত্নে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা ও রাজনীতিতে যে উগ্রতা ও অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলছিল, এখন থেকে তা শুধু স্তিমিত হবে না, নিঃশেষিত হয়ে যাবে- এটি বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা। বর্ণবাদ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয়। হিটলার-মুসোলিনি হয়েছেন; ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও হতে হলো।

বিশ্ব জো বাইডেনকে যদিও চেনে-জানে, তবু এখন পর্যন্ত প্রত্যাশার কথাই বলা যায়। তবে নিশ্চিত করে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। প্রতিক্রিয়াশীলরা পরাজিত হয় বটে কিন্তু অতি সহজে পরাজয় মন থেকে মেনে নেয় না। বরং নানা প্রকার কুটিল ষড়যন্ত্রে নিমগ্ন হয়। প্রসঙ্গত বলে রাখি, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আজও নিঃশেষিত হয়নি। মাকড়সার জাল বোনার মতো সরকারের ভিতরে ও বাইরে থেকে তাদের কাজটি তারা করেই চলেছে। বিভাজন নয়, ঐক্যই তাদের মারণাস্ত্র। এটা শেখ হাসিনাসহ সুশীলসমাজকে সচেতনভাবে মনে রাখতে হবে। আমি মনে করি, সব দেশেই বিশেষ করে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে রাজনীতিকে বিপর্যস্ত করা ও সমাজে অস্থিরতা বাড়ানোর জন্য ষড়যন্ত্র চলতেই থাকে। সরকার তো বটেই, অনেক সময় সুশীলসমাজও জেনে-বুঝে নিশ্চুপ থাকে। আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ভারত- গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের আবিরমাখা ভারত সাম্প্রদায়িকতার অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে চলেছে। মোদি, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথদের আসুরিক নৃত্যে গণতন্ত্রের পাদপীঠ ও ঐতিহ্যের প্রসূতিকাগার আজ কম্পমান। মোদি-অমিত-আদিত্যনাথের পদাঘাতে এ আসুরিক প্রভাব ভারতের রাজনীতিতে ক্ষণস্থায়ী। বিশ্ববাসী যা মনে করত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ে এ বিশ্বাসটি আরও সুদৃঢ় হলো। ভারতের রাজনীতিতে মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধীর মতো উদ্ভাসিত নেতৃত্বের প্রভাব আজ অনেকটাই ঘন-কালো মেঘে ঢাকা। তবু আশায় বুক বেঁধে কবিগুরুর ভাষায় বলতে হয়- ‘রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে’। ভারতবর্ষে গণতান্ত্রিক ধারায় একটি রাজনৈতিক জ্যোতিষ্কের আবির্ভাব অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতবর্ষের ভিত্তিই হলো গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতা। ক্ষমতার দুর্দমনীয় প্রলোভনে গণতন্ত্রকে আঘাত হেনে এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ রোপণ করে ক্ষমতায় আসা যায়। সময়ের ব্যবধানে অবস্থানও করা যায় কিন্তু সত্য ও সুন্দরকে চিরকালের জন্য নিশ্চিহ্ন করা যায় না। আমরা যারা গণতন্ত্র ও মানবতার অনুসারী, তারা নিজের দেশে তো বটেই, ভারতবর্ষেও গণতন্ত্রের মৃত্যু দেখতে চাই না। আজকে ভারতবর্ষে মোদি-অমিত শাহর দোর্দ- প্রতাপ চলছে। ট্রাম্পের পরিণতি এ প্রত্যাশার মশাল জ্বেলেছে যে, ভারতবর্ষেও গণতন্ত্রের মশাল জ্বলবে, মানবতার বিজয় আসবে এবং অসাম্প্রদায়িকতায় সূর্যস্নাত হবে।

দেশব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। সেই ’৬২ সালের আন্দোলনের সময় থেকেই রাজনৈতিক পথপরিক্রমণে আমার যাত্রা শুরু। পারিবারিক কারণে জন্মসূত্রেই আমি আওয়ামী লীগ ঘরানার লোক। রাজনীতিতে সরব বা নীরব- এটি বড় কথা নয়, বিশ্বাসটাই আসল। সে বিশ্বাসের আঙ্গিকেই আমার রাজনৈতিক অস্তিত্বের সমস্ত অবয়ব। গণতন্ত্রের মানসপুত্র কালজয়ী ব্যক্তিত্ব, এই উপমহাদেশে নীল রক্তের উত্তরাধিকার মরহুম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যে নিষ্কলুষ বিশেষণ-বিযুক্ত ও নির্ভেজাল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন, আমি তারই অনুসারী। আমার পিতাও একই রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। আমার সন্তানরাও একই আদর্শ লালন করে। সে বিশ্বাসের আঙ্গিকেই আমার রাজনৈতিক পথচলা। বিশ্বাসটা প্রত্যয়দৃঢ় বলেই নির্যাতন-নিগ্রহ ও প্রলোভন, প্রত্যাশা জীবনে কখনই আমাকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি- লালিত আদর্শ থেকে আমাকে বিচ্যুত করতে পারেনি। আমার জীবন, অস্তিত্ব আমার চেতনারই প্রতিফলন। তাই কখনো রংধনুর রং বদলের মতো আমি দলবদল করতে পারিনি। রাজনীতিতে বিশ্বাসটাই আমার অর্জন। স্বাধীনতাযুদ্ধের পটভূমিকা তৈরি ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম অর্জন। বঙ্গবন্ধু যা বলতে চাইতেন কিন্তু সাংবিধানিক রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে যা বলতে পারতেন না, তাই বেরিয়ে আসত ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমার কণ্ঠ থেকে। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার নেতাকে চার খলিফা বলা হতো। কারণ, তারাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অব্যক্ত কথার অভিব্যক্তি ও হৃদয়ের অনুরণনের প্রতিধ্বনি। তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে প্রবহমান কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, আমাদের আমলে ছাত্রলীগই ছিল তাঁর হৃদয়ের ধড়কানি।

গণতন্ত্র বেঁচে থাকলেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ও আদর্শ শাশ্বত ও চিরঞ্জীব থাকবে। তাঁর আজীবনের গণতন্ত্রের সাধনাকে হৃদয়ের মানসপটে প্রতিস্থাপিত করতে পারলেই তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার অর্ঘ্য প্রদান করা হবে। বাম ঘরানার কিছু লোক তাঁর মনের আকাশে কালো মেঘের প্রলেপ দিয়ে তাঁর দ্বারা বাকশাল করাতে পেরেছিল। কিন্তু আমি সারা জীবন মনে রাখব, বাকশাল করার পর মণি ভাইয়ের সঙ্গে যখন নেতাকে দেখতে গেলাম (নেতার পিতৃবিয়োগের খবর শুনে) তাঁর সেই বেদনাবিধুর মুহূর্তেও তিনি আমাকে বলেছিলেন, ভাবিস না আমি সারা জীবনের জন্য একদল (বাকশাল) করেছি। স্বাধীনতার পর আমি তিন বছর সময় চেয়েছিলাম। এখন আমার আরও কিছুটা সময় দরকার। আমি এ দেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করবই, ইনশা আল্লাহ। ভঙ্গুর অর্থনীতিতে বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভর করে স্বাধীনতার পাদপীঠ শক্ত থাকে না। স্বাধীন বাংলাদেশকে শক্ত অর্থনৈতিক পাদপীঠে দাঁড় করাতে চাই। তার জন্য যে নিরঙ্কুশ ও বাধাপ্রতিবাদহীন সময়ের প্রয়োজন, তার এক সেকেন্ড বেশিও আমি বাকশাল রাখব না। আমি সোহরাওয়ার্দীর অনুসারী। মাটি ও পানি ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না, গণতন্ত্র ছাড়া তেমনি স্বাধীনতাও টিকে না। তাই গণতন্ত্রবিবর্জিত পরিবেশে দেশের স্বাধীনতাকে অরক্ষিত রাখতে আমি চাইব না। বঙ্গবন্ধুর বক্ষে আমার মাথা, আমার দুই চোখ ভরা অশ্রু, কণ্ঠ নির্বাক।

সরবে সগৌরবে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত হচ্ছে। এই অবিস্মরণীয় কর্মকালে আমি বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন, যার আদর্শের প্রতীক ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাদের বিশ্বাসের একমাত্র আঙ্গিক ছিল গণতন্ত্র এবং দেশ শাসনের প্রশ্নে জনগণই শেষ কথা। এটি শেখ হাসিনা সযতেœ হৃদয়ের গভীরে লালন করলে তাঁদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীও সার্থকতা লাভ করবে। বিস্মৃত হলে চলবে না, গণতন্ত্র, অর্থাৎ- ’৭০-এর নির্বাচনের গণম্যান্ডেটই ছিল মুক্তিযুদ্ধের নিয়ামক শক্তি। এই জন্মশতবার্ষিকীর মহালগ্নে আমার নেতা মুজিব ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বুকনিঃসৃত প্রতিধ্বনি- জয়তু গণতন্ত্র, জয়তু বাংলার মানুষ।

                লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৌশভোজের আয়োজন
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৌশভোজের আয়োজন

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

২৩ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা
আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা

৪০ মিনিট আগে | শোবিজ

টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের
টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত
মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা
তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’
‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

কুড়িগ্রাম ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় অগ্রযাত্রা
কুড়িগ্রাম ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় অগ্রযাত্রা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষে ভোট চাইলেন ওয়াদুদ ভূইয়া
ধানের শীষে ভোট চাইলেন ওয়াদুদ ভূইয়া

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্টের সহসভাপতি দুলাল, সম্পাদক মজিদ
খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্টের সহসভাপতি দুলাল, সম্পাদক মজিদ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের লাশ মিলল রেল লাইনে
শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের লাশ মিলল রেল লাইনে

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, না দেওয়ায় লাশ মিলল নদীতে
অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, না দেওয়ায় লাশ মিলল নদীতে

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি জনগণ: সেলিমুজ্জামান সেলিম
চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি জনগণ: সেলিমুজ্জামান সেলিম

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতবিনিময় সভা
ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতবিনিময় সভা

৩ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে: সেলিমা রহমান
১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে: সেলিমা রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে
ভূরাজনৈতিক পুনর্গঠনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে

পেছনের পৃষ্ঠা

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২
হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান

সম্পাদকীয়

খুলনায় ফের যুবককে গুলি নেপথ্যে মাদক
খুলনায় ফের যুবককে গুলি নেপথ্যে মাদক

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন

সম্পাদকীয়

শিল্পকলায় ভাসানে উজান
শিল্পকলায় ভাসানে উজান

পেছনের পৃষ্ঠা

অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি
অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা

বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

সম্পাদকীয়

বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ
বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে আট ইসলামি দলের সমাবেশ ৩০ নভেম্বর
রাজশাহীতে আট ইসলামি দলের সমাবেশ ৩০ নভেম্বর

খবর