শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০

জয়তু গণতন্ত্র, জয়তু মানবতা

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
জয়তু গণতন্ত্র, জয়তু মানবতা

আমার কয়েকটি নিবন্ধে আমি উল্লেখ করেছিলাম, সংকীর্ণতা, সংঘাত ও সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্র ও মানবতার কাছে পরাভূত হবেই। আমেরিকার নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় তারই সত্যতার একটি নিদর্শন। আমেরিকার নির্বাচনটি শুধু আমার কাছেই নয়, বিশ্বের কন্দরে কন্দরে অগণিত রাজনীতি-সচেতন মানুষের অন্তরে সমুদ্রের উচ্ছ্বসিত ঊর্মিমালার মতো উৎকণ্ঠা এবং উচ্ছ্বাস দুটোই সমান্তরালভাবে উত্থিত হয়েছিল। জো বাইডেনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নির্বাচনী লড়াইটি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল এ কারণে যে, বর্ণবাদ, সংকীর্ণতা, অহমিকা ও আত্মম্ভরিতার বিরুদ্ধে এককথায় এটি সহিষ্ণুতা ও মানবতার লড়াই ছিল। ক্ষমতায় আসা থেকে চারটি বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প শকুনের মতো বিশ্বমানবতাকে কুরে কুরে খেয়েছেন। পৃথিবীর সর্বত্রই থরে থরে কম্পমান ছিল, ক্ষমতার দাম্ভিকতায় উন্মত্ত ট্রাম্প নাৎসি হিটলারের মতোই আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের দিকে না পৃথিবীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফেলেন। তার প্রচন্ড দাম্ভিকতা এবং বর্ণবাদের নির্লজ্জ প্রকাশ শুধু আমেরিকায় বসবাসরত মানবতার পূজারি মানুষগুলোকেই আতঙ্কিত করেনি, বরং সমগ্র বিশ্বকে আশঙ্কার অন্ধকার অমানিশার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছিল যে, মানবতাবাদী কম্পমান হৃদয়ে অশান্ত সমুদ্রের বুকে জেগে ওঠা দীপের মতো প্রশ্ন জেগে উঠেছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলবেন? অভিবাসীদের জীবনকে তিনি শঙ্কিত, আতঙ্কিত ও দুর্বিষহ করে তো তুলেছিলেনই, উপরন্তু তাদের হৃদয়ের সৈকতে যে প্রশ্নটি বারবার আছড়ে পড়ছিল, আমেরিকার নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও আদৌ সেখানে তারা বসবাস করতে পারবেন কিনা। অভিবাসীদের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও ব্যাপ্তিতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফন্দিফিকির তার মস্তিষ্কে নিয়মিত চরকির মতো ঘুরত। এ ব্যাপারে আইন প্রণয়নেও তার উদ্যোগ সুস্পষ্ট ছিল। এমনকি মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের মতো তার অবাস্তব পরিকল্পনাও মানবতায় বিশ্বাসী সব প্রাণকেই বিভীষিকার আতঙ্কে জর্জরিত করে তুলেছিল।

তিনি স্বার্থের দাসত্ব করতেন, দানবের মতো প্রভুত্ব করতে চাইতেন, মানবতাকে পদদলনে বিধ্বস্ত করতে চাইতেন। তার উগ্র বর্ণবাদের দীপ্তিহীন আগুনের দহনে তিলে তিলে দগ্ধীভূত হচ্ছিল আমেরিকার মানবতা। মহাভারতে একটা প্রবাদ আছে, ‘তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে’। যে বর্ণবাদ মানবতার বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্ত্র ছিল, গণতন্ত্রের বিশাল বিস্তীর্ণ ও গণতন্ত্রের ঐতিহ্যের আবিরমন্ডিত দেশ আমেরিকায় তিনি শুধু অন্তরের নিভৃত কন্দরে লালনই করেননি, বরং ক্ষেত্রবিশেষ তার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তার নির্লিপ্ততার মধ্য দিয়ে তার হৃদয়ের নিবিড় অরণ্যে অবস্থানরত পশুত্বকেও প্রদর্শন করে ফেলেছেন। তার ব্যক্তিত্ব ছিল সবুজ পাতার ওপর দৃশ্যত টলটলায়মান একবিন্দু পানির মতো। তিনি চোখ ওল্টাতে সময় নিতেন না।

মজার বিষয় হলো, এতসব সত্ত্বেও আমেরিকার অতি অভিজাত ঐশ্বর্যবান ও রক্ষণশীল এক ধরনের আদি আমেরিকান নাগরিকের অকুণ্ঠ সমর্থন ডোনাল্ড ট্রাম্প ধরে রাখতে পেরেছিলেন। এ ক্ষুদ্র গোষ্ঠীটি ধনাঢ্য ও বিত্তবান হওয়া সত্ত্বেও মনের দিক থেকে আধুনিক আমেরিকাকে ধারণ করতে পারেন না। তারা কৃষ্ণাঙ্গদের ভৃত্য ছাড়া আর কিছুই ভাবতে শেখেননি। এ অতিমাত্রিক সংকীর্ণ ও রক্ষণশীল মহলটির মস্তিষ্কে ঘুরপাক খায় বারাক ওবামা কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতিনিধি। ভৃত্যদের নেতৃত্বদানকারী এই ব্যক্তিটির দ্বারা তারা আট বছর শাসিত হয়েছেন। এ ক্ষোভেই তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্লজ্জ সমর্থন দিতেন, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থেরও জোগান দিতেন। কিন্তু সত্যি বলতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের অনেকেই তার হৃদয়ের সংকীর্ণতা ও মলিনতাকে প্রচন্ড ভাবেই অপছন্দ করতেন। আমেরিকার এবারের নির্বাচন খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল, জো বাইডেনের মানবতাবাদী নিরন্তর ঐক্য কামনার সুষ্ঠু ও সাবলীল চিন্তার কাছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংকীর্ণতার নির্মমভাবে বধ হয়েছে। আমেরিকার ইতিহাসে নির্বাচনে অভূতপূর্ব ও আশ্চর্যজনকভাবে ভোটারের সর্বোচ্চ উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে কতখানি আতঙ্কিত এবং এ বিজয় রুখবার জন্য কতখানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডাকযোগে অগ্রিম ভোট প্রদান করেছেন ১০ কোটির বেশি নাগরিক। করোনাভাইরাসকে পরোয়া না করে বাইডেনের বিজয়ে শুধু ওয়াশিংটন বা নিউইয়র্কেই নয়, আমেরিকার প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ শহরে করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করে যে আবেগ ও উচ্ছ্বাস প্রদর্শিত হয়েছে, তা আগে কখনো হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধু গণতন্ত্র ও মানবতার বিবেকবিবর্জিতই ছিলেন না, ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য তার উদগ্র ও উচ্ছৃঙ্খল বাসনা আমেরিকার পূর্বাপর সব ঐতিহ্যকে পদাঘাত করে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছেন। আমেরিকার ইতিহাসে এটি এক আশ্চর্যজনক আসুরিক কান্ড ।

শুধু ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থকই নয়, আমেরিকার সামাজিক নেতৃত্ব, এমনকি ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকানদেরও একটি অংশ নির্বাচনোত্তর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উ™£ান্ত বালখিল্যতা ও একগুঁয়েমি প্রদর্শন থেকে নিবৃত্ত থাকার জন্য সুস্পষ্ট আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু ‘চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি’। নির্বাচনে সুস্পষ্ট পরাজয়ের পর তিনি যে খামখেয়ালি, বালখিল্যতা ও একগুঁয়েমি প্রদর্শন করলেন, তা তার লুকিয়ে রাখা বিষদাঁতটিকেও দেখিয়ে ফেলল। আমেরিকায় কোন প্রার্থী বিজয় নিশ্চিতের পথে এগিয়ে গেলে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিজয় পথযাত্রীকে অগ্রিম অভিনন্দন জানিয়ে ফেলেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় পূর্ণ সহায়তা ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। আমেরিকার ঐতিহ্য অনুসরণ করেই জো বাইডেন নির্বাচনোত্তর তার প্রথম বিজয়ী ভাষণটিতে বললেন- I am no more a president nominated by democratic party. I am the president of America. এ উক্তিটি তাকে শুধু গৌরবান্বিতই করেনি, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আমেরিকার পরিশীলিত ও পরিমার্জিত মানসিকতাকে উচ্চে তুলে ধরেছে। আমেরিকার রাজনৈতিক ঐতিহ্য যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে চলেছিল, তা থেকে আমেরিকাকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি হিসেবে সজ্ঞানে ও সচেতনভাবেই তিনি এ উক্তিটি করেছেন।

জো বাইডেন একজন পোড় খাওয়া অভিজ্ঞ রাজনীতিক। ব্যক্তিজীবনে দুঃখ ও বেদনার ঝড় তাকে বুক পেতে সইতে হয়েছে। মোটর দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী ও কন্যার মর্মান্তিক মৃত্যুর যন্ত্রণা তিনি বুক পেতে সয়েছেন। ১৯৮৮ সালে মস্তিষ্কের কঠিন অসুখে পড়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে কাটিয়ে সুস্থ হয়ে আবারও রাজনীতিতে ফিরেছেন। ২০১৫ সালে হারিয়েছেন বড় ছেলে বো বাইডেনকে। ব্যক্তিজীবনে দুঃখ সহ্য করার এ শক্তি আমেরিকানদের কাছে তার ভাবমূর্তিকে প্রকট করেছে এবং এও তার বিশাল প্রাইমারি ভোট প্রাপ্তির অন্যতম কারণ। জো বাইডেনের এ বিজয় ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনদের জন্যও শিক্ষণীয় কিছু কি রেখে যায়নি?

এখন জো বাইডেনের সামনে প্রকট সমস্যা হলো, সারা বিশ্বে বিশেষ করে আমেরিকায় করোনাভাইরাসের মর্মান্তিক প্রভাব। যদিও ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বের হওয়ার পথে, তবু নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বিষয়টিকে সূক্ষ্মভাবে দক্ষ হাতে মোকাবিলা করতে হবে। কভিড-১৯ একটি প্রাণঘাতী ব্যাধি। একে দক্ষ হাতে মোকাবিলার ব্যর্থতা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ডুবিয়েছে পরাজয়ের অতলান্তে। বিষয়টিকে নিশ্চয়ই বাইডেন খাটো করে দেখবেন না। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তিনি সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন। তার হৃদয়ের ভান্ডার অভিজ্ঞতার মণিমুক্তায় পরিপূর্ণ। তিনি আপন জীবনের অতলান্তে পানকৌড়ির মতো ডুব দিয়ে অগণিত মণিমুক্তা কুড়িয়ে আনতে পারেন। বিশ্বশান্তির প্রশ্নে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় হিটলার হয়ে উঠছিলেন। সেখান থেকেও আমেরিকা অতি দ্রুত সরে আসবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ট্রাম্পের শাসনামলে আমেরিকার ঔদাসীন্যে এবং ক্ষেত্রবিশেষ প্রযত্নে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা ও রাজনীতিতে যে উগ্রতা ও অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলছিল, এখন থেকে তা শুধু স্তিমিত হবে না, নিঃশেষিত হয়ে যাবে- এটি বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা। বর্ণবাদ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয়। হিটলার-মুসোলিনি হয়েছেন; ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও হতে হলো।

বিশ্ব জো বাইডেনকে যদিও চেনে-জানে, তবু এখন পর্যন্ত প্রত্যাশার কথাই বলা যায়। তবে নিশ্চিত করে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। প্রতিক্রিয়াশীলরা পরাজিত হয় বটে কিন্তু অতি সহজে পরাজয় মন থেকে মেনে নেয় না। বরং নানা প্রকার কুটিল ষড়যন্ত্রে নিমগ্ন হয়। প্রসঙ্গত বলে রাখি, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আজও নিঃশেষিত হয়নি। মাকড়সার জাল বোনার মতো সরকারের ভিতরে ও বাইরে থেকে তাদের কাজটি তারা করেই চলেছে। বিভাজন নয়, ঐক্যই তাদের মারণাস্ত্র। এটা শেখ হাসিনাসহ সুশীলসমাজকে সচেতনভাবে মনে রাখতে হবে। আমি মনে করি, সব দেশেই বিশেষ করে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে রাজনীতিকে বিপর্যস্ত করা ও সমাজে অস্থিরতা বাড়ানোর জন্য ষড়যন্ত্র চলতেই থাকে। সরকার তো বটেই, অনেক সময় সুশীলসমাজও জেনে-বুঝে নিশ্চুপ থাকে। আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ভারত- গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের আবিরমাখা ভারত সাম্প্রদায়িকতার অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে চলেছে। মোদি, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথদের আসুরিক নৃত্যে গণতন্ত্রের পাদপীঠ ও ঐতিহ্যের প্রসূতিকাগার আজ কম্পমান। মোদি-অমিত-আদিত্যনাথের পদাঘাতে এ আসুরিক প্রভাব ভারতের রাজনীতিতে ক্ষণস্থায়ী। বিশ্ববাসী যা মনে করত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ে এ বিশ্বাসটি আরও সুদৃঢ় হলো। ভারতের রাজনীতিতে মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধীর মতো উদ্ভাসিত নেতৃত্বের প্রভাব আজ অনেকটাই ঘন-কালো মেঘে ঢাকা। তবু আশায় বুক বেঁধে কবিগুরুর ভাষায় বলতে হয়- ‘রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে’। ভারতবর্ষে গণতান্ত্রিক ধারায় একটি রাজনৈতিক জ্যোতিষ্কের আবির্ভাব অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতবর্ষের ভিত্তিই হলো গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতা। ক্ষমতার দুর্দমনীয় প্রলোভনে গণতন্ত্রকে আঘাত হেনে এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ রোপণ করে ক্ষমতায় আসা যায়। সময়ের ব্যবধানে অবস্থানও করা যায় কিন্তু সত্য ও সুন্দরকে চিরকালের জন্য নিশ্চিহ্ন করা যায় না। আমরা যারা গণতন্ত্র ও মানবতার অনুসারী, তারা নিজের দেশে তো বটেই, ভারতবর্ষেও গণতন্ত্রের মৃত্যু দেখতে চাই না। আজকে ভারতবর্ষে মোদি-অমিত শাহর দোর্দ- প্রতাপ চলছে। ট্রাম্পের পরিণতি এ প্রত্যাশার মশাল জ্বেলেছে যে, ভারতবর্ষেও গণতন্ত্রের মশাল জ্বলবে, মানবতার বিজয় আসবে এবং অসাম্প্রদায়িকতায় সূর্যস্নাত হবে।

দেশব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। সেই ’৬২ সালের আন্দোলনের সময় থেকেই রাজনৈতিক পথপরিক্রমণে আমার যাত্রা শুরু। পারিবারিক কারণে জন্মসূত্রেই আমি আওয়ামী লীগ ঘরানার লোক। রাজনীতিতে সরব বা নীরব- এটি বড় কথা নয়, বিশ্বাসটাই আসল। সে বিশ্বাসের আঙ্গিকেই আমার রাজনৈতিক অস্তিত্বের সমস্ত অবয়ব। গণতন্ত্রের মানসপুত্র কালজয়ী ব্যক্তিত্ব, এই উপমহাদেশে নীল রক্তের উত্তরাধিকার মরহুম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যে নিষ্কলুষ বিশেষণ-বিযুক্ত ও নির্ভেজাল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন, আমি তারই অনুসারী। আমার পিতাও একই রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। আমার সন্তানরাও একই আদর্শ লালন করে। সে বিশ্বাসের আঙ্গিকেই আমার রাজনৈতিক পথচলা। বিশ্বাসটা প্রত্যয়দৃঢ় বলেই নির্যাতন-নিগ্রহ ও প্রলোভন, প্রত্যাশা জীবনে কখনই আমাকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি- লালিত আদর্শ থেকে আমাকে বিচ্যুত করতে পারেনি। আমার জীবন, অস্তিত্ব আমার চেতনারই প্রতিফলন। তাই কখনো রংধনুর রং বদলের মতো আমি দলবদল করতে পারিনি। রাজনীতিতে বিশ্বাসটাই আমার অর্জন। স্বাধীনতাযুদ্ধের পটভূমিকা তৈরি ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম অর্জন। বঙ্গবন্ধু যা বলতে চাইতেন কিন্তু সাংবিধানিক রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে যা বলতে পারতেন না, তাই বেরিয়ে আসত ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমার কণ্ঠ থেকে। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার নেতাকে চার খলিফা বলা হতো। কারণ, তারাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অব্যক্ত কথার অভিব্যক্তি ও হৃদয়ের অনুরণনের প্রতিধ্বনি। তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে প্রবহমান কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, আমাদের আমলে ছাত্রলীগই ছিল তাঁর হৃদয়ের ধড়কানি।

গণতন্ত্র বেঁচে থাকলেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ও আদর্শ শাশ্বত ও চিরঞ্জীব থাকবে। তাঁর আজীবনের গণতন্ত্রের সাধনাকে হৃদয়ের মানসপটে প্রতিস্থাপিত করতে পারলেই তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার অর্ঘ্য প্রদান করা হবে। বাম ঘরানার কিছু লোক তাঁর মনের আকাশে কালো মেঘের প্রলেপ দিয়ে তাঁর দ্বারা বাকশাল করাতে পেরেছিল। কিন্তু আমি সারা জীবন মনে রাখব, বাকশাল করার পর মণি ভাইয়ের সঙ্গে যখন নেতাকে দেখতে গেলাম (নেতার পিতৃবিয়োগের খবর শুনে) তাঁর সেই বেদনাবিধুর মুহূর্তেও তিনি আমাকে বলেছিলেন, ভাবিস না আমি সারা জীবনের জন্য একদল (বাকশাল) করেছি। স্বাধীনতার পর আমি তিন বছর সময় চেয়েছিলাম। এখন আমার আরও কিছুটা সময় দরকার। আমি এ দেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করবই, ইনশা আল্লাহ। ভঙ্গুর অর্থনীতিতে বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভর করে স্বাধীনতার পাদপীঠ শক্ত থাকে না। স্বাধীন বাংলাদেশকে শক্ত অর্থনৈতিক পাদপীঠে দাঁড় করাতে চাই। তার জন্য যে নিরঙ্কুশ ও বাধাপ্রতিবাদহীন সময়ের প্রয়োজন, তার এক সেকেন্ড বেশিও আমি বাকশাল রাখব না। আমি সোহরাওয়ার্দীর অনুসারী। মাটি ও পানি ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না, গণতন্ত্র ছাড়া তেমনি স্বাধীনতাও টিকে না। তাই গণতন্ত্রবিবর্জিত পরিবেশে দেশের স্বাধীনতাকে অরক্ষিত রাখতে আমি চাইব না। বঙ্গবন্ধুর বক্ষে আমার মাথা, আমার দুই চোখ ভরা অশ্রু, কণ্ঠ নির্বাক।

সরবে সগৌরবে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত হচ্ছে। এই অবিস্মরণীয় কর্মকালে আমি বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন, যার আদর্শের প্রতীক ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাদের বিশ্বাসের একমাত্র আঙ্গিক ছিল গণতন্ত্র এবং দেশ শাসনের প্রশ্নে জনগণই শেষ কথা। এটি শেখ হাসিনা সযতেœ হৃদয়ের গভীরে লালন করলে তাঁদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীও সার্থকতা লাভ করবে। বিস্মৃত হলে চলবে না, গণতন্ত্র, অর্থাৎ- ’৭০-এর নির্বাচনের গণম্যান্ডেটই ছিল মুক্তিযুদ্ধের নিয়ামক শক্তি। এই জন্মশতবার্ষিকীর মহালগ্নে আমার নেতা মুজিব ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বুকনিঃসৃত প্রতিধ্বনি- জয়তু গণতন্ত্র, জয়তু বাংলার মানুষ।

                লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
মূল্যস্ফীতি ও কর্মহীনতা
মূল্যস্ফীতি ও কর্মহীনতা
ফল বিপর্যয়
ফল বিপর্যয়
কোথায় হারাল সেই কাচারিঘরগুলো
কোথায় হারাল সেই কাচারিঘরগুলো
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
প্রয়োজন প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার
প্রয়োজন প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
রাজপথে শিক্ষকরা
রাজপথে শিক্ষকরা
জাতীয় সনদ
জাতীয় সনদ
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
নতুন ট্যারিফ
নতুন ট্যারিফ
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
সর্বশেষ খবর
মালয়েশিয়ায় নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ
মালয়েশিয়ায় নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

রুশ গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারাল ১৪ বছর বয়সী সায়ান
রুশ গ্র্যান্ডমাস্টারকে হারাল ১৪ বছর বয়সী সায়ান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তান হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, ত্রিদেশীয় সিরিজ বর্জন আফগানিস্তানের
পাকিস্তান হামলায় ৩ ক্রিকেটার নিহত, ত্রিদেশীয় সিরিজ বর্জন আফগানিস্তানের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধবিরতি ভেঙে আফগানিস্তানে বিমান হামলা পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি ভেঙে আফগানিস্তানে বিমান হামলা পাকিস্তানের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুলিস্তানে চালককে কুপিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই
গুলিস্তানে চালককে কুপিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাইনিজ তাইপের কাছে বড় হারে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
চাইনিজ তাইপের কাছে বড় হারে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লালনের গানের মানবতার বাণী আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক : ফরিদা আখতার
লালনের গানের মানবতার বাণী আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক : ফরিদা আখতার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জাতীয়ভাবে লালন উৎসব পালন অব্যাহত থাকবে : ফারুকী
জাতীয়ভাবে লালন উৎসব পালন অব্যাহত থাকবে : ফারুকী

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সূর্য হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলে কী পরিণতি হবে পৃথিবীর!
সূর্য হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলে কী পরিণতি হবে পৃথিবীর!

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

এফএও মহাপরিচালকের সঙ্গে কৃষি উপদেষ্টার বৈঠক
এফএও মহাপরিচালকের সঙ্গে কৃষি উপদেষ্টার বৈঠক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলা একাডেমিতে ৮ম বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে উদযাপিত
বাংলা একাডেমিতে ৮ম বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে উদযাপিত

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল
রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ক্রিকেটে আসছে নতুন ফরম্যাট 'টেস্ট টোয়েন্টি'
ক্রিকেটে আসছে নতুন ফরম্যাট 'টেস্ট টোয়েন্টি'

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিরক্ত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ করেছে এলিয়েনরা, বিজ্ঞানীদের নতুন ধারণা
বিরক্ত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ করেছে এলিয়েনরা, বিজ্ঞানীদের নতুন ধারণা

৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী ড্যারেন সামি
টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী ড্যারেন সামি

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডেমরায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ নবীউল্লাহ নবীর
ডেমরায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ নবীউল্লাহ নবীর

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সালাহউদ্দিনের মাথায় ছাতা ধরে প্রশংসিত মির্জা ফখরুল
সালাহউদ্দিনের মাথায় ছাতা ধরে প্রশংসিত মির্জা ফখরুল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ধানমন্ডি আইডিয়ালে জিপিএ-৫ কমেছে, পাসের হারও নিম্নগামী
ধানমন্ডি আইডিয়ালে জিপিএ-৫ কমেছে, পাসের হারও নিম্নগামী

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুবিন গার্গের মৃত্যু: সিঙ্গাপুর পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি
জুবিন গার্গের মৃত্যু: সিঙ্গাপুর পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে অভিনব জালিয়াতি
মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে অভিনব জালিয়াতি

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ৭টি প্রাকৃতিক টনিক
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ৭টি প্রাকৃতিক টনিক

৯ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্রিতে অটোগ্রাফ দেয়া বন্ধ করছেন ইয়ামাল!
ফ্রিতে অটোগ্রাফ দেয়া বন্ধ করছেন ইয়ামাল!

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা সিটিতে ইয়োসো বাংলাদেশের ষষ্ঠ আউটলেটের বর্ণিল উদ্বোধন
বসুন্ধরা সিটিতে ইয়োসো বাংলাদেশের ষষ্ঠ আউটলেটের বর্ণিল উদ্বোধন

৯ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল : ডা. জাহিদ
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল : ডা. জাহিদ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষক-শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে
বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষক-শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মালিবাগে সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪
মালিবাগে সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কী বলা হয়েছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়
কী বলা হয়েছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংশোধন করা হলো জুলাই সনদ অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা
সংশোধন করা হলো জুলাই সনদ অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাকুসতে ছাত্রদলের প্যানেলে থেকে একমাত্র বিজয়ী ফুটবলার নার্গিস
রাকুসতে ছাত্রদলের প্যানেলে থেকে একমাত্র বিজয়ী ফুটবলার নার্গিস

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে চার তরুণ-তরুণী আটক
সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে চার তরুণ-তরুণী আটক

১৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার
ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুলাই সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব সালাহউদ্দিন আহমদের
জুলাই সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব সালাহউদ্দিন আহমদের

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএস অফিসারের ঘরে ‘টাকার পাহাড়’
আইপিএস অফিসারের ঘরে ‘টাকার পাহাড়’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪
কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকসু নির্বাচনে কোন পদে কারা জয়ী
রাকসু নির্বাচনে কোন পদে কারা জয়ী

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালাতে সিআইএ’কে অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালাতে সিআইএ’কে অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বাক্ষরিত হলো ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ’
স্বাক্ষরিত হলো ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘জুলাই যোদ্ধা’দের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
‘জুলাই যোদ্ধা’দের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বসে সনদ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বসে সনদ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৫ দল
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৫ দল

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল
রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্ত, আরোহী সকলেই নিহত
জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্ত, আরোহী সকলেই নিহত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যায় ঢাকার তীব্র নিন্দা
ভারতে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যায় ঢাকার তীব্র নিন্দা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালাহউদ্দিনের মাথায় ছাতা ধরে প্রশংসিত মির্জা ফখরুল
সালাহউদ্দিনের মাথায় ছাতা ধরে প্রশংসিত মির্জা ফখরুল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাকসুতে বিজয়ী হলেন জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো দ্বীপ মাহবুব
রাকসুতে বিজয়ী হলেন জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো দ্বীপ মাহবুব

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ
প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সবজির দাম আকাশছোঁয়া
সবজির দাম আকাশছোঁয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শনিবার যে কয়েকটি এলাকায় থাকছে না বিদ্যুৎ
শনিবার যে কয়েকটি এলাকায় থাকছে না বিদ্যুৎ

১৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ট্রফি উন্মোচন
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ট্রফি উন্মোচন

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নেইমারের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা স্থগিত সান্তোসের
নেইমারের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা স্থগিত সান্তোসের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
কালো মাটির উইকেট দেখে বিস্মিত স্যামি
কালো মাটির উইকেট দেখে বিস্মিত স্যামি

মাঠে ময়দানে

আড়াল থেকে কাঞ্চনকে দেখেছিলেন চম্পা
আড়াল থেকে কাঞ্চনকে দেখেছিলেন চম্পা

শোবিজ

পাসপোর্টেও লেখা আছে আমি ম্যারিড : মাহি
পাসপোর্টেও লেখা আছে আমি ম্যারিড : মাহি

শোবিজ

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ চারজন

নগর জীবন

জন্মের খাটটি সংরক্ষণে রেখেছেন জয়া
জন্মের খাটটি সংরক্ষণে রেখেছেন জয়া

শোবিজ

ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর
ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর

প্রথম পৃষ্ঠা

অপেক্ষা শুধু প্রথম উড্ডয়নের
অপেক্ষা শুধু প্রথম উড্ডয়নের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমের দেবী মধুবালা
প্রেমের দেবী মধুবালা

শোবিজ

লক্ষ্যহীন পথে অর্থনীতি
লক্ষ্যহীন পথে অর্থনীতি

পেছনের পৃষ্ঠা

মিরাজদের ঘুরে দাঁড়ানোর সিরিজ
মিরাজদের ঘুরে দাঁড়ানোর সিরিজ

মাঠে ময়দানে

নায়িকার চোখের আয়নায় দাড়ি কাটছে নায়ক
নায়িকার চোখের আয়নায় দাড়ি কাটছে নায়ক

শোবিজ

শেজাদের নেতৃত্বে বসুন্ধরার জয়
শেজাদের নেতৃত্বে বসুন্ধরার জয়

মাঠে ময়দানে

আয়ের শীর্ষে রোনালদো
আয়ের শীর্ষে রোনালদো

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা কিংস অ্যাকাডেমি টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
বসুন্ধরা কিংস অ্যাকাডেমি টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

মাঠে ময়দানে

নারী ফুটবলারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প
নারী ফুটবলারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প

মাঠে ময়দানে

ফিফায় এক ধাপ উন্নতি হামজাদের
ফিফায় এক ধাপ উন্নতি হামজাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হচ্ছে
জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

আবাসিক হোটেল থেকে আটক চার
আবাসিক হোটেল থেকে আটক চার

নগর জীবন

চট্টগ্রামে সিএইচসিপিদের মানববন্ধন
চট্টগ্রামে সিএইচসিপিদের মানববন্ধন

খবর

নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে চায় একটি মহল
নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে চায় একটি মহল

নগর জীবন

পরিত্যক্ত দোকানে যুবকের লাশ
পরিত্যক্ত দোকানে যুবকের লাশ

নগর জীবন

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই

নগর জীবন

ঢাকা মেট্রো বাদ পড়ায় হতাশ ক্রিকেটাররা
ঢাকা মেট্রো বাদ পড়ায় হতাশ ক্রিকেটাররা

মাঠে ময়দানে

জিম্মি ওমরি মিরানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর
জিম্মি ওমরি মিরানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর

পূর্ব-পশ্চিম

মৌমাছির অদ্ভুত নাচ
মৌমাছির অদ্ভুত নাচ

পরিবেশ ও জীবন

আবাসিক কক্ষে লাশ এনজিওকর্মীর
আবাসিক কক্ষে লাশ এনজিওকর্মীর

দেশগ্রাম

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জুলাই যোদ্ধারা
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জুলাই যোদ্ধারা

খবর

উন্নয়নের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
উন্নয়নের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

নগর জীবন

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম