শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০

জয়তু গণতন্ত্র, জয়তু মানবতা

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
জয়তু গণতন্ত্র, জয়তু মানবতা

আমার কয়েকটি নিবন্ধে আমি উল্লেখ করেছিলাম, সংকীর্ণতা, সংঘাত ও সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্র ও মানবতার কাছে পরাভূত হবেই। আমেরিকার নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় তারই সত্যতার একটি নিদর্শন। আমেরিকার নির্বাচনটি শুধু আমার কাছেই নয়, বিশ্বের কন্দরে কন্দরে অগণিত রাজনীতি-সচেতন মানুষের অন্তরে সমুদ্রের উচ্ছ্বসিত ঊর্মিমালার মতো উৎকণ্ঠা এবং উচ্ছ্বাস দুটোই সমান্তরালভাবে উত্থিত হয়েছিল। জো বাইডেনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নির্বাচনী লড়াইটি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল এ কারণে যে, বর্ণবাদ, সংকীর্ণতা, অহমিকা ও আত্মম্ভরিতার বিরুদ্ধে এককথায় এটি সহিষ্ণুতা ও মানবতার লড়াই ছিল। ক্ষমতায় আসা থেকে চারটি বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প শকুনের মতো বিশ্বমানবতাকে কুরে কুরে খেয়েছেন। পৃথিবীর সর্বত্রই থরে থরে কম্পমান ছিল, ক্ষমতার দাম্ভিকতায় উন্মত্ত ট্রাম্প নাৎসি হিটলারের মতোই আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের দিকে না পৃথিবীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফেলেন। তার প্রচন্ড দাম্ভিকতা এবং বর্ণবাদের নির্লজ্জ প্রকাশ শুধু আমেরিকায় বসবাসরত মানবতার পূজারি মানুষগুলোকেই আতঙ্কিত করেনি, বরং সমগ্র বিশ্বকে আশঙ্কার অন্ধকার অমানিশার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছিল যে, মানবতাবাদী কম্পমান হৃদয়ে অশান্ত সমুদ্রের বুকে জেগে ওঠা দীপের মতো প্রশ্ন জেগে উঠেছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলবেন? অভিবাসীদের জীবনকে তিনি শঙ্কিত, আতঙ্কিত ও দুর্বিষহ করে তো তুলেছিলেনই, উপরন্তু তাদের হৃদয়ের সৈকতে যে প্রশ্নটি বারবার আছড়ে পড়ছিল, আমেরিকার নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও আদৌ সেখানে তারা বসবাস করতে পারবেন কিনা। অভিবাসীদের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও ব্যাপ্তিতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফন্দিফিকির তার মস্তিষ্কে নিয়মিত চরকির মতো ঘুরত। এ ব্যাপারে আইন প্রণয়নেও তার উদ্যোগ সুস্পষ্ট ছিল। এমনকি মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের মতো তার অবাস্তব পরিকল্পনাও মানবতায় বিশ্বাসী সব প্রাণকেই বিভীষিকার আতঙ্কে জর্জরিত করে তুলেছিল।

তিনি স্বার্থের দাসত্ব করতেন, দানবের মতো প্রভুত্ব করতে চাইতেন, মানবতাকে পদদলনে বিধ্বস্ত করতে চাইতেন। তার উগ্র বর্ণবাদের দীপ্তিহীন আগুনের দহনে তিলে তিলে দগ্ধীভূত হচ্ছিল আমেরিকার মানবতা। মহাভারতে একটা প্রবাদ আছে, ‘তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে’। যে বর্ণবাদ মানবতার বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্ত্র ছিল, গণতন্ত্রের বিশাল বিস্তীর্ণ ও গণতন্ত্রের ঐতিহ্যের আবিরমন্ডিত দেশ আমেরিকায় তিনি শুধু অন্তরের নিভৃত কন্দরে লালনই করেননি, বরং ক্ষেত্রবিশেষ তার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তার নির্লিপ্ততার মধ্য দিয়ে তার হৃদয়ের নিবিড় অরণ্যে অবস্থানরত পশুত্বকেও প্রদর্শন করে ফেলেছেন। তার ব্যক্তিত্ব ছিল সবুজ পাতার ওপর দৃশ্যত টলটলায়মান একবিন্দু পানির মতো। তিনি চোখ ওল্টাতে সময় নিতেন না।

মজার বিষয় হলো, এতসব সত্ত্বেও আমেরিকার অতি অভিজাত ঐশ্বর্যবান ও রক্ষণশীল এক ধরনের আদি আমেরিকান নাগরিকের অকুণ্ঠ সমর্থন ডোনাল্ড ট্রাম্প ধরে রাখতে পেরেছিলেন। এ ক্ষুদ্র গোষ্ঠীটি ধনাঢ্য ও বিত্তবান হওয়া সত্ত্বেও মনের দিক থেকে আধুনিক আমেরিকাকে ধারণ করতে পারেন না। তারা কৃষ্ণাঙ্গদের ভৃত্য ছাড়া আর কিছুই ভাবতে শেখেননি। এ অতিমাত্রিক সংকীর্ণ ও রক্ষণশীল মহলটির মস্তিষ্কে ঘুরপাক খায় বারাক ওবামা কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতিনিধি। ভৃত্যদের নেতৃত্বদানকারী এই ব্যক্তিটির দ্বারা তারা আট বছর শাসিত হয়েছেন। এ ক্ষোভেই তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্লজ্জ সমর্থন দিতেন, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থেরও জোগান দিতেন। কিন্তু সত্যি বলতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের অনেকেই তার হৃদয়ের সংকীর্ণতা ও মলিনতাকে প্রচন্ড ভাবেই অপছন্দ করতেন। আমেরিকার এবারের নির্বাচন খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল, জো বাইডেনের মানবতাবাদী নিরন্তর ঐক্য কামনার সুষ্ঠু ও সাবলীল চিন্তার কাছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংকীর্ণতার নির্মমভাবে বধ হয়েছে। আমেরিকার ইতিহাসে নির্বাচনে অভূতপূর্ব ও আশ্চর্যজনকভাবে ভোটারের সর্বোচ্চ উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে কতখানি আতঙ্কিত এবং এ বিজয় রুখবার জন্য কতখানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডাকযোগে অগ্রিম ভোট প্রদান করেছেন ১০ কোটির বেশি নাগরিক। করোনাভাইরাসকে পরোয়া না করে বাইডেনের বিজয়ে শুধু ওয়াশিংটন বা নিউইয়র্কেই নয়, আমেরিকার প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ শহরে করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করে যে আবেগ ও উচ্ছ্বাস প্রদর্শিত হয়েছে, তা আগে কখনো হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধু গণতন্ত্র ও মানবতার বিবেকবিবর্জিতই ছিলেন না, ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য তার উদগ্র ও উচ্ছৃঙ্খল বাসনা আমেরিকার পূর্বাপর সব ঐতিহ্যকে পদাঘাত করে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছেন। আমেরিকার ইতিহাসে এটি এক আশ্চর্যজনক আসুরিক কান্ড ।

শুধু ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থকই নয়, আমেরিকার সামাজিক নেতৃত্ব, এমনকি ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকানদেরও একটি অংশ নির্বাচনোত্তর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উ™£ান্ত বালখিল্যতা ও একগুঁয়েমি প্রদর্শন থেকে নিবৃত্ত থাকার জন্য সুস্পষ্ট আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু ‘চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি’। নির্বাচনে সুস্পষ্ট পরাজয়ের পর তিনি যে খামখেয়ালি, বালখিল্যতা ও একগুঁয়েমি প্রদর্শন করলেন, তা তার লুকিয়ে রাখা বিষদাঁতটিকেও দেখিয়ে ফেলল। আমেরিকায় কোন প্রার্থী বিজয় নিশ্চিতের পথে এগিয়ে গেলে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিজয় পথযাত্রীকে অগ্রিম অভিনন্দন জানিয়ে ফেলেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় পূর্ণ সহায়তা ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। আমেরিকার ঐতিহ্য অনুসরণ করেই জো বাইডেন নির্বাচনোত্তর তার প্রথম বিজয়ী ভাষণটিতে বললেন- I am no more a president nominated by democratic party. I am the president of America. এ উক্তিটি তাকে শুধু গৌরবান্বিতই করেনি, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আমেরিকার পরিশীলিত ও পরিমার্জিত মানসিকতাকে উচ্চে তুলে ধরেছে। আমেরিকার রাজনৈতিক ঐতিহ্য যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে চলেছিল, তা থেকে আমেরিকাকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি হিসেবে সজ্ঞানে ও সচেতনভাবেই তিনি এ উক্তিটি করেছেন।

জো বাইডেন একজন পোড় খাওয়া অভিজ্ঞ রাজনীতিক। ব্যক্তিজীবনে দুঃখ ও বেদনার ঝড় তাকে বুক পেতে সইতে হয়েছে। মোটর দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী ও কন্যার মর্মান্তিক মৃত্যুর যন্ত্রণা তিনি বুক পেতে সয়েছেন। ১৯৮৮ সালে মস্তিষ্কের কঠিন অসুখে পড়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে কাটিয়ে সুস্থ হয়ে আবারও রাজনীতিতে ফিরেছেন। ২০১৫ সালে হারিয়েছেন বড় ছেলে বো বাইডেনকে। ব্যক্তিজীবনে দুঃখ সহ্য করার এ শক্তি আমেরিকানদের কাছে তার ভাবমূর্তিকে প্রকট করেছে এবং এও তার বিশাল প্রাইমারি ভোট প্রাপ্তির অন্যতম কারণ। জো বাইডেনের এ বিজয় ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনদের জন্যও শিক্ষণীয় কিছু কি রেখে যায়নি?

এখন জো বাইডেনের সামনে প্রকট সমস্যা হলো, সারা বিশ্বে বিশেষ করে আমেরিকায় করোনাভাইরাসের মর্মান্তিক প্রভাব। যদিও ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বের হওয়ার পথে, তবু নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বিষয়টিকে সূক্ষ্মভাবে দক্ষ হাতে মোকাবিলা করতে হবে। কভিড-১৯ একটি প্রাণঘাতী ব্যাধি। একে দক্ষ হাতে মোকাবিলার ব্যর্থতা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ডুবিয়েছে পরাজয়ের অতলান্তে। বিষয়টিকে নিশ্চয়ই বাইডেন খাটো করে দেখবেন না। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তিনি সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন। তার হৃদয়ের ভান্ডার অভিজ্ঞতার মণিমুক্তায় পরিপূর্ণ। তিনি আপন জীবনের অতলান্তে পানকৌড়ির মতো ডুব দিয়ে অগণিত মণিমুক্তা কুড়িয়ে আনতে পারেন। বিশ্বশান্তির প্রশ্নে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় হিটলার হয়ে উঠছিলেন। সেখান থেকেও আমেরিকা অতি দ্রুত সরে আসবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ট্রাম্পের শাসনামলে আমেরিকার ঔদাসীন্যে এবং ক্ষেত্রবিশেষ প্রযত্নে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা ও রাজনীতিতে যে উগ্রতা ও অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলছিল, এখন থেকে তা শুধু স্তিমিত হবে না, নিঃশেষিত হয়ে যাবে- এটি বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা। বর্ণবাদ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয়। হিটলার-মুসোলিনি হয়েছেন; ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও হতে হলো।

বিশ্ব জো বাইডেনকে যদিও চেনে-জানে, তবু এখন পর্যন্ত প্রত্যাশার কথাই বলা যায়। তবে নিশ্চিত করে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। প্রতিক্রিয়াশীলরা পরাজিত হয় বটে কিন্তু অতি সহজে পরাজয় মন থেকে মেনে নেয় না। বরং নানা প্রকার কুটিল ষড়যন্ত্রে নিমগ্ন হয়। প্রসঙ্গত বলে রাখি, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আজও নিঃশেষিত হয়নি। মাকড়সার জাল বোনার মতো সরকারের ভিতরে ও বাইরে থেকে তাদের কাজটি তারা করেই চলেছে। বিভাজন নয়, ঐক্যই তাদের মারণাস্ত্র। এটা শেখ হাসিনাসহ সুশীলসমাজকে সচেতনভাবে মনে রাখতে হবে। আমি মনে করি, সব দেশেই বিশেষ করে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে রাজনীতিকে বিপর্যস্ত করা ও সমাজে অস্থিরতা বাড়ানোর জন্য ষড়যন্ত্র চলতেই থাকে। সরকার তো বটেই, অনেক সময় সুশীলসমাজও জেনে-বুঝে নিশ্চুপ থাকে। আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ভারত- গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের আবিরমাখা ভারত সাম্প্রদায়িকতার অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে চলেছে। মোদি, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথদের আসুরিক নৃত্যে গণতন্ত্রের পাদপীঠ ও ঐতিহ্যের প্রসূতিকাগার আজ কম্পমান। মোদি-অমিত-আদিত্যনাথের পদাঘাতে এ আসুরিক প্রভাব ভারতের রাজনীতিতে ক্ষণস্থায়ী। বিশ্ববাসী যা মনে করত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ে এ বিশ্বাসটি আরও সুদৃঢ় হলো। ভারতের রাজনীতিতে মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধীর মতো উদ্ভাসিত নেতৃত্বের প্রভাব আজ অনেকটাই ঘন-কালো মেঘে ঢাকা। তবু আশায় বুক বেঁধে কবিগুরুর ভাষায় বলতে হয়- ‘রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে’। ভারতবর্ষে গণতান্ত্রিক ধারায় একটি রাজনৈতিক জ্যোতিষ্কের আবির্ভাব অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতবর্ষের ভিত্তিই হলো গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতা। ক্ষমতার দুর্দমনীয় প্রলোভনে গণতন্ত্রকে আঘাত হেনে এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ রোপণ করে ক্ষমতায় আসা যায়। সময়ের ব্যবধানে অবস্থানও করা যায় কিন্তু সত্য ও সুন্দরকে চিরকালের জন্য নিশ্চিহ্ন করা যায় না। আমরা যারা গণতন্ত্র ও মানবতার অনুসারী, তারা নিজের দেশে তো বটেই, ভারতবর্ষেও গণতন্ত্রের মৃত্যু দেখতে চাই না। আজকে ভারতবর্ষে মোদি-অমিত শাহর দোর্দ- প্রতাপ চলছে। ট্রাম্পের পরিণতি এ প্রত্যাশার মশাল জ্বেলেছে যে, ভারতবর্ষেও গণতন্ত্রের মশাল জ্বলবে, মানবতার বিজয় আসবে এবং অসাম্প্রদায়িকতায় সূর্যস্নাত হবে।

দেশব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। সেই ’৬২ সালের আন্দোলনের সময় থেকেই রাজনৈতিক পথপরিক্রমণে আমার যাত্রা শুরু। পারিবারিক কারণে জন্মসূত্রেই আমি আওয়ামী লীগ ঘরানার লোক। রাজনীতিতে সরব বা নীরব- এটি বড় কথা নয়, বিশ্বাসটাই আসল। সে বিশ্বাসের আঙ্গিকেই আমার রাজনৈতিক অস্তিত্বের সমস্ত অবয়ব। গণতন্ত্রের মানসপুত্র কালজয়ী ব্যক্তিত্ব, এই উপমহাদেশে নীল রক্তের উত্তরাধিকার মরহুম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যে নিষ্কলুষ বিশেষণ-বিযুক্ত ও নির্ভেজাল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন, আমি তারই অনুসারী। আমার পিতাও একই রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। আমার সন্তানরাও একই আদর্শ লালন করে। সে বিশ্বাসের আঙ্গিকেই আমার রাজনৈতিক পথচলা। বিশ্বাসটা প্রত্যয়দৃঢ় বলেই নির্যাতন-নিগ্রহ ও প্রলোভন, প্রত্যাশা জীবনে কখনই আমাকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি- লালিত আদর্শ থেকে আমাকে বিচ্যুত করতে পারেনি। আমার জীবন, অস্তিত্ব আমার চেতনারই প্রতিফলন। তাই কখনো রংধনুর রং বদলের মতো আমি দলবদল করতে পারিনি। রাজনীতিতে বিশ্বাসটাই আমার অর্জন। স্বাধীনতাযুদ্ধের পটভূমিকা তৈরি ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম অর্জন। বঙ্গবন্ধু যা বলতে চাইতেন কিন্তু সাংবিধানিক রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে যা বলতে পারতেন না, তাই বেরিয়ে আসত ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমার কণ্ঠ থেকে। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার নেতাকে চার খলিফা বলা হতো। কারণ, তারাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অব্যক্ত কথার অভিব্যক্তি ও হৃদয়ের অনুরণনের প্রতিধ্বনি। তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে প্রবহমান কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, আমাদের আমলে ছাত্রলীগই ছিল তাঁর হৃদয়ের ধড়কানি।

গণতন্ত্র বেঁচে থাকলেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ও আদর্শ শাশ্বত ও চিরঞ্জীব থাকবে। তাঁর আজীবনের গণতন্ত্রের সাধনাকে হৃদয়ের মানসপটে প্রতিস্থাপিত করতে পারলেই তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার অর্ঘ্য প্রদান করা হবে। বাম ঘরানার কিছু লোক তাঁর মনের আকাশে কালো মেঘের প্রলেপ দিয়ে তাঁর দ্বারা বাকশাল করাতে পেরেছিল। কিন্তু আমি সারা জীবন মনে রাখব, বাকশাল করার পর মণি ভাইয়ের সঙ্গে যখন নেতাকে দেখতে গেলাম (নেতার পিতৃবিয়োগের খবর শুনে) তাঁর সেই বেদনাবিধুর মুহূর্তেও তিনি আমাকে বলেছিলেন, ভাবিস না আমি সারা জীবনের জন্য একদল (বাকশাল) করেছি। স্বাধীনতার পর আমি তিন বছর সময় চেয়েছিলাম। এখন আমার আরও কিছুটা সময় দরকার। আমি এ দেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করবই, ইনশা আল্লাহ। ভঙ্গুর অর্থনীতিতে বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভর করে স্বাধীনতার পাদপীঠ শক্ত থাকে না। স্বাধীন বাংলাদেশকে শক্ত অর্থনৈতিক পাদপীঠে দাঁড় করাতে চাই। তার জন্য যে নিরঙ্কুশ ও বাধাপ্রতিবাদহীন সময়ের প্রয়োজন, তার এক সেকেন্ড বেশিও আমি বাকশাল রাখব না। আমি সোহরাওয়ার্দীর অনুসারী। মাটি ও পানি ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না, গণতন্ত্র ছাড়া তেমনি স্বাধীনতাও টিকে না। তাই গণতন্ত্রবিবর্জিত পরিবেশে দেশের স্বাধীনতাকে অরক্ষিত রাখতে আমি চাইব না। বঙ্গবন্ধুর বক্ষে আমার মাথা, আমার দুই চোখ ভরা অশ্রু, কণ্ঠ নির্বাক।

সরবে সগৌরবে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত হচ্ছে। এই অবিস্মরণীয় কর্মকালে আমি বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন, যার আদর্শের প্রতীক ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাদের বিশ্বাসের একমাত্র আঙ্গিক ছিল গণতন্ত্র এবং দেশ শাসনের প্রশ্নে জনগণই শেষ কথা। এটি শেখ হাসিনা সযতেœ হৃদয়ের গভীরে লালন করলে তাঁদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীও সার্থকতা লাভ করবে। বিস্মৃত হলে চলবে না, গণতন্ত্র, অর্থাৎ- ’৭০-এর নির্বাচনের গণম্যান্ডেটই ছিল মুক্তিযুদ্ধের নিয়ামক শক্তি। এই জন্মশতবার্ষিকীর মহালগ্নে আমার নেতা মুজিব ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বুকনিঃসৃত প্রতিধ্বনি- জয়তু গণতন্ত্র, জয়তু বাংলার মানুষ।

                লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

১৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হেডের বিধ্বংসী ইনিংসে বড় ক্ষতি অস্ট্রেলিয়ার
হেডের বিধ্বংসী ইনিংসে বড় ক্ষতি অস্ট্রেলিয়ার

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম

শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প
শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প

পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা
বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা

মাঠে ময়দানে

টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি
টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি

পূর্ব-পশ্চিম

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে