শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০

জয়তু গণতন্ত্র, জয়তু মানবতা

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
জয়তু গণতন্ত্র, জয়তু মানবতা

আমার কয়েকটি নিবন্ধে আমি উল্লেখ করেছিলাম, সংকীর্ণতা, সংঘাত ও সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্র ও মানবতার কাছে পরাভূত হবেই। আমেরিকার নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় তারই সত্যতার একটি নিদর্শন। আমেরিকার নির্বাচনটি শুধু আমার কাছেই নয়, বিশ্বের কন্দরে কন্দরে অগণিত রাজনীতি-সচেতন মানুষের অন্তরে সমুদ্রের উচ্ছ্বসিত ঊর্মিমালার মতো উৎকণ্ঠা এবং উচ্ছ্বাস দুটোই সমান্তরালভাবে উত্থিত হয়েছিল। জো বাইডেনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নির্বাচনী লড়াইটি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল এ কারণে যে, বর্ণবাদ, সংকীর্ণতা, অহমিকা ও আত্মম্ভরিতার বিরুদ্ধে এককথায় এটি সহিষ্ণুতা ও মানবতার লড়াই ছিল। ক্ষমতায় আসা থেকে চারটি বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প শকুনের মতো বিশ্বমানবতাকে কুরে কুরে খেয়েছেন। পৃথিবীর সর্বত্রই থরে থরে কম্পমান ছিল, ক্ষমতার দাম্ভিকতায় উন্মত্ত ট্রাম্প নাৎসি হিটলারের মতোই আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের দিকে না পৃথিবীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে ফেলেন। তার প্রচন্ড দাম্ভিকতা এবং বর্ণবাদের নির্লজ্জ প্রকাশ শুধু আমেরিকায় বসবাসরত মানবতার পূজারি মানুষগুলোকেই আতঙ্কিত করেনি, বরং সমগ্র বিশ্বকে আশঙ্কার অন্ধকার অমানিশার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছিল যে, মানবতাবাদী কম্পমান হৃদয়ে অশান্ত সমুদ্রের বুকে জেগে ওঠা দীপের মতো প্রশ্ন জেগে উঠেছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলবেন? অভিবাসীদের জীবনকে তিনি শঙ্কিত, আতঙ্কিত ও দুর্বিষহ করে তো তুলেছিলেনই, উপরন্তু তাদের হৃদয়ের সৈকতে যে প্রশ্নটি বারবার আছড়ে পড়ছিল, আমেরিকার নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও আদৌ সেখানে তারা বসবাস করতে পারবেন কিনা। অভিবাসীদের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও ব্যাপ্তিতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফন্দিফিকির তার মস্তিষ্কে নিয়মিত চরকির মতো ঘুরত। এ ব্যাপারে আইন প্রণয়নেও তার উদ্যোগ সুস্পষ্ট ছিল। এমনকি মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের মতো তার অবাস্তব পরিকল্পনাও মানবতায় বিশ্বাসী সব প্রাণকেই বিভীষিকার আতঙ্কে জর্জরিত করে তুলেছিল।

তিনি স্বার্থের দাসত্ব করতেন, দানবের মতো প্রভুত্ব করতে চাইতেন, মানবতাকে পদদলনে বিধ্বস্ত করতে চাইতেন। তার উগ্র বর্ণবাদের দীপ্তিহীন আগুনের দহনে তিলে তিলে দগ্ধীভূত হচ্ছিল আমেরিকার মানবতা। মহাভারতে একটা প্রবাদ আছে, ‘তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে’। যে বর্ণবাদ মানবতার বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্ত্র ছিল, গণতন্ত্রের বিশাল বিস্তীর্ণ ও গণতন্ত্রের ঐতিহ্যের আবিরমন্ডিত দেশ আমেরিকায় তিনি শুধু অন্তরের নিভৃত কন্দরে লালনই করেননি, বরং ক্ষেত্রবিশেষ তার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তার নির্লিপ্ততার মধ্য দিয়ে তার হৃদয়ের নিবিড় অরণ্যে অবস্থানরত পশুত্বকেও প্রদর্শন করে ফেলেছেন। তার ব্যক্তিত্ব ছিল সবুজ পাতার ওপর দৃশ্যত টলটলায়মান একবিন্দু পানির মতো। তিনি চোখ ওল্টাতে সময় নিতেন না।

মজার বিষয় হলো, এতসব সত্ত্বেও আমেরিকার অতি অভিজাত ঐশ্বর্যবান ও রক্ষণশীল এক ধরনের আদি আমেরিকান নাগরিকের অকুণ্ঠ সমর্থন ডোনাল্ড ট্রাম্প ধরে রাখতে পেরেছিলেন। এ ক্ষুদ্র গোষ্ঠীটি ধনাঢ্য ও বিত্তবান হওয়া সত্ত্বেও মনের দিক থেকে আধুনিক আমেরিকাকে ধারণ করতে পারেন না। তারা কৃষ্ণাঙ্গদের ভৃত্য ছাড়া আর কিছুই ভাবতে শেখেননি। এ অতিমাত্রিক সংকীর্ণ ও রক্ষণশীল মহলটির মস্তিষ্কে ঘুরপাক খায় বারাক ওবামা কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতিনিধি। ভৃত্যদের নেতৃত্বদানকারী এই ব্যক্তিটির দ্বারা তারা আট বছর শাসিত হয়েছেন। এ ক্ষোভেই তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্লজ্জ সমর্থন দিতেন, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থেরও জোগান দিতেন। কিন্তু সত্যি বলতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের অনেকেই তার হৃদয়ের সংকীর্ণতা ও মলিনতাকে প্রচন্ড ভাবেই অপছন্দ করতেন। আমেরিকার এবারের নির্বাচন খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল, জো বাইডেনের মানবতাবাদী নিরন্তর ঐক্য কামনার সুষ্ঠু ও সাবলীল চিন্তার কাছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংকীর্ণতার নির্মমভাবে বধ হয়েছে। আমেরিকার ইতিহাসে নির্বাচনে অভূতপূর্ব ও আশ্চর্যজনকভাবে ভোটারের সর্বোচ্চ উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে কতখানি আতঙ্কিত এবং এ বিজয় রুখবার জন্য কতখানি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডাকযোগে অগ্রিম ভোট প্রদান করেছেন ১০ কোটির বেশি নাগরিক। করোনাভাইরাসকে পরোয়া না করে বাইডেনের বিজয়ে শুধু ওয়াশিংটন বা নিউইয়র্কেই নয়, আমেরিকার প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ শহরে করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করে যে আবেগ ও উচ্ছ্বাস প্রদর্শিত হয়েছে, তা আগে কখনো হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধু গণতন্ত্র ও মানবতার বিবেকবিবর্জিতই ছিলেন না, ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য তার উদগ্র ও উচ্ছৃঙ্খল বাসনা আমেরিকার পূর্বাপর সব ঐতিহ্যকে পদাঘাত করে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছেন। আমেরিকার ইতিহাসে এটি এক আশ্চর্যজনক আসুরিক কান্ড ।

শুধু ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থকই নয়, আমেরিকার সামাজিক নেতৃত্ব, এমনকি ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকানদেরও একটি অংশ নির্বাচনোত্তর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উ™£ান্ত বালখিল্যতা ও একগুঁয়েমি প্রদর্শন থেকে নিবৃত্ত থাকার জন্য সুস্পষ্ট আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু ‘চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি’। নির্বাচনে সুস্পষ্ট পরাজয়ের পর তিনি যে খামখেয়ালি, বালখিল্যতা ও একগুঁয়েমি প্রদর্শন করলেন, তা তার লুকিয়ে রাখা বিষদাঁতটিকেও দেখিয়ে ফেলল। আমেরিকায় কোন প্রার্থী বিজয় নিশ্চিতের পথে এগিয়ে গেলে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিজয় পথযাত্রীকে অগ্রিম অভিনন্দন জানিয়ে ফেলেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় পূর্ণ সহায়তা ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। আমেরিকার ঐতিহ্য অনুসরণ করেই জো বাইডেন নির্বাচনোত্তর তার প্রথম বিজয়ী ভাষণটিতে বললেন- I am no more a president nominated by democratic party. I am the president of America. এ উক্তিটি তাকে শুধু গৌরবান্বিতই করেনি, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আমেরিকার পরিশীলিত ও পরিমার্জিত মানসিকতাকে উচ্চে তুলে ধরেছে। আমেরিকার রাজনৈতিক ঐতিহ্য যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হতে চলেছিল, তা থেকে আমেরিকাকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি হিসেবে সজ্ঞানে ও সচেতনভাবেই তিনি এ উক্তিটি করেছেন।

জো বাইডেন একজন পোড় খাওয়া অভিজ্ঞ রাজনীতিক। ব্যক্তিজীবনে দুঃখ ও বেদনার ঝড় তাকে বুক পেতে সইতে হয়েছে। মোটর দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী ও কন্যার মর্মান্তিক মৃত্যুর যন্ত্রণা তিনি বুক পেতে সয়েছেন। ১৯৮৮ সালে মস্তিষ্কের কঠিন অসুখে পড়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে কাটিয়ে সুস্থ হয়ে আবারও রাজনীতিতে ফিরেছেন। ২০১৫ সালে হারিয়েছেন বড় ছেলে বো বাইডেনকে। ব্যক্তিজীবনে দুঃখ সহ্য করার এ শক্তি আমেরিকানদের কাছে তার ভাবমূর্তিকে প্রকট করেছে এবং এও তার বিশাল প্রাইমারি ভোট প্রাপ্তির অন্যতম কারণ। জো বাইডেনের এ বিজয় ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনদের জন্যও শিক্ষণীয় কিছু কি রেখে যায়নি?

এখন জো বাইডেনের সামনে প্রকট সমস্যা হলো, সারা বিশ্বে বিশেষ করে আমেরিকায় করোনাভাইরাসের মর্মান্তিক প্রভাব। যদিও ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বের হওয়ার পথে, তবু নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বিষয়টিকে সূক্ষ্মভাবে দক্ষ হাতে মোকাবিলা করতে হবে। কভিড-১৯ একটি প্রাণঘাতী ব্যাধি। একে দক্ষ হাতে মোকাবিলার ব্যর্থতা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ডুবিয়েছে পরাজয়ের অতলান্তে। বিষয়টিকে নিশ্চয়ই বাইডেন খাটো করে দেখবেন না। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তিনি সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন। তার হৃদয়ের ভান্ডার অভিজ্ঞতার মণিমুক্তায় পরিপূর্ণ। তিনি আপন জীবনের অতলান্তে পানকৌড়ির মতো ডুব দিয়ে অগণিত মণিমুক্তা কুড়িয়ে আনতে পারেন। বিশ্বশান্তির প্রশ্নে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় হিটলার হয়ে উঠছিলেন। সেখান থেকেও আমেরিকা অতি দ্রুত সরে আসবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। ট্রাম্পের শাসনামলে আমেরিকার ঔদাসীন্যে এবং ক্ষেত্রবিশেষ প্রযত্নে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা ও রাজনীতিতে যে উগ্রতা ও অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলছিল, এখন থেকে তা শুধু স্তিমিত হবে না, নিঃশেষিত হয়ে যাবে- এটি বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা। বর্ণবাদ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয়। হিটলার-মুসোলিনি হয়েছেন; ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও হতে হলো।

বিশ্ব জো বাইডেনকে যদিও চেনে-জানে, তবু এখন পর্যন্ত প্রত্যাশার কথাই বলা যায়। তবে নিশ্চিত করে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। প্রতিক্রিয়াশীলরা পরাজিত হয় বটে কিন্তু অতি সহজে পরাজয় মন থেকে মেনে নেয় না। বরং নানা প্রকার কুটিল ষড়যন্ত্রে নিমগ্ন হয়। প্রসঙ্গত বলে রাখি, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আজও নিঃশেষিত হয়নি। মাকড়সার জাল বোনার মতো সরকারের ভিতরে ও বাইরে থেকে তাদের কাজটি তারা করেই চলেছে। বিভাজন নয়, ঐক্যই তাদের মারণাস্ত্র। এটা শেখ হাসিনাসহ সুশীলসমাজকে সচেতনভাবে মনে রাখতে হবে। আমি মনে করি, সব দেশেই বিশেষ করে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে রাজনীতিকে বিপর্যস্ত করা ও সমাজে অস্থিরতা বাড়ানোর জন্য ষড়যন্ত্র চলতেই থাকে। সরকার তো বটেই, অনেক সময় সুশীলসমাজও জেনে-বুঝে নিশ্চুপ থাকে। আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ভারত- গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের আবিরমাখা ভারত সাম্প্রদায়িকতার অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে চলেছে। মোদি, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথদের আসুরিক নৃত্যে গণতন্ত্রের পাদপীঠ ও ঐতিহ্যের প্রসূতিকাগার আজ কম্পমান। মোদি-অমিত-আদিত্যনাথের পদাঘাতে এ আসুরিক প্রভাব ভারতের রাজনীতিতে ক্ষণস্থায়ী। বিশ্ববাসী যা মনে করত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ে এ বিশ্বাসটি আরও সুদৃঢ় হলো। ভারতের রাজনীতিতে মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধীর মতো উদ্ভাসিত নেতৃত্বের প্রভাব আজ অনেকটাই ঘন-কালো মেঘে ঢাকা। তবু আশায় বুক বেঁধে কবিগুরুর ভাষায় বলতে হয়- ‘রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে’। ভারতবর্ষে গণতান্ত্রিক ধারায় একটি রাজনৈতিক জ্যোতিষ্কের আবির্ভাব অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতবর্ষের ভিত্তিই হলো গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতা। ক্ষমতার দুর্দমনীয় প্রলোভনে গণতন্ত্রকে আঘাত হেনে এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ রোপণ করে ক্ষমতায় আসা যায়। সময়ের ব্যবধানে অবস্থানও করা যায় কিন্তু সত্য ও সুন্দরকে চিরকালের জন্য নিশ্চিহ্ন করা যায় না। আমরা যারা গণতন্ত্র ও মানবতার অনুসারী, তারা নিজের দেশে তো বটেই, ভারতবর্ষেও গণতন্ত্রের মৃত্যু দেখতে চাই না। আজকে ভারতবর্ষে মোদি-অমিত শাহর দোর্দ- প্রতাপ চলছে। ট্রাম্পের পরিণতি এ প্রত্যাশার মশাল জ্বেলেছে যে, ভারতবর্ষেও গণতন্ত্রের মশাল জ্বলবে, মানবতার বিজয় আসবে এবং অসাম্প্রদায়িকতায় সূর্যস্নাত হবে।

দেশব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। সেই ’৬২ সালের আন্দোলনের সময় থেকেই রাজনৈতিক পথপরিক্রমণে আমার যাত্রা শুরু। পারিবারিক কারণে জন্মসূত্রেই আমি আওয়ামী লীগ ঘরানার লোক। রাজনীতিতে সরব বা নীরব- এটি বড় কথা নয়, বিশ্বাসটাই আসল। সে বিশ্বাসের আঙ্গিকেই আমার রাজনৈতিক অস্তিত্বের সমস্ত অবয়ব। গণতন্ত্রের মানসপুত্র কালজয়ী ব্যক্তিত্ব, এই উপমহাদেশে নীল রক্তের উত্তরাধিকার মরহুম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যে নিষ্কলুষ বিশেষণ-বিযুক্ত ও নির্ভেজাল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন, আমি তারই অনুসারী। আমার পিতাও একই রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। আমার সন্তানরাও একই আদর্শ লালন করে। সে বিশ্বাসের আঙ্গিকেই আমার রাজনৈতিক পথচলা। বিশ্বাসটা প্রত্যয়দৃঢ় বলেই নির্যাতন-নিগ্রহ ও প্রলোভন, প্রত্যাশা জীবনে কখনই আমাকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি- লালিত আদর্শ থেকে আমাকে বিচ্যুত করতে পারেনি। আমার জীবন, অস্তিত্ব আমার চেতনারই প্রতিফলন। তাই কখনো রংধনুর রং বদলের মতো আমি দলবদল করতে পারিনি। রাজনীতিতে বিশ্বাসটাই আমার অর্জন। স্বাধীনতাযুদ্ধের পটভূমিকা তৈরি ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম অর্জন। বঙ্গবন্ধু যা বলতে চাইতেন কিন্তু সাংবিধানিক রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে যা বলতে পারতেন না, তাই বেরিয়ে আসত ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমার কণ্ঠ থেকে। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চার নেতাকে চার খলিফা বলা হতো। কারণ, তারাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অব্যক্ত কথার অভিব্যক্তি ও হৃদয়ের অনুরণনের প্রতিধ্বনি। তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে প্রবহমান কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, আমাদের আমলে ছাত্রলীগই ছিল তাঁর হৃদয়ের ধড়কানি।

গণতন্ত্র বেঁচে থাকলেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ও আদর্শ শাশ্বত ও চিরঞ্জীব থাকবে। তাঁর আজীবনের গণতন্ত্রের সাধনাকে হৃদয়ের মানসপটে প্রতিস্থাপিত করতে পারলেই তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার অর্ঘ্য প্রদান করা হবে। বাম ঘরানার কিছু লোক তাঁর মনের আকাশে কালো মেঘের প্রলেপ দিয়ে তাঁর দ্বারা বাকশাল করাতে পেরেছিল। কিন্তু আমি সারা জীবন মনে রাখব, বাকশাল করার পর মণি ভাইয়ের সঙ্গে যখন নেতাকে দেখতে গেলাম (নেতার পিতৃবিয়োগের খবর শুনে) তাঁর সেই বেদনাবিধুর মুহূর্তেও তিনি আমাকে বলেছিলেন, ভাবিস না আমি সারা জীবনের জন্য একদল (বাকশাল) করেছি। স্বাধীনতার পর আমি তিন বছর সময় চেয়েছিলাম। এখন আমার আরও কিছুটা সময় দরকার। আমি এ দেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করবই, ইনশা আল্লাহ। ভঙ্গুর অর্থনীতিতে বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভর করে স্বাধীনতার পাদপীঠ শক্ত থাকে না। স্বাধীন বাংলাদেশকে শক্ত অর্থনৈতিক পাদপীঠে দাঁড় করাতে চাই। তার জন্য যে নিরঙ্কুশ ও বাধাপ্রতিবাদহীন সময়ের প্রয়োজন, তার এক সেকেন্ড বেশিও আমি বাকশাল রাখব না। আমি সোহরাওয়ার্দীর অনুসারী। মাটি ও পানি ছাড়া যেমন গাছ বাঁচে না, গণতন্ত্র ছাড়া তেমনি স্বাধীনতাও টিকে না। তাই গণতন্ত্রবিবর্জিত পরিবেশে দেশের স্বাধীনতাকে অরক্ষিত রাখতে আমি চাইব না। বঙ্গবন্ধুর বক্ষে আমার মাথা, আমার দুই চোখ ভরা অশ্রু, কণ্ঠ নির্বাক।

সরবে সগৌরবে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত হচ্ছে। এই অবিস্মরণীয় কর্মকালে আমি বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান ছিলেন, যার আদর্শের প্রতীক ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাদের বিশ্বাসের একমাত্র আঙ্গিক ছিল গণতন্ত্র এবং দেশ শাসনের প্রশ্নে জনগণই শেষ কথা। এটি শেখ হাসিনা সযতেœ হৃদয়ের গভীরে লালন করলে তাঁদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীও সার্থকতা লাভ করবে। বিস্মৃত হলে চলবে না, গণতন্ত্র, অর্থাৎ- ’৭০-এর নির্বাচনের গণম্যান্ডেটই ছিল মুক্তিযুদ্ধের নিয়ামক শক্তি। এই জন্মশতবার্ষিকীর মহালগ্নে আমার নেতা মুজিব ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বুকনিঃসৃত প্রতিধ্বনি- জয়তু গণতন্ত্র, জয়তু বাংলার মানুষ।

                লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই বিভাগের আরও খবর
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
জাকসু নির্বাচন
জাকসু নির্বাচন
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচার
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
সর্বশেষ খবর
খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ একজন আটক
খুলনায় ১০৩ কেজি হরিণের মাংসসহ একজন আটক

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট
তিন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে অ্যালফাবেট

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির
র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?

৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক
বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প
চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত
ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং
শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড
গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম
চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ
আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম
বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প
আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ
পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩
বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের
ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার
আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

১৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ
ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে
অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে

১৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার
পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের
মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’
‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

নগর জীবন

নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি
নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা