শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১ আপডেট:

সাবেক ডাকসু ভিপির নাটাইটা কার হাতে?

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
সাবেক ডাকসু ভিপির নাটাইটা কার হাতে?

এবার বাংলা নববর্ষ বাঙালির সবচেয়ে বড় আনন্দ উৎসবের দিন ছিল শোকে মুহ্যমান। কোথাও কোনো আনন্দ নেই, উৎসব নেই। গান নেই, খাওয়া নেই, র‌্যালি নেই, মেলা নেই, নেই পোশাকে রঙিন জীবনের ছন্দ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মহাপ্রলয় সব কেড়ে নিয়েছে। বিষাদ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে মানুষকে শুনতে হয়েছে, দেখতে হয়েছে বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খানের জীবন করোনায় কেড়ে নেওয়ার মর্মান্তিক সংবাদ। একজন পন্ডিত গুণীজনের মৃত্যুশোক দেশের মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারেনি, হঠাৎ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক আইনমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু আর নেই। অজাতশত্রু রাজনীতির পরিচ্ছন্ন মানুষটির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়েছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। দেশের মানুষ শোকস্তব্ধ হয়েছে দুটি মর্মান্তিক মৃত্যুসংবাদে। স্বজন হারানোর বেদনায় বাকরুদ্ধ হয়েছে, আবেগে সজলনয়নে শেষ বিদায় জানাতে সবাই ছুটেও যেতে পারেনি। করোনার মৃত্যু শুরু থেকেই এমন আপন-পর কাউকে কাছে যেতে দেয় না। একটি জীবন একসঙ্গে কাটিয়ে মরণে পাশে মেলে না। জানাজা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধির কারণে শোকার্ত মানুষের আবেগ-অনুভূতিতে হয় না। দুজন মানুষের মৃত্যু লোকসাহিত্য ইতিহাস ও রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি এনে দিল। শুরু থেকেই করোনার ছোবলে একেকটি মৃত্যু একেকটি পরিবার থেকে সমাজ ও দেশের সর্বনাশ করে দিয়েছে। এমন কোনো পেশা নেই যেখানে শোকের মিছিলে, লাশের যাত্রায় শরিক হননি শেষ নিঃশ্বাস ছেড়ে।

করোনার প্রথম আঘাতে পশ্চিমে যখন মৃত্যুর ধ্বংসলীলা আমরা তখন অনেকটাই সামলেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নজরদারি, দিকনির্দেশনায় আমাদের সে ধ্বংসস্তূপ দেখতে হয়নি। কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আসতেই আমরা সব খেয়াল ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমরা সব সতর্কতা, স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে জীবন-জীবিকার যুদ্ধের পাশাপাশি স্বাভাবিক করে তুলেছিলাম জীবনযাত্রাকে। আমরা আড্ডাবাজি করেছি, হাটবাজারে গিজগিজ করেছি, শপিং, বাজার, ঘোরাঘুরি, পর্যটন এলাকায় বেহুঁশের মতো লোকে লোকারণ্য করেছি। আমরা রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিছিল, জানাজায় জনস্রোত নামিয়েছি। ভুলেই গিয়েছিলাম করোনার কিয়ামত মাথার ওপর থেকে বিদায় নেয়নি। আমরা আমাদের টিকাদান কর্মসূচি এগিয়ে নিলেও মাস্ক ব্যবহার, হাত-মুখ ধুয়ে পরিচ্ছন্ন থাকার কথা বেমালুম ভুলে যাই। এমনকি টিকা নিয়েও নষ্ট রাজনীতিরি কুৎসিত বিতর্ক করেছি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন থেকেই আবদুল মতিন খসরু করোনায় আক্রান্ত হন। এত সচেতন পেশাজীবীদের সংগঠনের এ নির্বাচন কি এতটাই অনিবার্য ছিল যে করোনাকালে করতেই হবে? তাও সভা, মিছিল বিজয়ীকে গিজগিজ করে গভীর রাত পর্যন্ত ফুলের তোড়া উপহার দিতে হবে।

পৃথিবীর জনপথ আজ শোক-বিষাদগ্রস্ত। দেশ আজ করোনায় আক্রান্ত। চারদিকে রোজ চেনাজানা-অচেনা মানুষের মৃত্যু সংবাদ। যে পরিবারে বাবার মৃত্যু সে পরিবারে আকাশ ভেঙে পড়ছে। যে পরিবারে করোনা কেড়ে নিচ্ছে মাকে সেখানে অসীম শূন্যতা। কোথাও বা মা-বাবা দুজনই চিরনিদ্রা নিচ্ছেন। কোথাও বা সন্তান লাশ হয়ে বিদায় নিচ্ছে মা-বাবার বুক ভেঙে দিয়ে। এমন শোকার্ত খবরও এসেছে মা-বাবা ছোট ছোট সন্তান রেখে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। কী বীভৎস ভয়াবহ মর্মান্তিক করোনার মৃত্যু উপত্যকা। বাংলাদেশে এখন রোজ শতাধিক মানুষ মরছে। এরই মধ্যে বাংলা চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিষ্টি মেয়ে কবরীও করোনার আঘাতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ সারাহ বেগম কবরী আজন্ম ছিলেন জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে। কিন্তু এমন নিঃসঙ্গ মৃত্যু যে করোনাকালে তাঁর ভক্ত-সমর্থকরা এত বছর যে আবেগ-অনুভূতি তাঁর জন্য বহন করতেন, শেষ বিদায়ে তা উজাড় করেও দিতে পারেননি। কবরী চলে গেছেন চাওয়া-পাওয়ার সব লেনদেন চুকিয়ে। কিন্তু তাঁর ভক্তকুলের আক্ষেপ আজীবন থাকবে। বলে গেছেন গহিন বেদনার কথা, ভালো স্বামী ভালো বন্ধু পাইনি, একলা আমি; একলাই চলে গেলেন কবরী। পরদিনই নানান অসুখে আক্রান্ত একসময়ের ফ্যান্টাসি ছবির নায়ক ওয়াসিম চলে গেলেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছেন নায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি ফারুক।

করোনার এবারের তান্ডবে পাশের দেশ ভারত একেবারে বিধ্বস্ত। দিল্লিতে রাতে কার্ফু চলছে। প্রতিদিন পৌনে ৩ লাখ আক্রান্ত হচ্ছেন। শবযাত্রার মিছিলও দীর্ঘ হচ্ছে। আমাদের সরকার সর্বাত্মক লকডাউনে গেছে। পুলিশ বাহিনী সাফল্যের সঙ্গে লকডাউন করছে। তবে মাঝেমধ্যে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের সঙ্গে যেসব ঘটনা ঘটছে তা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। সবাইকে সহনশীল হতে হবে। অহম দেখানোর সময় এখন কারও নেই। ইয়া নফসি, ইয়া নফসি করছে মানুষ। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের রহম করুন। হেফাজত করুন। লকডাউনে পণ্য পরিবহনে অসুবিধা। রোজার মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দামও বেড়েছে। ব্যবসায়ীদেরও মানবিক হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ৩৬ লাখ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বোরো ফসল কৃষকের ঘরে তুলে দিতে এখনই সতর্ক পদক্ষেপ নিয়েছেন। ধানকাটার শ্রমিক হাওর এলাকায় কৃষকের পাশে দাঁড়াবে। কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় সারা দেশ ছুটেছেন। কৃষিতে সরকারের যে বিপ্লব তা উচ্ছ্বসিত প্রশংসার। কৃষকের ধান যাতে নিরাপদে কালবোশেখীর তান্ডব, অকালবন্যার আঘাতের আগেই উঠে যায় সেটিই এখন চাওয়া। অকালবন্যায় যাতে কৃষকের ফসল তলিয়ে না যায় শেখ হাসিনার সরকার সেজন্য কয়েক বছর ধরে হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের বরাদ্দ আগের চেয়ে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম কয়েক দফা এসব বাঁধ তদারকি করেছেন সরেজমিনে। আজ মানুষ করোনার এ ভয়াবহ আঘাতে হাসপাতালে হাপসপাতালে ছুটছে রোগী নিয়ে। স্বজন নিয়ে। আইসিইউ আজ সোনার হরিণ। টাকা দিয়েও আইসিইউ বেড মিলছে না, অক্সিজেন মিলছে না। আজ দোষারোপ করতে ভালো লাগছে না। করোনার বীভৎস চেহারা, লাশের দীর্ঘ মিছিল, আক্রান্তদের বাঁচার আকুতি, অন্যদিকে নিজের শারীরিক ও মানসিক চাপ, বন্দীজীবনের বিষাদগ্রস্ত নিঃসঙ্গতা, অস্থিরতা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা মিলিয়ে কিছুই ভালো লাগে না সময়ের মুখোমুখি। আমরা কেউ জানি না কাল কার কী হবে। কী পরিণতি অপেক্ষা করছে আমাদের জীবনে। দয়াময় আল্লাহ পৃথিবীকে করোনার অভিশাপ থেকে মুক্ত করুন। একটি বছর ধরে চলমান মহাপ্রলয়ে মানুষের জীবন-জীবিকা ল-ভ-। স্বাভাবিক জীবন বলতে কিছু নেই। পৃথিবী এলোমেলো, মানুষের জীবন এলেমেলো। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মানুষ দেখছে তার সভ্যতার বিপর্যয়। অর্থনীতি কীভাবে মুখ থুবড়ে পড়ছে।

করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার অন্যতম ছিল জেলায় জেলায় আইসিইউ ইউনিট স্থাপন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরকারের দায়িত্বশীলরা কী জবাব দেবেন এ বিষয়ে? জেলায় জেলায় ২৫০ শয্যার হাসপাতাল আছে। কিন্তু এক বছরে আইসিইউ ইউনিট করা গেল না কেন? ঢাকায় যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল সেখান থেকে সরে আসা হলো কেন? ডিএনসিসির আইসোলেশন সেন্টারকে ১ হাজার শয্যার কভিড হাসপাতাল দ্রুত তৈরির জন্য সরকারকে সাধুবাদ দিতেই হয়। এখানে ১০০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট রয়েছে।

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষ যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অনেকেই আর ফিরে আসছেন না। অন্যদিকে গ্রামগঞ্জের খেটে খাওয়া মানুষ রোদে পোড়া, নগরীর ঘিঞ্জি বস্তির শ্রমজীবী মানুষ আক্রান্ত হলেও কোনো উপসর্গ পান না। এদের বেশির ভাগ টেস্ট করান না। মাস্ক পরেন না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন না। এখন আমাদের অক্সিজেন উৎপাদনে জোর দিতে হবে। আইসিইউ জেলা পর্যায়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষের টেস্ট বাড়াতে হবে। ভ্যাকসিনের আওতা বিস্তৃত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে।

সর্বাত্মক লকডাউনে আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। যদিও বলি আগে জীবন পরে জীবিকা। তবু জানি ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়। মানুষ খাবার চাইবেই। জীবনধারণের লড়াই করবেই। অর্থনীতি বাঁচাতে প্রথম ঢেউয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্পপতি থেকে মাঝারি ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য সহযোগিতার যে হাত বাড়িয়েছিলেন তা এখন আবার আরও শক্তভাবে বাড়াতে হবে। করোনাকে পরাজিত করা না গেলে বা মোকাবিলা করা না গেলে মানব জাতির বড় পরাজয় হবে। একযোগে পৃথিবীতে এক বছর ধরে এমন মহাপ্রলয় আর কখনো আসেনি। আমরা জানি না এর শেষ কোথায়, থামবে কোথায়?

২. হেফাজতের উগ্রপন্থি নেতা বহুল বিতর্কিত জঙ্গি মামুনুল হকসহ অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন। মামুনুল হক দেশবাসীর সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ সীমালঙ্ঘন করা উসকানিমূলক বক্তব্যে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। এই মামুনুল সুনামগঞ্জের শাল্লায় উগ্র বক্তৃতায় উসকানিতে গরিব হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা চালাতে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উৎসাহিত করেছেন। মামুনুলরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিরোধিতার নামে সহিংস কর্মসূচি দিয়ে বায়তুল মোকাররম, হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রণক্ষেত্র ঘটিয়েছেন। লাশের রাজনীতি করেছেন। লাশের ওপর দিয়ে সোনারগাঁয়ে রিসোর্টে আরেক লোকের বউকে নিয়ে আমোদ-ফুর্তি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। দৃশ্যমান অপরাধ অনেক। রাষ্ট্রের মূল আদর্শবিরোধিতাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো রয়েছে। তাকে এমন মামলায় আইনের শাস্তির আওতায় যদি না নেওয়া হয় তা হবে রাজনীতি ও আইনের চোখে হাস্যকর। মামুনুলকে গ্রেফতার করা হলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে যারা বলেছিলেন, তারা দেখেছেন। সরকারের ও মানুষের খেয়ে-পরে দিনযাপন করা এসব তালেবানি চিন্তার স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির কোনো গণভিত্তি নেই। মাদরাসার অনাথ ছাত্র ও উগ্র হঠকারী উসকানিমূলক বক্তৃতাই তাদের শক্তি। ধর্মব্যবসায়ী বা ধর্মের বাজিকর এরা। এরা মিথ্যার পক্ষে ফতোয়া দিতেও কার্পণ্য করে না। এ উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে কোনো আপস নেই। আইনের ঊর্ধ্বে তারা যেতে পারে না। যেতে দেওয়া যায় না। লাখ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশে এ সাম্প্রদায়িক উগ্র শক্তিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রুখতে হচ্ছে। রাষ্ট্র এখানে নীরব নিথর হয়ে থাকতে পারে না। আমরা অবাক হয়ে দেখি এক যুগ যারা আওয়ামী লীগ সরকারের খেয়ে-পরে বিষধর ফণা তুলেছে তবু আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, নেতারা তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে নিয়ে এলাকাভিত্তিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা দূরে থাক, বক্তৃতা বিবৃতিতেও সরগরম নন। এর কারণ কী? ভোটের আশা? সমর্থনের আশা? জীবনেও এরা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের নৌকায় ভোট দেবে না। এরা সরকারকে হটাতে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজনীতিতে নেমেছে। হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী যতই বলুন তারা ক্ষমতায় যেতে চান না, তা তার মনের কথা নয়। তারা এখানে তালেবানি অন্ধকার শাসন কায়েম করার স্বপ্ন দেখেন। জামায়াতের টাকা খান। ’৭১-এর পরাজিত শক্তির গোয়েন্দা সংস্থার পুতুল হয়ে নাচেন। বিএনপি ভোট ও আওয়ামী লীগবিরোধী শক্তি হিসেবে আদর্শিক জায়গা থেকে এদের পক্ষে কথা বলেন। এরা আইনের ঊর্ধ্বে নন। যেমন ছিল না জঙ্গি বাংলা ভাইয়েরা। মাদরাসা শিক্ষাকে অবশ্যই মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এভাবে বিচ্ছিন্ন রেখে উগ্র তালেবানি শক্তির জন্ম দেওয়া যায় না। হেফাজতের তান্ডবে যারাই সক্রিয় ছিল সারা দেশে সবাইকে আইনের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি। এদের শাস্তি প্রাপ্য। দুধ-কলা দিয়ে সাপ পুষতে হয় না। ২০১৩ সালের পর আজ এসে সবার এ শিক্ষা ভালোভাবে হয়েছে।

৩. একসময় ডাকসুসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন করার জন্য নিয়মিত লিখতাম। টকশোয় অনড় অবস্থান থেকে বলতাম। কিন্তু ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলে যে নেতৃত্ব বেরিয়ে আসে এবং তাদের কথাবার্তা, কর্মকান্ড দেখে আর সে দাবি করি না। আদর্শিক গণমুখী রাজনীতি ও আদর্শিক ছাত্ররাজনীতির পুনর্জাগরণ না ঘটলে ডাকসু নির্বাচন হাস্যকর নেতৃত্ব উপহার দেবে। যা অতীতের গৌরব ধুলোয় মিশে যাবে। ডাকসুর সাবেক ভিপি ছাত্র অধিকার পরিষদের নুরুল হক নূরের ওপর যখন তখন মারধর, লাঞ্ছিত করা নিয়ে অবাক যেমন হতাম তেমনি বিস্মিত হয়েছি তার তৎপরতা নিয়ে। কথাবার্তা নিয়ে। ডাকসুর সাবেক ভিপি নূর আসলে কার? কেউ বলত একসময় ছাত্রলীগ করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে মা-ও ডেকেছে। কেউ বলত সে আসলে জামায়াত। তার রাজনীতির শিকড় আমি কখনো ধরতে পারি না। তবে দেখি যখন তখন যে কোনো ইস্যুতে যে কারও সঙ্গে রাজপথে, যে কারও সঙ্গে মঞ্চে, কখনো বা একাই মাঠে গড়াগড়ি খাচ্ছে। তবে তার নাটাইটা কার হাতে? এ প্রশ্নের উত্তর মেলে না। কখনো বিভ্রান্ত কখনো বা রহস্যময় মনে হতো। তবে এবার তার চরিত্রটা অনেকটা উন্মোচিত হয়েছে। সে হেফাজতের পক্ষে জোরালোভাবে কথা বলেছে, হেফাজতের পক্ষেই পথে নেমেছে। ভারতবিরোধিতার উগ্র জিকিরেও সে পিছিয়ে নেই। জামায়াতের হাতেও তার নাটাই থাকলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কথা বেশি বললে বাড়ে কথা। বেশি কথা বললে বিপদটাও আসে না, মনের ভিতরের জমানো বিশ্বাস ও বিদ্বেষ বেরিয়ে আসে। নুরুল হক নূর এবার লাইভে আওয়ামী লীগবিদ্বেষী কথা বলতে বলতে একেবারে এমন ভয়ংকর কথা বলেছে যা কখনো আওয়ামী লীগের চরম শত্রুও বলেনি। নিজের গুরুত্ব নূর যত পেয়েছে সরকার ততই তাকে আমলে নেয়নি। মামলার বাইরে রেখেছে। কিন্তু নূর বলেছে, ‘প্রকৃত মুসলমান আওয়ামী লীগ করতে পারে না।’ এমন উন্মাদের প্রলাপ ভয়ংকর অসত্য কথার সঙ্গে ওলামারা ও কোনো সজ্জন মানুষ একমত হতে পারবেন না। সবাই জানেন, শেখ হাসিনার দিন শুরু হয় তাহাজ্জুদ, কোরআন তিলাওয়াত দিয়ে। তিনি আল্লাহভীরু ধর্মপ্রাণ। আওয়ামী লীগেই নামাজির সংখ্যা বেশি। তারা ধর্মপ্রাণ, আল্লাহভীরু কিন্তু অসাম্প্রদায়িক। কিছু সাম্প্রদায়িক একযোগে ক্ষমতার লোভে দলে প্রবেশ করেছে এমন অভিযোগ আছে। নূর ডিজিটাল আইনে মামলা খেয়ে ক্ষমাও পেয়েছে। এমন অথর্ব বিতর্কিত আনইমপ্রেসিড ডাকসু ভিপি ইতিহাসে আসেনি। নূর এসে বিভ্রান্তির চোরাবালিতে ডুবছে। তবে তার নাটাইটা কার হাতে জানতে হবে। জামায়াত নাকি অন্য কোথাও? তার রাজনীতির অর্থায়ন করে কারা? আইনের ঊর্ধ্বে তাকেও যেতে দেওয়া যায় না।

 

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
সর্বশেষ খবর
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা

৪৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আশুরার দিনের ফজিলত
আশুরার দিনের ফজিলত

৫৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান
ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান

৫৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি
আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)
যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল
৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা
ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’
মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো
যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১
পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে
অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা
পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান
নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান
এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন
যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা
আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা

নগর জীবন

ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে
ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে

নগর জীবন

মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু
মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু

শোবিজ

নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য
নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য

শোবিজ

রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়
রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেখা হবে এশিয়ান কাপে
দেখা হবে এশিয়ান কাপে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা

পেছনের পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক
বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক

প্রথম পৃষ্ঠা

তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা
তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা

মাঠে ময়দানে

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের
নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের

নগর জীবন

ডিজে তানিয়া বৃষ্টি
ডিজে তানিয়া বৃষ্টি

শোবিজ

ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ
ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা
বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা

শোবিজ

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা