শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

চালের বাজার

কষ্টে আছে স্বল্প আয়ের মানুষ

বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। সে হিসেবে করোনাকাল চলছে এক বছরের বেশি। এ সময়ে একদিকে মানুষের আয় কমেছে, অন্যদিকে ব্যয় বেড়েছে। এ অবস্থা জনজীবনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রধানত নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী গত এক বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩৭ দশমিক ১৪ শতাংশ আর পাইজামের ২২ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া আটার ১০ দশমিক ৭১ ও ময়দার দাম ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। বেড়েছে ডাল, গুঁড়া দুধ, ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসের দামও। সরকারের প্রচেষ্টায় এখন চালের মজুদ বেড়ে ১৪ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় কেবল চালের মজুদ বেড়েছে ৪ লাখ মেট্রিক টন তবে খাদ্যের এ বাড়তি মজুদ চিকন চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। কৃষি বিপণন অধিদফতরের ২৭ জুলাইর বাজারদর পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, গত এক সপ্তাহে নাজিরশাইল ও মিনিকেট জাতীয় সরু চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ১৯ জুলাই বাজারে মিনিকেটের দাম ছিল কমবেশি ৬৫ টাকা, যা ২৭ জুলাই বেড়ে ৬৮ হয়েছে। আর নাজিরশাইলের দাম গত এক সপ্তাহে কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৭০ থেকে ৭২ টাকায় উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে খাদ্য, কৃষি, বাণিজ্য এ তিন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন খাদ্যমন্ত্রী। লাগামহীন চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে এর আগে জানুয়ারিতে আমদানিতে ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কৃষককে সুবিধা দিতে ওই সুবিধা ছিল সীমিত সময়ের জন্য। তবে অতিরিক্ত চাহিদার কারণেও দাম বাড়ছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে দরিদ্র মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর