শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

হাসপাতালেও অজ্ঞান পার্টি

অপরাধীদের দমনে কঠোর হোন

অজ্ঞান পার্টি নামের মানুষ-শকুনরা এত দিন বাস ট্রেন লঞ্চের যাত্রীদের টার্গেট বানাত। নানা কৌশলে তাদের অজ্ঞান করে লুটেপুটে নিত সবকিছু। এ জঘন্য অপরাধীদের থাবা এখন হাসপাতালেও বিস্তৃত। ১৮ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন রোগীসহ তিন নারী। তাদের অচেতন করে টাকা, সোনার অলঙ্কার ও মোবাইল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগীরা হলেন রোগী মিতা আক্তার, তার ছোট বোন খুশি আক্তার ও আরেক রোগীর স্বজন শাহিনুর। ভুক্তভোগীদের মধ্যে মিতা মানিকগঞ্জের শিবালয়ের রিকশাচালক মামুনের স্ত্রী। খুশি পোশাক-কর্মী আর শাহিনুরের বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে। সোমবার রাতে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ভিতর চেতনানাশক খাইয়ে তিনজনের টাকা, সোনার অলঙ্কার ও মোবাইল লুট করা হয়। তাদের স্টোমাক ওয়াশ করা হয়েছে। বর্তমানে গাইনি ওয়ার্ডের বেডেই তাদের চিকিৎসা চলছে। চার দিন আগে মিতাকে ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তার দেখভালের জন্য ছোটবোন খুশিও সঙ্গে থাকতেন। মিতার শ্বশুরের ভাষ্য- হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে বাড়তি লোক থাকতে দেওয়া হয় না। ফলে এ সময় তিনি বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতে রোগীর খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন মিতা ও খুশি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। শাহিনুরও পড়ে আছেন অচেতন হয়ে। অজ্ঞান পার্টির এক মহিলা সদস্য মিতাকে জানান তার শ্বশুর জুস পাঠিয়েছেন এবং তা পান করতে বলেছেন। এ জুস পান করেই তিনজন অচেতন হয়ে পড়েন। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা শাহিনুরের কানের দুল ও মিতার ব্যাগ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। অজ্ঞান পার্টি নামের দুর্বৃত্তদের হাতে শুধু সর্বস্ব হারানো নয়, জীবন হারানোর ঘটনাও ঘটছে। মাঝেমধ্যে অপরাধীরা ধরা পড়লেও জামিন পেয়ে আবারও অপরাধে জড়িত হচ্ছেন। এদের দমনে কড়া শাস্তির বিধানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ খবর