শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাদামি চালের পুষ্টিগুণ

বাদামি চালের পুষ্টিগুণ

সাদা চালের তুলনায় বাদামি চালের পুষ্টিগুণ দ্বিগুণ। এ ছাড়া এ চালে যে পরিমাণে পুষ্টিগুণ আছে, সাদা চালে তা নেই। সাদা চাল মূলত প্রক্রিয়াজাত করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে ব্রাউন রাইস একেবারেই অর্গানিক। অনেকের ধারণা, ভাত খেলে মেদ বৃদ্ধি হয়, ঘুম পায়। তবে ব্রাউন রাইস বা ঢেঁকি ছাঁটা চালের বিষয়ে এ ধারণাগুলো একেবারেই ভ্রান্ত বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। ব্রাউন রাইস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ব্রাউন রাইসে থাকা ফাইবার, পলিফেনল এবং পাইটিক অ্যাসিড রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়াও এতে থাকা কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। ফলে রক্তের চিনির পরিমাণ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। তবে সাদা ভাত রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস রোগীদের সাদা ভাত খেতে মানা করেন। বাদামি চালে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ব্রাউন রাইস খেলে শরীর যেমন বিষমুক্ত হয়; তেমনই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটে। এর ফলে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ব্রাউন রাইসের অন্দরে সুপার-অক্সাইড নামে একটি বিশেষ ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের খোঁজ পাওয়া যায়, যা কোষের ক্ষতি হওয়ার থেকে বাঁচায়। সেই সঙ্গে কোষের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়।

ওজন কমায় : যেখানে ওজন বাড়ার ভয়ে সবাই সাদা ভাত খায় না; সেখানে ওজন কমানোর গ্যারান্টি দেয় ব্রাউন রাইস। শরীরের অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে দেয় ব্রাউন রাইস। সেই সঙ্গে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ফলে ওজন কমে এবং হার্টও থাকে সুস্থ।  

হজম ক্ষমতা বাড়ায় : প্রতিদিন বাদামি চাল খেলে শরীরে ফাইবারের ঘাটতি দূর হয়।

হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি : সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্রাউন রাইস খেলে শরীরে সেলেনিয়াম নামক একটি উপকারী উপাদানের ঘাটতি দূর হয়। মস্তিষ্কে থাকা প্রোটিলেন্ডোপেটিডেস নামক একটি ক্ষতিকর এনজাইমের ক্ষরণ কমিয়ে দেয় ব্রাউন রাইসে থাকা পুষ্টিগুণ। ফলে ব্রেনের ডিজেনারেশন হওয়ার আশঙ্কা কমে। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই ডিমেনশিয়া, অ্যামেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

ডা. আলমগীর মতি

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর