শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩ আপডেট:

তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাম ও কংগ্রেসের ঐক্য

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাম ও কংগ্রেসের ঐক্য

কয়েক শ বছর আগে আব্রাহাম লিঙ্কন বলেছিলেন, ‘ব্যালট ইজ মোর পাওয়ারফুল দ্যান বুলেট।’ কয়েক শ বছর পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন চলছে তাতে শাসক দল মনে করছে তাদের হাতে বুলেটই বেশি শক্তিধর। ইতোমধ্যে ৫-৬টি জেলায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গুলি-বোমা-পিস্তল- কী নেই! তার সঙ্গে আছে শাসক দলের পুলিশ। মনোনয়ন প্রক্রিয়ার প্রথম দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে জনৈক কংগ্রেস কর্মী ভোট দিতে গিয়ে দেখেন দীর্ঘ লাইন। তিনি বাড়ি ফিরে এসে বন্ধুদের সঙ্গে তাস খেলতে বসেন। তৃণমূলের ১৫-২০ জন সমাজবিরোধী হাতে অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে। তাকে পর পর ছয়টি গুলি চালায়। তার মার সামনেই ছেলেকে গুলি করা হয় বলে তার মা টিভির পর্দায় বিবৃতি দিয়েছেন। নিহত যুবক একজন পরিযায়ী শ্রমিক। দক্ষিণ ভারতে কাজ করেন। ভোট দিতে বাড়ি ফিরেছিলেন। মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় গত পাঁচ দিনে তিনজন কংগ্রেস-কর্মী তৃণমূলের হাতে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন তিন বিরোধী দলের শ-দুয়েক কর্মী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, রক্ত দেব, কিন্তু তৃণমূলকে জায়গা দেব না। এসব ঘটনা দেখেই রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠান। বলেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করুন। এও বলা হয়, মনোনয়ন কেন্দ্রের ১ কিলোমিটারের মধ্যে প্রার্থীসহ দুজনের বেশি থাকতে পারবে না। কোথায় গেল আব্রাহাম লিঙ্কনের সেই উক্তি? ১৪৪ ধারা জারি করার সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল থেকে বলা হলো, আমরা এটা মানছি না। রাজ্যপাল থেকে শুরু করে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি তৃণমূলের ওই বিবৃতির ধিক্কার জানিয়ে বলেছেন, এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন নিয়ে গত ৫-৬ দিনে যা ঘটছে, সেদিকে একবার তাকানো যাক।

স্ত্রী রুজিরাকে দিনভর জেরার পর যখন আবার ডাকা হবে এই কথা বলে আপাতত নিষ্কৃতি দেওয়া হলো, ঠিক তখনই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয়বারের জন্য সমন জারি করা হলো তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয়বারের জন্য তাঁকে সিবিআইয়ের দফতরে জেরার মুখোমুখি হতে হবে। ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের শাসক শিবিরের অন্দরে এবং রাজ্যের গোটা বহির্মহলে সঙ্গে সঙ্গে বার্তা ছড়িয়ে পড়ে, সপত্নীক মমতা-সাম্রাজ্যের যুবরাজের গ্রেফতারি সমাসন্ন। আর কার পরামর্শে জানা যায়নি, ইডি-সিবিআইয়ের এই সাঁড়াশি অভিযানকে বানচাল করতে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে শিখণ্ডী করা হচ্ছে। সেই মতো সরকারি অফিসের সময় শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ রাজ্যের সদ্য নিযুক্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা ৮ জুলাই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেন। দৃশ্যত বিসদৃশ ক্ষিপ্রতায় এই রকম কোনো ভোট ঘোষণার নজির ভূভারতে কখনো কোথাও দেখা যায়নি। উদ্দেশ্য একটাই- অনিবার্য গ্রেফতারি এড়াতে আপাতত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের করার চেষ্টা, এই আশায় যে পঞ্চায়েত ভোটের অজুহাত দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে আপাতত রক্ষাকবচ বের করা। তবে মোদি ভাইকে পাঠানো দিদিভাইয়ের আমের ঝুড়ির কোনো পৃথক প্রতিক্রিয়া যদি না হয়, তবে অভিষেককে অতি দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য চতুর্দিক থেকে সুপরিকল্পিতভাবে জাল গুটিয়ে আনছে ইডি-সিবিআইয়ের যৌথ অভিযান। রাজনৈতিক মহলের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা অনেক আগেই হয়ে যাওয়া উচিত ছিল এ কথা জানা থাকা সত্ত্বেও ভোট নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছিল। অন্য অনেক আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে এ কথা সত্ত্বেও ইডি-সিবিআইর তদন্ত অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন এখনই করা হবে কি না তা নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে ছিল তীব্র মতপার্থক্য। দলের একটা বড় অংশই বলেছিল, যেভাবে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের নামে ‘চোর-জোচ্চর’ বলে ঢিঢি পড়ে গেছে তাতে এই রেশ কিছুটা না কাটার আগেই পঞ্চায়েত ভোট করতে গেলে ভরাডুবি অনিবার্য। দলের মধ্যকার এই যুক্তিকে এক সময় খণ্ডন করতে পারছিলেন না মমতা-অভিষেকসহ দলের বাকি অংশও। তবে এসব মত, পাল্টা মত সবকিছু পেছনে চলে যায় সিবিআইয়ের কাছ থেকে অভিষেককে পাঠানো হাজিরা সমন পাওয়ার পরই। তখন মূলত অভিষেকের একক সিদ্ধান্তেই মমতা ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণায় রাজি হয়ে যান, কারণ এ মুহূর্তে পঞ্চায়েত ভোটে জেতা-হারার চেয়েও বড় অভিষেকের গ্রেফতারি এড়ানো।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করেন রাজীব সিংহ। সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দিলেন, ঠিক এক মাসের মাথায়, অর্থাৎ আগামী ৮ জুলাই, শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে। রাজীব জানান, ভোট ঘোষণার মুহূর্ত থেকেই রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়ে গেছে। এবারের নির্বাচনে জেলা পরিষদের ৯২৮টি, ৪১টি পঞ্চায়েত সমিতির ৯ হাজার ৭৩০টি, ৩৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩ হাজার ২৮৩টি কেন্দ্রে ভোট হবে। সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে ত্রিস্তর নয়, দ্বিস্তরীয় ভোট হবে। ২০১৮ সালের মতো এবারও এক দফাতেই পঞ্চায়েত ভোট হবে রাজ্যে। কিন্তু সর্বদল বৈঠক না ডেকে এভাবে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হলো তা নিয়ে শাসক দল ও রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ বলে টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

সূচি অনুযায়ী- মে মাস নাগাদ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নবজোয়ার যাত্রা চলাকালীন জানান, ওই কর্মসূচি শেষ হলে পঞ্চায়েত ভোট হবে। এর মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ ফাঁকা থাকায় তার প্রস্তুতি নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সৌরভ দাসের কার্যকাল শেষ হয় গত ২৮ মে। তারপর নতুন কমিশনার বাছাই নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে পদটি ফাঁকাই পড়ে ছিল। ওই পদে রাজ্য সরকার মনোনীত রাজীবের নামে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ছাড়পত্র না দেওয়ায় জটিলতা বাড়ছিল। বাড়ছিল পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তাও। নতুন কমিশনার হিসেবে রাজীবের নাম প্রস্তাব করে গত ১৮ মে রাজভবনে রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য ফাইল পাঠিয়েছিল নবান্ন। একক নামে ছাড়পত্র দিতে আপত্তি আরও একটি নাম চেয়ে পাঠায় রাজভবন। নবান্নও দ্বিতীয় নাম হিসেবে রাজ্যে কর্মরত অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদমর্যাদার অফিসার অজিতরঞ্জন বর্ধনের নাম পাঠায়। তারপরও কমিশনার বেছে নিচ্ছিল না রাজভবন। দিন কুড়ির সেই টানাপোড়েনের পর বুধবার প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীবের নামেই সিলমোহর দেন রাজ্যপাল বোস। এরপরই পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করলেন রাজীব।

রাজ্য পুলিশকে দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট করাতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মমতা মুখার্জির একসময়ের মুখ্যসচিব তথা মমতার পরিবারের ঘনিষ্ঠ এই নব্য মনোনীত নির্বাচন কমিশনার যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি নস্যাৎ করে দেবেন তা প্রথম দিনের সংবাদ সম্মেলনেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের কোনো নজির নেই। যদিও স্পষ্ট করে তিনি বলেননি, আদৌ শুধু রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হবে কি না। এদিকে বিরোধীদের একাংশ ইঙ্গিত দিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করা হলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোটে তাঁর ভরসা নেই! বিরোধীদের পাল্টা কটাক্ষ করেছে শাসক দলও। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য, ‘মামাবাড়ির আবদার’! রাজ্য পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের বিপক্ষে সব বিরোধীই। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুলিশ দিয়ে এ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে এ নির্বাচনে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে।’ অধীর বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য পুলিশের ওপর ভরসা রাখা সম্ভব নয়।’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও বলেন, ‘৩ হাজার পুলিশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই কাগজের ব্যালটবাক্স রক্ষা করতে পারছে না। তারা এত বড় নির্বাচন এক দফায় করে দেবে?’ কুণাল বলেন, ‘ত্রিপুরায় যখন হচ্ছে, এখানে ব্যতিক্রম হবে কেন? কোনো আইনে নেই যে, সর্বদল বৈঠক করতেই হবে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন আসবে? এটা কি মামাবাড়ির আবদার?’ তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘যে স্টুডেন্ট সারা বছর পড়াশোনা করে, সেই স্টুডেন্টকে ভাবতে হয় না যে, পরীক্ষার তারিখ কবে ঘোষণা করা হবে। বা সেই স্টুডেন্টকে ভাবতে হয় না, আমি পরীক্ষায় পাস করব না ফেল করব?’

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হবে না কেন? প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্বয়ং। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিয়ে বক্তব্য জানাতে বলেছেন। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি ভোট আরও কয়েকটা দিন পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষেও মন্তব্য করেছেন। বিচারপতি বলেন, ‘হনুমান জয়ন্তীর সময় আমরা বলেছিলাম সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে। তারা রাজ্যকে সহযোগিতা করতে এসেছিল। এ ক্ষেত্রেও কমিশন চাইলে সহযোগিতা চাইতে পারে। কমিশন ৬ থেকে ১০টি জেলাকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে। প্রয়োজনে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যেতে পারে।’

চুক্তিভিত্তিক কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা প্রসঙ্গেও সতর্ক করে আদালত বলেছেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। মনে রাখতে হবে, সিভিক কিন্তু পুলিশ নয়। তারা পুলিশকে সাহায্য করার কাজে যুক্ত।’

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময় বৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। বলেছেন, আগের বারের তুলনায় মনোনয়ন পেশের সময় কম। প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা মনোনয়ন পেশের জন্য অপর্যাপ্ত। এ প্রসঙ্গে কমিশন জানিয়েছে, চাইলে মনোনয়নের সময় একদিন বাড়ানো যেতে পারে। ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা ৯ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত করা যেতে পারে। এর প্রত্যুত্তরে বিচারপতি বলেন, সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ভোট ১৪ জুলাই করাতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে তাদের ক্ষমতার বিষয়ে সতর্ক করলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘প্রার্থীর কথা ছেড়ে দিলাম, কিন্তু কমিশনের ওপর ভোটারদের আস্থা প্রয়োজন। আপনারা নিরপেক্ষ সংস্থা। আপনাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে অভিজ্ঞতা থেকে এবারও ত্রুটি থাকা উচিত নয়। কমিশনের ভূমিকা সন্তোষজনক হওয়া উচিত। আপনাদের ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন থাকুন। কমিশন চাইলে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু কমিশন পুরো বিষয়টি হাইজ্যাক করে নিজেদের কাছে রেখেছে।’ গত ৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। ১৫ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। প্রধান বিচারপতি কমিশনের কাছে জানতে চাইলেন, ‘এখনো অবধি কত মনোনয়ন জমা পড়েছে কমিশনের কাছে?’ মনোনয়নের সময় বৃদ্ধি না করার যুক্তি দিতে সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করানোর উদাহরণ দিল কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী বললেন, ‘ধর্মাবতার! ধরুন, আমি আমার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করাতে যাচ্ছি। আমি তো জানি কী কী নথিপত্র লাগে। এর জন্য অতিরিক্ত সময় তো দাবি করতে পারি না।’ প্রধান বিচারপতি কমিশনকে বললেন, আপনারা দিনে ৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছেন। কিন্তু তাও পর্যাপ্ত সময় নয়। জবাবে কমিশন বলল, ‘চার ঘণ্টা সময় দেওয়া হচ্ছে মানে ওই সময় পর্যন্ত মনোনয়ন, তার পর দরজা বন্ধ, এমনটা নয়। বিকাল ৩টা পর্যন্ত যারা প্রবেশ করবেন তাঁরা মনোনয়ন দিতে পারবেন।’ বিজেপির আইনজীবী জানিয়েছেন, দায়িত্ব নেওয়ার একদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করলেন। সর্বদলীয় বৈঠকও ডাকা হয়নি। ‘প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা করে মনোনয়ন নেওয়া হচ্ছে। পাঁচ দিনে হিসাব করলে ৭৩ হাজার প্রার্থীর জন্য গড়ে ৪০ সেকেন্ড সময়ও মেলে না।’ এসব সমস্যা নিয়ে এত কম সময়ে মনোনয়ন জমা পড়বে কীভাবে? বিজেপির আইনজীবীর অভিযোগ শোনার পর কমিশনের আইনজীবী বললেন, ‘আইন মোতাবেক আমাদের হাত বাঁধা রয়েছে। তবে অবাধ এবং সুষ্ঠু ভোট করাতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ কমিশনের আইনজীবীর দাবি প্রসঙ্গে আগেই আদালত বলেছেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন বাদ দিলে এবার মনোনয়নের জন্য পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। বিজেপির আইনজীবীও বললেন, ‘৭৩ হাজার আসনে এত দ্রুত মনোনয়ন সম্ভব নয়।’ ১৪ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট করানোর পরামর্শে পাল্টা যুক্তি দিল কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী বললেন, দিন পিছিয়ে দেওয়া যায় না। তা ছাড়া, গতবার মনোনয়নের জন্য সাত দিনই সময় দেওয়া হয়েছিল।

সাগরদীঘির কংগ্রেস বিধায়ক দলবদল করলেও সমঝোতা অকেজো হয়ে পড়ছে না বলে রাজ্য কমিটির বৈঠক করে সদ্যই জানিয়ে দিয়েছে সিপিএম। এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন, পঞ্চায়েত ভোটে তাঁরা বামদের সঙ্গে সমঝোতা করেই লড়তে চান। সেই মর্মে জেলায় জেলায় দলের নেতৃত্বকে তৎপর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। তবে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় আগামী ১৫ জুন কলকাতায় শহীদ মিনার ময়দানে কেন্দ্রীয় সমাবেশ আপাতত স্থগিত রাখছে কংগ্রেস।

বিধান ভবনে অধীর বলেছেন, সর্বস্তরের কংগ্রেস কর্মীর কাছে আবেদন করছি, পঞ্চায়েত নির্বাচন যদি মানুষকে করতে দেওয়া হয়, তা হলে কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট করে নিজ নিজ এলাকায় ভোট করবে। যত দূর সম্ভব বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করে বা জোট করে আমরা নির্বাচনে লড়ব। মনোনয়নের জন্য খুবই অল্প সময় দিয়ে, ভোটের নিরাপত্তা বা অনলাইন মনোনয়নের বিষয়ে কোনো আশ্বাস না দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটকে ‘প্রহসনে’ পরিণত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন অধীর। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলে দুর্নীতি এবং বিজেপির সাম্প্রদায়িক নীতির প্রতিবাদে ১৫ তারিখের সমাবেশের জন্য রাজ্যজুড়ে প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু জেলায় জেলায় মনোনয়ন চলবে বলে ‘নিরুপায়’ হয়ে আপাতত কলকাতার ওই সমাবেশ স্থগিত রাখতে হচ্ছে। মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনসহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে এদিনই কমিশনে গিয়েছিলেন নেপাল মাহাতো, শুভঙ্কর সরকার, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, কৌস্তভ বাগচীসহ কংগ্রেস নেতারা।

কংগ্রেসের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘বিজেপি এবং তৃণমূলকে হারাতে যেখানে যে শক্তিশালী, সেখানে তাদের সামনে রেখে লড়াইয়ের নীতিতেই আমরা চলব। কংগ্রেস, আইএসএফ, কোথাও সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই হবে। তবে স্থানীয় ভিত্তিতেই ঠিক হবে।’ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদে বামফ্রন্ট এদিনই প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার দরজা খুলে রাখার কথা বলেছে। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য জোটকে কটাক্ষ করেছেন, ‘শূন্যের সঙ্গে শূন্য যোগ, বিয়োগ, গুণ যা-ই হোক, ফল শূন্যই! আর রাজনৈতিকভাবে এটা হলো, সিপিএমের হাতে খুন হওয়া কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’

লেখক : ভারতীয় সিনিয়র সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যবসায়ীদের হয়রানি
ব্যবসায়ীদের হয়রানি
জাতীয় সনদ
জাতীয় সনদ
পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা ইমানের দাবি
পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা ইমানের দাবি
নতুন রাজনীতির প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নতুন রাজনীতির প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
শুধু কথা নয় কাজেও প্রমাণ চাই
শুধু কথা নয় কাজেও প্রমাণ চাই
অর্থনীতির ছয় ঝুঁকি
অর্থনীতির ছয় ঝুঁকি
সরকার সফল হোক
সরকার সফল হোক
তলানির দিকে অর্থনীতি
তলানির দিকে অর্থনীতি
ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতারণার কুফল
ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতারণার কুফল
একটি রাষ্ট্রের কল্পচিত্র
একটি রাষ্ট্রের কল্পচিত্র
দ্বিমুখী রাজনীতির নষ্ট প্রতিযোগিতা
দ্বিমুখী রাজনীতির নষ্ট প্রতিযোগিতা
ইসরায়েলি দস্যুপনা
ইসরায়েলি দস্যুপনা
সর্বশেষ খবর
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাম্পকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া!
ট্রাম্পকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া!

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাগুরায় জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মাগুরায় জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণভোটে পিআর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে : গোলাম পরওয়ার
গণভোটে পিআর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে : গোলাম পরওয়ার

২২ মিনিট আগে | রাজনীতি

আর কোনও স্বৈরাচারকে দেখতে চায় না দেশের মানুষ : আমান উল্লাহ
আর কোনও স্বৈরাচারকে দেখতে চায় না দেশের মানুষ : আমান উল্লাহ

২৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

বরিশালে জমজমাট ক্যাট শো অনুষ্ঠিত
বরিশালে জমজমাট ক্যাট শো অনুষ্ঠিত

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রয়াত ২০ সদস্যকে স্মরণ
জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রয়াত ২০ সদস্যকে স্মরণ

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে বাইপাস করলে রাজপথে যুদ্ধ হবে: মামুনুল হক
জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে বাইপাস করলে রাজপথে যুদ্ধ হবে: মামুনুল হক

৩৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

কঠিন চীবর একটি ত্যাগের ব্যাপার : আমির খসরু
কঠিন চীবর একটি ত্যাগের ব্যাপার : আমির খসরু

৩৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে পুলিশের অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ৩
চট্টগ্রামে পুলিশের অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

৩৪ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশে ফিরলো জুলাই-যোদ্ধা আবদুল হামিদের লাশ
দেশে ফিরলো জুলাই-যোদ্ধা আবদুল হামিদের লাশ

৩৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ ৪ জনের মৃত্যু
বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ ৪ জনের মৃত্যু

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রলীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে আহত দুই পুলিশ সদস্য
ছাত্রলীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে আহত দুই পুলিশ সদস্য

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি
কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চলমান পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে: ডা. জাহিদ
চলমান পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে: ডা. জাহিদ

৪৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

বরিশালে ভ্রাম্যমাণ বইমেলা
বরিশালে ভ্রাম্যমাণ বইমেলা

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কলেজছাত্রকে যৌন নিপীড়ন: ইতালি প্রবাসী ‘কিং মাসুদ’ গ্রেপ্তার
কলেজছাত্রকে যৌন নিপীড়ন: ইতালি প্রবাসী ‘কিং মাসুদ’ গ্রেপ্তার

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেরপুরে ১৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার
শেরপুরে ১৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা
বরিশালে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুড়িগ্রামে মাদক কারবারি গ্রেফতার
কুড়িগ্রামে মাদক কারবারি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে
পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয়ভাবে টাইফয়েড টিকাদান নিয়ে জরুরি ৫ প্রশ্নের উত্তর
জাতীয়ভাবে টাইফয়েড টিকাদান নিয়ে জরুরি ৫ প্রশ্নের উত্তর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূর্যেও ঝুম বৃষ্টি নামে!
সূর্যেও ঝুম বৃষ্টি নামে!

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

স্কোরসেসিকে নিয়ে তথ্যচিত্রে উঠে আসবে অজানা গল্প
স্কোরসেসিকে নিয়ে তথ্যচিত্রে উঠে আসবে অজানা গল্প

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি বাংলাদেশের বাঁচা–মরার প্রশ্ন : মামুনুল হক
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি বাংলাদেশের বাঁচা–মরার প্রশ্ন : মামুনুল হক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তান সফরে মাফাকাকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা
পাকিস্তান সফরে মাফাকাকে পাচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টাইমের ‘শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন ২০২৫’-এ স্থান পেল আইসিডিডিআর,বি’র অন্ত্র-সুস্থকারী খাবার
টাইমের ‘শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন ২০২৫’-এ স্থান পেল আইসিডিডিআর,বি’র অন্ত্র-সুস্থকারী খাবার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নোবেল কমিটির ওপর ‌‘ক্ষেপেছে’ হোয়াইট হাউজ
নোবেল কমিটির ওপর ‌‘ক্ষেপেছে’ হোয়াইট হাউজ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
অনিশ্চয়তা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে?
অনিশ্চয়তা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে?

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সত্যিই কি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ‘সব সীমা’ তুলে নিয়েছেন খামেনি?
সত্যিই কি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ‘সব সীমা’ তুলে নিয়েছেন খামেনি?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে এশিয়ান কাপের স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে এশিয়ান কাপের স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাবুলে ইসলামাবাদের বিমান হামলা, টিটিপি প্রধানের নিহতের গুঞ্জন
কাবুলে ইসলামাবাদের বিমান হামলা, টিটিপি প্রধানের নিহতের গুঞ্জন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তিতে নোবেল পেলেন মারিয়া কোরিনা
শান্তিতে নোবেল পেলেন মারিয়া কোরিনা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফটিকছড়িতে ছেলের হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মা
ফটিকছড়িতে ছেলের হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মা

১২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা
বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের নতুন বার্তা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজারবাইজানি বিমান দুর্ঘটনায় রাশিয়ার ভূমিকা স্বীকার করলেন পুতিন
আজারবাইজানি বিমান দুর্ঘটনায় রাশিয়ার ভূমিকা স্বীকার করলেন পুতিন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিছু এলাকা থেকে সরছে ইসরায়েলি সেনারা, ঘরে ফিরছে গাজার মানুষ
কিছু এলাকা থেকে সরছে ইসরায়েলি সেনারা, ঘরে ফিরছে গাজার মানুষ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিসিএস’র প্রশ্নে আলোচিত ‘আয়নাঘর’, শহীদ আবু সাঈদ
বিসিএস’র প্রশ্নে আলোচিত ‘আয়নাঘর’, শহীদ আবু সাঈদ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িতদের নিতে অস্বীকৃতি বুরকিনা ফাসোর
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িতদের নিতে অস্বীকৃতি বুরকিনা ফাসোর

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিছু না করেই নোবেল পেয়েছিলেন ওবামা, অভিযোগ ট্রাম্পের
কিছু না করেই নোবেল পেয়েছিলেন ওবামা, অভিযোগ ট্রাম্পের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের বৃথা আস্ফালন, শান্তির নোবেল এখন অন্য কারো!
ট্রাম্পের বৃথা আস্ফালন, শান্তির নোবেল এখন অন্য কারো!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন
ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মা
ছেলের হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মা

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আরব আমিরাতকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা
আরব আমিরাতকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের মেয়েরা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা নিয়ে সত্য প্রকাশ করা সাংবাদিকদের কাছে আমরা ঋণী: পোপ লিও
গাজা নিয়ে সত্য প্রকাশ করা সাংবাদিকদের কাছে আমরা ঋণী: পোপ লিও

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ২০০ মার্কিন সেনা
গাজায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ২০০ মার্কিন সেনা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় শনিবার থেকে ‘কার্যকর হচ্ছে’ যুদ্ধবিরতি
গাজায় শনিবার থেকে ‘কার্যকর হচ্ছে’ যুদ্ধবিরতি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সাড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাবেক নৌবাহিনী প্রধান সরওয়ার জাহান নিজাম আর নেই
সাবেক নৌবাহিনী প্রধান সরওয়ার জাহান নিজাম আর নেই

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে কৃষকের বাজারের উদ্বোধন আজ
পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে কৃষকের বাজারের উদ্বোধন আজ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেসব আমলে পাপমোচন হয়
যেসব আমলে পাপমোচন হয়

১৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ৯ কোম্পানি ও ৮ নাগরিকের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ভারতের ৯ কোম্পানি ও ৮ নাগরিকের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোবেল কমিটির ওপর ‌‘ক্ষেপেছে’ হোয়াইট হাউজ
নোবেল কমিটির ওপর ‌‘ক্ষেপেছে’ হোয়াইট হাউজ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন-মিসাইল হামলা রাশিয়ার, বিদ্যুৎ-পানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন
কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন-মিসাইল হামলা রাশিয়ার, বিদ্যুৎ-পানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আর নেই

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রামগঞ্জে মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
রামগঞ্জে মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হারের হতাশা নিয়েই হংকংয়ের পথে বাংলাদেশ দল
হারের হতাশা নিয়েই হংকংয়ের পথে বাংলাদেশ দল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
সিলেটে স্বপ্নের সেই সেতু বাতিল ক্বিন ব্রিজ ঘিরে পরিকল্পনা
সিলেটে স্বপ্নের সেই সেতু বাতিল ক্বিন ব্রিজ ঘিরে পরিকল্পনা

নগর জীবন

হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর সন্তানও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী
হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর সন্তানও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী

নগর জীবন

কোন গুঞ্জন সত্য তিশার?
কোন গুঞ্জন সত্য তিশার?

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিতর্কিত কোম্পানিই সর্বনিম্ন দরদাতা
বিতর্কিত কোম্পানিই সর্বনিম্ন দরদাতা

প্রথম পৃষ্ঠা

ধ্বংসস্তূপে অবশেষে থামছে যুদ্ধ
ধ্বংসস্তূপে অবশেষে থামছে যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির একাধিক অন্যান্য দলের একক প্রার্থীর সরব প্রচার
বিএনপির একাধিক অন্যান্য দলের একক প্রার্থীর সরব প্রচার

নগর জীবন

আধুনিক রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্বের অঙ্গীকার
আধুনিক রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্বের অঙ্গীকার

নগর জীবন

নতুন রাজনীতির প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নতুন রাজনীতির প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

সম্পাদকীয়

দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদ
দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

চিকিৎসার বাইরে ৯০ শতাংশ রোগী
চিকিৎসার বাইরে ৯০ শতাংশ রোগী

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন কারণে একমত হয়নি দলগুলো
তিন কারণে একমত হয়নি দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

৭২ বছর বয়সে সেফ এক্সিট ভাবা দুঃখজনক
৭২ বছর বয়সে সেফ এক্সিট ভাবা দুঃখজনক

প্রথম পৃষ্ঠা

অনিশ্চয়তা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে?
অনিশ্চয়তা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে?

প্রথম পৃষ্ঠা

একীভূত হবে পাঁচ ব্যাংক বাতিল হচ্ছে ডিজিটাল আইনের সাজাও
একীভূত হবে পাঁচ ব্যাংক বাতিল হচ্ছে ডিজিটাল আইনের সাজাও

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে নতুন করে দমনপীড়ন
বাংলাদেশে নতুন করে দমনপীড়ন

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
ড. তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

নগর জীবন

নিউইয়র্কে ইতিহাস গড়তে চান মামদানী
নিউইয়র্কে ইতিহাস গড়তে চান মামদানী

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার নির্দেশ ছিল আমাদের মেরে ফেলার
হাসিনার নির্দেশ ছিল আমাদের মেরে ফেলার

পেছনের পৃষ্ঠা

শহরের বর্জ্যে বিষাক্ত বারনই নদী
শহরের বর্জ্যে বিষাক্ত বারনই নদী

নগর জীবন

খুলনায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

নগর জীবন

মানাসলু জয়ের গল্প শোনালেন পর্বতারোহী তমাল
মানাসলু জয়ের গল্প শোনালেন পর্বতারোহী তমাল

নগর জীবন

সাইবার হামলার শঙ্কায় বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি
সাইবার হামলার শঙ্কায় বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি

নগর জীবন

শাকসু গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত যুক্ত হলো নতুন চার পদ
শাকসু গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত যুক্ত হলো নতুন চার পদ

নগর জীবন

ট্রাম্পকে নোবেল দেওয়ার আহ্বান
ট্রাম্পকে নোবেল দেওয়ার আহ্বান

পূর্ব-পশ্চিম

চক্রান্ত প্রতিহত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে
চক্রান্ত প্রতিহত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে ৫ কোটি শিশুকে
টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে ৫ কোটি শিশুকে

নগর জীবন

দেওবন্দ যাওয়ার অনুমতি পেলেন তালেবান মন্ত্রী
দেওবন্দ যাওয়ার অনুমতি পেলেন তালেবান মন্ত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

এক অঙ্কের সুদহার চান ব্যবসায়ীরা
এক অঙ্কের সুদহার চান ব্যবসায়ীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপিত
আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপিত

নগর জীবন