মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আমার সুর করা গানগুলো শ্রোতা-দর্শক গ্রহণ করছেন

আমার সুর করা গানগুলো শ্রোতা-দর্শক গ্রহণ করছেন

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী, সুরকার রুনা লায়লার জন্মদিন আজ। তার জন্মদিনে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে সকাল ১০টায় প্রকাশ হবে তারই সুর করা গান ‘এই দেখা শেষ দেখা’। জন্মদিনসহ নানান বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন-আলী আফতাব

 

জন্মদিনের শুভেচ্ছা আপনাকে? এবারের জন্মদিন কীভাবে কাটাবেন?

ধন্যবাদ বাংলাদেশ প্রতিদিন। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সব পাঠককে আমার শুভেচ্ছা। জন্মদিনে আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন আমি, আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ থাকি, ভালো থাকি। আমিও সবার জন্য দোয়া করি, আল্লাহ যেন সবাইকে সুস্থ রাখেন, নিরাপদে রাখেন। আর এবারের জন্মদিন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ করোনার এই পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়তই আমরা পরিচিত কাউকে না কাউকে হারাচ্ছি। যে কারণে আমাদের কারও আসলে মনের অবস্থা ভালো নেই। জন্মদিনে তাই এমন পরিস্থিতিতে কোনো কিছু আয়োজন করাও উচিত নয় বলে আমি মনে করি। একেবারেই ঘরোয়া আয়োজনে আমি, আমার স্বামী, আমার ভাই, ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটবে। এর বাইরে কিছুই নয়।

 

গতবারের মতো এবারের জন্মদিনেও প্রকাশ হতে যাচ্ছে গান।

হ্যাঁ, গত বছর আমার জন্মদিনে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে আমারই সুর করা দ্বিতীয় গান ‘ফেরাতে পারিনি’ প্রকাশিত হয়েছিল। গানটি লিখেছেন কবির বকুল এবং সংগীতায়োজন করেছিলেন রাজা কাশেফ। গানটি প্রকাশের পর বেশ সাড়া পাই আমি। সেই প্রজেক্টেরই আরেকটি গান হলো ‘এই দেখা শেষ দেখা’। গানটি গেয়েছে এই প্রজন্মের শিল্পী লুইপা। গানটি শ্রদ্ধেয় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা, সংগীতায়োজন রাজা কাশেফের। আমি খুব আশাবাদী গানটি নিয়ে।

 

কেন লুইপাকে এই গানের জন্য চূড়ান্ত করলেন?

লুইপার কণ্ঠে যেদিন আমি প্রথম শ্রদ্ধেয় বেগম আখতারের ‘জোছনা করেছে আঁড়ি’ গানটি শুনি তখনই মূলত তার গানে মুগ্ধ হই। পরবর্তীতে আমি যখন অভি মঈনুদ্দীনের সমন্বয়ে ধ্রুব গুহর উদ্যোগে নতুন আরও পাঁচটি গান সুর করি তখন এই গানটি আমি লুইপাকে করার জন্য অনুরোধ করি। অনুরোধ বলব, এ কারণেই যে আমরা প্রত্যেক শিল্পীই যার যার অবস্থানে সম্মানিত। প্রত্যেকেই যদি প্রত্যেককে সম্মান দিয়ে কথা বলি তাহলে আমাদের সংগীতাঙ্গনটা আরও সুন্দর হবে। যাই হোক পরবর্তীতে লুইপা গানটি বেশ আন্তরিকতা নিয়ে গেয়েছে। আমি যতটা না আশা করেছিলাম তার চেয়েও অনেক ভালো গেয়েছে। যে কারণে তার গানটি নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী।

 

এই প্রজেক্টের অন্য গানগুলো সম্পর্কে জানতে চাই?

আমারই জন্মদিন উপলক্ষে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকেই আরও প্রকাশিত হবে একে একে আঁখি আলমগীরের ‘কোথায় রেখেছ আমায়’, তানি লায়লা’র ‘কেন হয়ে গেছি পর’ ও হৈমন্তীর ‘আকাশে মেঘ জমেছে’ গান তিনটি। প্রত্যেক শিল্পীই বেশ আগ্রহ নিয়ে গানগুলো গেয়েছেন। গানগুলো গাওয়ার আগে আমি শিল্পীদের সঙ্গে গীতিকারসহ বসে রিহার্সেল করেছি। এ বিষয়টা শিল্পীদের প্রবল উৎসাহ দিয়েছে। যে কারণে তারা তাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে গানগুলো গাইতে পেরেছে। আমি চাইব তারা যেন ভবিষ্যতে এমন আরও ভালো ভালো গান করতে পারে। অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই ধ্রুব গুহকে। তার আন্তরিকতা বা সহযোগিতা ছাড়া এই গানগুলো করা হয়ে উঠত না।

 

আপনার সব গানেরই সংগীতায়োজন রাজা কাশেফকে দিয়ে করানো হয় কেন?

রাজা কাশেফের সুর সংগীতে আমার দুই নাতির কণ্ঠে ‘আই লাভ বাংলাদেশ’ গানটি শুনে মুগ্ধ হই। মিউজিকে ভীষণ টেলেন্টেড একটি ছেলে। প্রথম কাজ দিয়েই সে আমাকে মুগ্ধ করে। যে কারণে পরবর্তী সব কাজ করার জন্য তারই ওপর আমি আস্থা রাখি। প্রতিটি কাজই বেশ আন্তরিকতা নিয়ে অনেক শ্রম দিয়ে করেছে।

 

নতুন কোনো গানের সুর করছেন কি?

আরেকটা প্রজেক্টের কাজ চলছে। করোনার কারণে তো অনেক কাজই পিছিয়ে গেছে। যে কারণে নতুন প্রজেক্টের কাজও আপাতত বন্ধ আছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার শুরু করব ইনশাল্লাহ।

 

গান লেখার আগ্রহ আছে?

না না, গান লেখার কোনো আগ্রহ নেই। কারণ এটা অনেক কঠিন কাজ। সত্যি বলতে কী সুরই তো করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে কীভাবে যেন অনেক গানেরই সুর করা হয়ে উঠল বুঝতেই পারিনি। আমার সুর করা গান শ্রোতা-দর্শক গ্রহণ করছেন, তাতেই সন্তুষ্ট আমি।

 

সর্বশেষ খবর