আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা বর্তমানে কানাডায় প্রবাসী পুত্র অনিকের কাছে আছেন। সেখানে কেমন কাটছে এই কিংবদন্তির সময়। এ ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে ববিতার বলা কথা তুলে ধরা হলো-
কানাডায় সময় কেমন কাটছে?
পুত্র অনিককে নিয়ে মজার সময় কাটছে। ও তো জব ও পড়াশোনা করছে। ছুটির দিনে কানাডার দর্শনীয় স্থানগুলোতে আনন্দ করে আমরা ঘুরে বেড়াই। আমার মাছ ধরার খুব শখ। সময় করে মাছ ধরতে যাই। আমি যখন কানাডায় থাকি না, তখন জব শেষ করে বাসায় ফিরে রান্নাবান্না করে খেতে ওর খুব কষ্ট হয়। ওখানে তো কাজের লোক পাওয়া যায় না। নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়। তাই আমি যখনই কানাডায় আসি ওর জন্য ওর পছন্দের সব খাবার রান্না করি। ও খুব তৃপ্তি নিয়ে তা খায়। এতে আমার খুব খুশি লাগে।
অভিনয়ে ফিরছেন?
আমি তো বরাবরই বলে আসছি ভালো গল্প ও চরিত্রের অভাবে অভিনয় ছেড়েছি। এ দুটি যদি মনের মতো করে পাই তাহলে অভিনয়ে ফিরতে আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে নির্মাণের চিন্তা আপাতত বাদ দিয়েছি। কারণ সিনেমা হল আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে, দর্শক সিনেমা হলে যায় না। এতে বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত আসবে কোথা থেকে। লোকসানগুনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাব কেন।
সম্প্রতি বেশ কিছু ছবি কিন্তু দর্শক দেখেছে?
হ্যাঁ অনেক ভালো ছবি নির্মাণ হয়েছে এবং কিছু ছবি দর্শক দেখছে। এটি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য সত্যিই আশার কথা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দর্শক সিনেমা হলে যায় না। মানসম্মত ছবি নির্মাণ হয় না। সিনেমা হলের পরিবেশও ভালো না। এ অবস্থায় গত বছরের ঈদ থেকে এখন পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া কিছু ছবি দর্শক সাড়া জাগাতে পারছে। এটি দেশীয় চলচ্চিত্রের জন্য সত্যিই সুখের কথা। এই সফলতা ধরে রাখতে হবে। আর এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে দর্শক আসলে কী চায় সেদিকে নজর দিতে হবে।
শিল্পীদের ব্যক্তিগত বিষয় দর্শকদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে...
দেখুন শিল্পীদের ব্যক্তিগত ব্যাপার ব্যক্তিগত রাখাই ভালো। এসব আগেও ছিল। কিন্তু এসব নিয়ে আগে মিডিয়া এত মাতামাতি করত না। এখন তো ইউটিউবার এবং কিছু অখ্যাত অনলাইন পোর্টাল ভিউ বাড়াতে তিলকে তাল বানিয়ে শোবিজ তারকাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এ ব্যাপারে সরকারসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। আর শোবিজ জগতের বাসিন্দাদের নিজেদের মানসম্মান বজায় রেখে কাজ করতে হবে। কারণ একজনের ভুলের জন্য চলচ্চিত্র শিল্প সবার চোখে ছোট হোক, তা কেউ চায় না।