একসময় মডেলিং দিয়ে যাত্রা শুরু করা শরিফুল রাজ এখন বড়পর্দায় স্বতন্ত্র অবস্থান করে নিয়েছেন। আট বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন এক গুচ্ছ সিনেমা। ‘আইসক্রিম’, ন’ডরাই, ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘দামাল’, ‘গুণিন’, ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’, ‘কাজলরেখা’, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘ওমর’ থেকে শুরু করে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইনসাফ’- সবখানেই তিনি নিজেকে খুঁজেছেন নতুন করে। নতুন নতুন চরিত্রে অভিনয় দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিচ্ছেন এ অভিনেতা। সফলও হচ্ছেন তাতে। রাজ বিশ্বাস করেন, সিনেমা কেবল বিনোদন নয়, এক ধরনের সামাজিক দায়িত্ব। সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘ইনসাফ’ নিয়ে এখন দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রাজ। দর্শকদের সঙ্গে হলে হলে গিয়ে সিনেমা দেখছেন, নিচ্ছেন সরাসরি প্রতিক্রিয়া। দর্শকের ভালোবাসায় আপ্লুত তিনি। রাজ বলেন, ‘আমি আমার প্রথম সিনেমা ‘আইসক্রিম’ থেকেই হলে হলে ঘুরি। দর্শকরা যে আনন্দ নিয়ে সিনেমা দেখেন, সেটা নিজ চোখে দেখেছি। অনেকেই এসে জড়িয়ে ধরেছেন, ছবি তুলছেন, ভালোলাগার কথা বলছেন। এমন ভালোবাসা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’ পরাণ ও হাওয়া এরপর রাজের পরিবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, ‘সেগুলো বেশ কয়েক বছর আগের সিনেমা। সিনেমাগুলোও ভিন্ন গল্পের, ভিন্ন পরিচালকের ভিন্ন ঢঙের। তখন রাজ যেমন ছিল এখন কিন্তু কিছুটা পরিবর্তন আসছে।’ দর্শকের হলে ফেরার বিষয়ে আশাবাদী রাজ বলেন, ‘এটা বড় একটা ইতিবাচক সিগন্যাল। সারা বছর যেন এমনটা হয়, সেই চেষ্টাই জরুরি।’ ইনসাফে সহ-অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের প্রশংসায়ও মুখর হয়ে বলেন, ‘ফারিণ সাহসী চরিত্রে দুর্দান্ত করেছে। ওকে সিনেমায় আরও দেখতে চাই।’ সিনেমাটির পরিচালক সঞ্জয় সমদ্দারের গল্প ও নির্মাণভঙ্গি রাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি অকপটে বলেন, ‘এটা শুধু অ্যাকশন সিনেমা নয়, এটা আমাদের সমাজের বাস্তবতা নিয়ে প্রতিবাদের একটি ভাষা।’ এদিকে সাফল্যের ধারায় ইনসাফের দ্বিতীয় কিস্তি আসছে। এ বিষয়ে রাজের ভাষ্য, ‘আমিও শুনেছি। তবে সামনে কী হয় সেটা নির্মাতাই ভালো বলতে পারবেন।’ নতুন কাজ নিয়ে তিনি বলেন, ‘কাজ তো হচ্ছে, হবেই। সবকিছু ঠিকঠাক করে বিস্তারিত জানাব।’ সিনেমা সিলেকশনে তার কৌশল প্রসঙ্গে জানান, ‘মূলত গল্প ও চরিত্র দেখে সিনেমা বেছে নিই। আর চরিত্রের গভীরতা আমাকে খুব টানে।’