ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর নাকি একসময় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন? এ অভিনেত্রী তাঁর ব্যক্তিজীবন নিয়ে বলতে গিয়ে কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, দেড় যুগের ক্যারিয়ারে যত ঝড়ঝাপটা আমার ওপর দিয়ে গেছে, যত স্ক্যান্ডাল আমাকে ফেস করতে হয়েছে, পৃথিবীর অন্য কোনো শিল্পীকে বোধ করি অতটা করতে হয়নি। আমার প্রথম ছবি ‘চাঁদনী রাতে’র প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, নায়ক সালমান শাহ, নায়ক রিয়াজ, ফেরদৌস, এক বিদেশি নাগরিককে আমার সঙ্গে জড়িয়ে মিথ্যা সম্পর্কের গুঞ্জন, সালমানের অকাল মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত হওয়া, একাধিকবার এফডিসির বিভিন্ন সমিতি কর্তৃক ব্যান হওয়া, উফ্! কী ফেস করতে হয়নি আমাকে- একই সঙ্গে পারিবারিক নানা টানাপোড়েনে অতিষ্ঠ ছিল আমার জীবন। বিশেষ করে স্বামীর সঙ্গে আমার ডিভোর্স, একাধারে এতগুলো নেতিবাচক ঘটনা আমাকে চরমভাবে হতাশ করে তুলেছিল। যার ফলে একসময় আত্মহত্যা করার চিন্তাও করেছিলাম। কিন্তু মনোবল শক্ত করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিলাম বলেই আজও আমি বেঁচে আছি। অন্য যে কেউ হলে বোধ হয় পাগল হয়ে যেত নয়তো বিষাদ ভুলে থাকার জন্য মাদকের আশ্রয় নিত বা আত্মহত্যা করত। আমি এখন সবার দোয়া চাই। যেন যত দিন বাঁচি সুস্থ-সুন্দরভাবে বাঁচতে পারি। চলচ্চিত্র জগতের কল্যাণে কিছু করে যেতে পারি। আমি কিন্তু সব নেগেটিভকে মনের জোরে পাশ কাটিয়ে জীবনটাকে পজিটিভলি গড়ে তুলতে পেরেছি বলেই সুখ আমার সঙ্গে বিট্রে করতে পারেনি। আসলে জীবনটা নিজের মতো করেই সাজাতে হয়। আমাদের জীবনটা একটু অন্যরকম। আমাদের কারও না কারও অশান্তি আছে, দুঃখবোধ আছে। আমরা ব্যক্তিগত জীবনে অনেক দুঃখী। অনেক বিপর্যস্ত। জীবন মানে সুখ-দুঃখের লুকোচুরি। চাইলেই সব সময় জীবনকে ইচ্ছামতো সাজানো যায় না। তারপরও বলব আদর্শ, সততা বজায় রেখে মনকে যদি ভালোবাসায় ভরিয়ে তোলা যায়, তাহলে জীবনটা নিজের মতো করে সাজানো যায়। এর জন্য ইচ্ছাশক্তিই প্রধান। ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ এ বাজে ভয়টা জীবনে চলার পথে বড় অন্তরায়। জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যে এগিয়ে নিতে সৎ সাহস নিয়ে নির্ভয়ে এগিয়ে যেতে হবে, তাহলেই সফলতার দেখা মিলবে। শাবনূর অনেকটা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমার আর সংসারী হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া যে কোনো নারীর জন্য ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। এ কারণেই বাধ্য হয়ে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে হয়েছে আমার। অনেকে মনে করেন, একবার কারও প্রতারণার শিকার হলে আর কোনো পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস বা বিয়ে করা যায় না। এটি ভুল ধারণা। ভালো-মন্দ পৃথিবীর সবকিছুতেই আছে। তাই বলে ভালো মানুষ যে আর পাওয়া যাবে না, তা কিন্তু নয়। তবে আমার আর বিয়ের ইচ্ছা না থাকার কারণ হচ্ছে একমাত্র পুত্র আইজানকে প্রতিষ্ঠা করা। সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। ওকে যেন মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি, আমরা দুজনই যেন প্রকৃত সুখী হয়ে জীবনের শেষ দিনগুলো মহাসুখে কাটাতে পারি সেই দোয়াই এখন আমার একমাত্র কাম্য।
শিরোনাম
- ম্যাচ হারা নিয়ে যা বললেন লিটন
- রাজধানীতে চুরি হওয়া ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার, যুবক গ্রেফতার
- কাতারে হামাস নেতাদের হত্যায় স্থল অভিযান চালাতে অস্বীকৃতি জানায় মোসাদ
- অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই, দুই ছিনতাইকারী জীবিত নেই
- চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল, চারজন গ্রেফতার
- মাদ্রিদে বারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, আহত ২৫
- সাদাপাথর লুটের ঘটনায় পদ স্থগিত বিএনপি নেতা গ্রেফতার
- এনসিএল টি-টোয়েন্টি শুরু হচ্ছে আজ
- ফরিদা পারভীনকে শেষ শ্রদ্ধা শহীদ মিনারে, দাফন কুষ্টিয়ায়
- কাতারে জরুরি সম্মেলনে বসছে ইসলামিক দেশগুলো
- সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে
- মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন ৩ বাংলাদেশি আলেম
- জাকের-শামিমের লড়াকু ইনিংসও রক্ষা করতে পারলো না বাংলাদেশকে
- শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ
- এমবাপের জোড়া গোল, রিয়াল মাদ্রিদের চতুর্থ টানা জয়
- বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই
- ওমানে দেওয়াল ধসে ফটিকছড়ির ঠিকাদারের মৃত্যু
- নিজের দেশে ফিরে যাও: যুক্তরাজ্যে শিখ নারীকে ধর্ষণের পর বর্ণবাদী মন্তব্য
- যারা নির্বাচিত হননি তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই: জিএস মাজহারুল
- ‘কুলি’তে ক্যামিও নিয়ে সমালোচনার অভিযোগ অস্বীকার আমিরের
শাবনূর কেন আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন
শোবিজ প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রস্তাবে বাংলাদেশসহ ১৪২ দেশের সমর্থন
২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তজনা বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে বড় ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার
২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম