মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের এখন বিরক্তির কারণ দুটি। রক্ত পরীক্ষার জন্য সূচ ফোটানো ও খাওয়ার জন্য জোরাজুরি করা। আর এ নিয়ে নিজের অসহিষ্ণুতা ডাক্তার ও নার্সদের কাছে সরাসরিই প্রকাশ করছেন তিনি। ডাক্তাররা অবশ্য এই মুহূর্তে তার বিরক্তিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। তাদের বক্তব্য, টানা বেশ কিছু দিন ভুগলে যে কোনও রোগীই অবুঝ হয়ে পড়েন। সেটাকে গুরুত্ব দিলে চিকিৎসা করাই কঠিন হয়ে পড়বে।
এমনিতেই এখন দু’-তিন দিন পরপর রক্ত পরীক্ষা হচ্ছে। কিন্তু সুচিত্রার তাতেও ঘোর আপত্তি। তার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উনি শরীরে সূচ ফোটাতে বরাবরই ভয় পান। ভয় পান শরীরে যে কোনও কাটা-ছেঁড়ায়। তাই ছানি অস্ত্রোপচারের দিনক্ষণ স্থির হয়ে যাওয়ার পরে উদ্বেগজনিত কারণে তার হৃদ্স্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতির এমনই অবনতি হয়েছিল যে, তাকে স্থানান্তরিত করতে হয় আইটিইউয়ে।
গতকাল বুধবার হাসপাতাল সূত্রের খবর: সুচিত্রার শারীরিক অবস্থা আপাতত কিছুটা স্থিতিশীল হলেও দুর্বলতা কিছুতেই কাটছে না। এ দিন বিস্তর চেষ্টা করেও চিকিৎসকেরা তাকে বিছানায় তুলে বসাতে পারেননি। বিশেষ কথাবার্তাও বলেননি দিনভর। মাঝে-মধ্যে শ্বাসকষ্ট হয়েছে, কিন্তু তখনও তিনি ডাক্তারদের ইশারায় বুঝিয়েছেন, নিজেই সামলে নেবেন।
উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যায় তাকে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ২০ মিনিটের মত অবস্থান করেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বিশেষ হয়নি। তবে তার হাত ধরে রেখেছিলেন সুচিত্রা।