বলিউডের নায়িকা মানেই যেন ‘সাইজ জিরো’। বেশী বেশী সিনেমাতে অভিনয়ের অফার কিংবা সেরা হওয়ার এটি যেন মাপকাঠি। তবে সে দূর্গে হানা দেন ডার্টি সিল্ক। সিল্ক বুঝিয়ে ছিলেন জিরো ফিগার না থাকলেও জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়। এই ব্রিগেডের পথপ্রদর্শক অবশ্যই বিদ্যা বালান। ডার্টি পিকচারের আগেও বিদ্যার শারীরিক গঠন কখনোই নায়িকাসুলভ ছিল না। সুন্দর মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত অভিনয়েই পরিনীতা, ভুল ভুলাইয়া, ইশকিয়া, নো ওয়ান কিলড জেসিকার মতো একের পর এক ছবিতে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিদ্যা। জিরো ফিগার তো চাননি উল্টো সিল্ক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য খেয়ে খেয়ে হয়েছেন মোটা। এই ছবির হাত ধরেই বিদ্যার জীবনে এসেছে জাতীয় পুরস্কারও।
এছাড়াও বর্তমানের প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, দীপিকা পাড়ুকোনের মতো পারফেক্ট ফিগারের সঙ্গে সমানে তাল মেলাচ্ছেন সোনাক্ষি সিনহা, পরিনীতি চোপড়া, হুমা কুরেশিরা।
অভিনয়ে আসার আগে সোনাক্ষি সিনহার ওজন ছিল ৯০ কেজি। বড়পর্দায় আসার আগে ৩০ কেজি কমিয়েছিলেন সোনাক্ষি। কিন্তু ষাট কেজির সোনাক্ষিও নায়িকাসুলভ শরীরের ধারেকাছেও আসেন না। বিদ্যার মতো বুদ্ধিদীপ্ত মুখা বা অভিনয় ক্ষমতা নেই সোনাক্ষির। তবে দাবাং-এর দেহাতী মহিলার চরিত্রে বেশ মানিয়ে যান তিনি। নিজের গণ্ডীও শুরু থেকেই বুঝে নিয়েছেন সোনাক্ষি। রাউডি রাঠোর, দাবাং টু, আর...রাজকুমারের মতো ছবিতেই দর্শকের মনে ভালই জায়গা করে নিয়েছেন তিনিও।
দিদি পারফেক্ট শরীরে অধিকারী হলেও এখনও বেবি ফ্যাট ঝরিয়ে উঠতে পারেননি পরিনীতি চোপড়া। ইশাকজাদে ছবিতে বাবলি পরিনীতির মধ্যেই গ্ল্যামার আর সুন্দর অভিনয়ের আভাস পেয়েছিলেন দর্শকরা।
মাত্র দুবছর আগে বলিউডে পা রেখেছেন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী সেলিম কুরেশির মেয়ে হুমা কুরেশি। লভ শুভ তে চিকেন খুরানা, গ্যাংস অফ ওয়াসেপুরে প্রথম থেকেই হুমা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি থাকতেই এসেছেন। বাবলি মুখের মধ্যেই রয়েছে পরিণত মন ছায়া আর গভীর চোখের দৃষ্টির কাছে হার মেনেছে তার পৃথুলা শরীর।
ইন্দো-কানাডিয়ান পর্ণোস্টার সানি লিওনের বলিউডে আত্মপ্রকাশই ঝড় তুলেছিল। আর জিসম টু-তে তার শরীরের প্রতিটি ভাঁজে উত্তেজনা খুঁজেছে দর্শক। অভিনয়ে কতটা মন কাড়বেন প্রথম ছবির পরই তা বলা না গেলেও ইউটিউব বলছে তার আইটেম নম্বর গত বছরের সেরা হিট আইটেম সং। শুধু বড়পর্দায় নয়, টিভি কমার্শিয়ালেও সুন্দর মুখ, ঢলঢলে শরীরের সানি ভারতীয় দর্শকের পছন্দের তালিকায় বেশ উপরের দিকেই আছেন।