কঙ্গনা রানাউত তার স্বপ্নের সময় কাটাচ্ছেন বলিউড অঙ্গনে। যেদিকে হাত দিচ্ছেন সেদিকেই সাফল্য। যেখানেই তার উপস্থিতি সেখানেই সফলতা।
২০০৬ সাল। গ্যাংস্টার দিয়ে সিনেমা জগতে প্রবেশ। কেটে যায় আটটি বছর। সম্প্রতি 'তনু ওয়েডস মনু'র সিক্যুয়াল মুক্তির পর ব্লকবাস্টার হিট। ৬২তম জাতীয় পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। ২৮ বছর বয়সী বলিউড অভিনেত্রী দ্বিতীয়বার জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হলেন 'কুইন'-এর জন্য। এর আগে 'ফ্যাশন'।
সাফল্যের পাশাপাশি সমলোচনায়ও কপালে জুটেছে তার। 'চলচ্চিত্রে নারী চরিত্রের মূল্যায়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন'। নারীকেন্দ্রিক চরিত্র দিয়ে ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন। তার মতে, বলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নারীদের দুর্বল মনে করে পুরুষরা। তাই প্রতিটি নারীকে স্বাধীনচেতা হওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি। চলতি বছরটিই সম্ভবত এ তারকা তার সবটুকু উজাড় করে দেবেন।
স্বাধীনচেতা নারী হিসেবে কঙ্গনার অভিমত হলো, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা কোনো নারীই তার জীবন নিয়ে স্বাধীন নন। ফলে তারা সম্মানজনকভাবে তাদের জীবন কাটাতে পারে না। তাই সমাজের প্রতিটি নারীর প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, স্বাধীনচেতা হোন এবং সমাজের জন্য কাজ করুন। যদি স্বাধীন হোন, তবে আপনার প্রতিটি সমস্যাই ছোট হয়ে আসবে।
বলিউডে নেতৃত্বে থাকা পুরুষ চরিত্রগুলোকে কি নারীরা টপকাতে পারবে না?
এ সম্পর্কে এ কঙ্গনার অভিমত, পুরুষ তারকারা তাদের সিনেমার বাণিজ্যিক সফলতার জন্য চমৎকার সুযোগ বয়ে আনতে পারেন। এটি নারীদের পক্ষেও সম্ভব। কিন্তু তাদের এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আমি আমার চরিত্রের জন্য দিনে ১৬ ঘণ্টা ব্যয় করি, আমি অভিনয়ে নিজেকে বিলিয়ে দেই, মাসের পর মাস পরিবার থেকে দূরে থাকি, এ জন্য আমার কোনো ব্যক্তিগত জীবন নেই এবং জীবনের নানা স্তরে আমি ত্যাগ করছি ঠিক যেভাবে তারা করেন।
এটা সম্ভবত বাণিজ্যিক চাহিদা মেটায় না। কিন্তু তবুও এর বিনিময়ে ব্যক্তিগতভাবে আমির খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চাই। কারণ তিনি এমন একজন যিনি চরমভাবে ত্যাগী অভিনেতা।
তবে এ পর্যায়ে আসতে নিজের এবং অন্যান্য ভাবি তারকাদের উপদেশ দিয়েছেন কঙ্গনা। এই ইন্ডাস্ট্রিতে একজন একা নারীর নানা বাধা রয়েছে।
পরিবারের সহায়তা না থাকলে পুরুষরা নারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলেই মনে করেন এই অভিনেত্রী। কিছু পুরুষ একা নারীকে সবচেয়ে দুর্বল লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেয়।
আমাদের সংস্কৃতিতে মেয়েদের বলা হয় অমুক-তমুককে অনুসরণ করার জন্য, তাকে নেতৃত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না। কিছু এজেন্সি রয়েছে যেখানে কেউ ক্ষমতা খাটাতে পারেন না। সবখানেই সাধারণত নায়কের হাত বেশ শক্ত হয় এবং এসব ক্ষেত্রে নারীরা অপ্রধান চরিত্রে পরিণত হয়। এমনি করে এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের তিক্ত স্মৃতির অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেন গ্যাংস্টার তারকা কঙ্গনা রানাউত।