আমার বাবা অমলেন্দু বিশ্বাস। তবে চলচ্চিত্রে যিনি আমার বাবা কিংবা অভিভাবক- তিনি হচ্ছেন নায়করাজ রাজ্জাক। তারই হাত ধরে 'চাপা ডাঙ্গার বউ' চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আমার অভিষেক হয়। আমার কেবলই মনে হয় চলচ্চিত্রে আমার শুভযাত্রা যদি আমার গুরুজির হাত দিয়ে না হতো তাহলে হয়তো আমার জীবনটা এতো সুন্দর হতো না। একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমার আজকের যা কিছু অর্জন তার সব কিছুই রাজ্জাক কাকুর জন্যই।
আমার বাবা স্বর্গীয় হয়েছেন আটাশ বছর আগে। কিন্তু বাবা চলে যাওয়ার পর যে মানুষটিকে আমি অভিভাবক হিসেবে আমার মাথার উপর ছায়া হয়ে সব সময় পেয়েছি তিনি নায়করাজ। বিপদে-আপদে তার কাছে নানা রকম পরামর্শ নিয়েছি। তিনি আমাকে সুন্দর সমাধানের পথও দেখিয়েছেন। তার ওপর এতটাই ভরসা করেছি, মনে হয়েছে যে আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা বাবা আর মেয়ের মতো। নায়ক
রাজ রাজ্জাক আমাদের চলচ্চিত্রের বটবৃক্ষ। তিনি এমনই একজন নায়ক যিনি তার অভিনয় দিয়ে সমাজকে বদলেছেন, সমাজের নীতি গড়েছেন, মানুষের মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। কিন্তু আজ তিনি অভিনয় থেকে দূরে। যে কারণে এতো অবক্ষয়। এই অবক্ষয় রোধ করতে হলে প্রবীণ শিল্পীদের সম্মান দিতে হবে। আজ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী নায়করাজ। তার সুস্থ হয়ে ফেরার প্রত্যাশায় প্রার্থনারত বাংলা ভাষাভাষী সব দর্শক। প্রার্থনায় মগ্ন আমি নিজেও। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা- আমার গুরুজিকে, আমার বাবা সমতুল্য একজন মানুষকে আমাদের মাঝে খুব দ্রুত সুস্থ করে ফিরিয়ে দিন।
লেখক : অভিনয় শিল্পী